আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। গত সোমবার অর্থাৎ ১১ই নভেম্বর প্রয়োজনীয় কিছু কাজে বেশ কয়েক জায়গায় গিয়েছিলাম ও ব্যস্ত সময় কাটিয়েছিলাম সারাদিন এবং আজকে সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাইহোক গত রবিবার ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করার জন্য আমার পরিচিত এক আয়কর আইনজীবীর কাছে গিয়েছিলাম। তো সব পেপার দেখানোর পর, উনাকে জিজ্ঞেস করলাম গত বছর আমার একটা গাড়ির ট্যাক্স টোকেন এর মানি রিসিপ্ট খুঁজে পাচ্ছি না,এটা ছাড়া কোনো ভাবে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করা যাবে কিনা। তিনি বললো যে ট্যাক্স টোকেন এর মানি রিসিপ্ট অবশ্যই লাগবে। না থাকলে একটু ঝামেলা হবে। কারণ আমি সেই গাড়ির জন্য ৩০,০০০ টাকা এডভান্স ইনকাম ট্যাক্স প্রদান করেছিলাম।
তাই এটা না দেখাতে পারলে, আমাকে আবার নতুন করে ট্যাক্স প্রদান করতে হবে। যাইহোক তারপর আমি ভেন্ডরকে ফোন করলাম অর্থাৎ যার সাথে আমার গাড়ির কন্ট্রাক্ট করা। কারণ উনি গত বছর অক্টোবরে আমার গাড়ির ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করে দিয়েছিল, এনআরবিসি ব্যাংকের মিরপুর কালশী শাখায় টাকা জমা দিয়ে। কিন্তু আমি তারপর উনার কাছ থেকে সেই মানি রিসিপ্ট আর নেইনি। তো উনি সেদিন রাতে উনার বাসায় অনেক খুঁজেও আমার গাড়ির ট্যাক্স টোকেন এর মানি রিসিপ্ট পায়নি। রাত ১২ টার দিকে আমাকে ফোন করে বললো যে, কালশী তে উনার একটা অফিস আছে, হয়তোবা সেখানে মানি রিসিপ্ট থাকতে পারে। তবে আমি উনার কথায় ভরসা পেলাম না। ভেবেছিলাম উনি মানি রিসিপ্ট খুঁজে পাবে না। তো আমি পরের দিন সকাল ১০ টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম এনআরবিসি ব্যাংকের কালশী শাখার উদ্দেশ্যে। কারণ আমি ভেবেছিলাম রিকোয়েস্ট করে হয়তোবা ব্যাংক থেকে মানি রিসিপ্ট আবারও নেওয়া যাবে।
আর ব্যাংক থেকে যদি মানি রিসিপ্ট নিতে না পারি,তাহলে বিআরটিএ তে গিয়ে কোনো ডকুমেন্টস নেওয়ার ট্রাই করবো। অর্থাৎ আমি যে ট্যাক্স টোকেন রিনিউ করিয়েছি, সেটার একটা প্রমাণপত্র নিলেই হবে। যাইহোক আমি যখন মেট্রো তে চড়ে মিরপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ফার্মগেট পৌঁছালাম, তখন ভেন্ডর আমাকে ফোন দিয়ে বললো যে উনার কালশী অফিস থেকে ট্যাক্স টোকেন এর মানি রিসিপ্ট খুঁজে পেয়েছে। খবরটা শুনে খুবই ভালো লাগলো। তো আমি মিরপুর ১১ মেট্রোরেল স্টেশনে নেমে,কালশী গিয়ে উনার সাথে দেখা করে,বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে,মানি রিসিপ্ট নিয়ে আবারও মেট্রোরেলে চড়ে বাংলাদেশ সচিবালয় মেট্রোরেল স্টেশনে নেমে গেলাম। তারপর বায়তুল মোকাররম মার্কেটে ঢুকেছিলাম জাফরান কেনার জন্য। কিন্তু শুধুমাত্র একটি দোকানে জাফরান পেয়েছিলাম এবং জাফরানের কোয়ালিটি ভালো ছিলো না বলে,শেষ পর্যন্ত কেনা হয়নি।
তখন দুপুর হয়ে গিয়েছিল বলে,আমি পিঠাঘর রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম লাঞ্চ করার জন্য। আমি মাটন খিচুড়ি এবং মাউন্টেন ডিউ অর্ডার করলাম। পিঠাঘর রেস্টুরেন্টের মাটন খিচুড়ি আমার বরাবরই খুব পছন্দ। আমি সেদিকে গেলে প্রায়ই পিঠাঘর রেস্টুরেন্টে গিয়ে মাটন খিচুড়ি খেয়ে থাকি। তবে সবসময় দোতলায় বসে খাওয়া দাওয়া করি। কারণ দোতলায় এসি রয়েছে এবং দোতলার পরিবেশটা একেবারে নিরিবিলি। যাইহোক খাবারের মান খুবই ভালো ছিলো বরাবরের মতো। অল্প সময়ের মধ্যেই লাঞ্চ শেষ করে বিল মিটিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে, সোজা চলে গেলাম আয়কর আইনজীবীর কাছে। তারপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো ফটোকপি করে দিয়ে, বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে সন্ধ্যার দিকে বাসায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। সবমিলিয়ে সারাদিন ভালোই ব্যস্ত সময় কাটিয়েছিলাম সেদিন। তবে সারাদিন ব্যস্ত থাকলেও, অভিজ্ঞতা বেশ ভালো ছিলো।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল পোস্ট |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ১৪.১১.২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit