জেনারেল রাইটিং পোস্ট || শৈশবের মেলার কিছু মধুর স্মৃতি

in hive-129948 •  3 months ago 

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।



প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে এবং এই পোস্টটি শৈশবের স্মৃতিকে কেন্দ্র করেই লেখা। অর্থাৎ শৈশবের মেলার কিছু মধুর স্মৃতি এই পোস্টে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আসলে প্রতি সপ্তাহে একটি করে জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে বেশ ভালোই লাগে। যাইহোক মূল কথায় ফেরা যাক, আমাদের বাসা থেকে একটু দূরে একটি মাজার রয়েছে। তো মাজারে প্রতিবছরই বেশ কয়েকবার করে ওরস মাহফিলের আয়োজন করা হয়ে থাকে। তখন খিচুড়ি রান্না করা হয় এবং খিচুড়ি সবার মাঝে বিলিয়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। যদিও আমি কিছুটা বড় হওয়ার পর থেকেই মাজারে যাই না এবং খিচুড়িও খাই না। আমার কাছে মাজারে যাওয়ার ব্যাপারটা ভালো লাগে না।


fun-fair-2174258_1280.jpg

Source


তবে মাজারের মেলায় মাঝেমধ্যে এখনো যাওয়া হয়। যাইহোক ছোটবেলায় যখন মেলা জমতো, তখন মেলায় প্রতিদিন বেশ কয়েকবার করেই যাওয়া হতো। মাঝেমধ্যে সকাল সকাল গিয়ে দেখতাম যে মেলার দোকানগুলো খোলা হয়নি। অর্থাৎ দোকানদারেরা ঘুমাচ্ছে, কিন্তু মেলার প্রতি আমাদের এমন নেশা ছিলো যে,দোকান খোলার আগেই চলে যেতাম হা হা হা। তারপর নাস্তা করে আবার চলে যেতাম মেলায়। তখন গিয়ে দেখতাম যে দোকান খুলে দোকানদারেরা সবকিছু সাজাচ্ছে। তারপর ডিমের লটারি কিনতাম প্রতিদিনই। মাঝেমধ্যে তো লটারি জিততে জিততে একসাথে অনেকগুলো ডিম পেয়ে যেতাম। কিন্তু ডিমগুলো বাসায় নিতাম না। কারণ ডিমগুলো দেখলে আম্মু জিজ্ঞেস করবে ডিমগুলো কোথায় পেলাম। আর লটারির কথা জানলে তো সেই মার দিবে, সেটা খুব ভালোভাবেই বুঝতাম।


তো অনেক গুলো ডিম জেতার পর,ডিমগুলো লটারি ওয়ালার কাছেই বিক্রি করে দিতাম। তারপর সেই টাকা দিয়ে আবার লটারি কিনতাম এবং মেলা থেকে অন্য কিছু কিনে ফেলতাম। তাছাড়া মেলা থেকে ভিডিও গেমস কিনতাম। তখন ছোট ছোট বিভিন্ন ধরনের ভিডিও গেমস বিক্রি করতো মেলায়। ভিডিও গেমস খেলার সময়, ভিডিও গেমস এর সাউন্ড শুনতে ভীষণ ভালো লাগতো। প্রতিটি ভিডিও গেমস এর মধ্যে কয়েকটি করে গেমস থাকতো। তবে আমার কাছে প্লেনের ভিডিও গেমস খেলতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো। আপনারা মেলা থেকে ভিডিও গেমস কিনে কখনো খেলেছিলেন নাকি,সেটা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। তাছাড়া মেলা থেকে সেলিব্রিটিদের পোস্টার কিনতাম। যেমন বলিউডের নায়ক নায়িকাদের পোস্টার কিনতাম। এর মধ্যে বেশিরভাগ কেনা হতো সালমান খানের পোস্টার,ঐশ্বরিয়া রায়ের পোস্টার,রানী মুখার্জীর পোস্টার।


তাছাড়া ক্রিকেটারদের মধ্যে শচীন টেন্ডুলকার,স্টিভ ওয়াহ এর পোস্টার কিনতাম। তারপর পোস্টার গুলো আমার রুমের দেয়ালে লাগিয়ে রাখতাম। আর ভাবতাম যে বড় হয়ে ক্রিকেটার হবো। কারণ ক্রিকেট খেলতে আমার খুবই ভালো লাগতো। আমার মাথার মধ্যে তখন সারাক্ষণই ক্রিকেট খেলা ঘুরপাক খেতো। স্কুল মিস দিয়ে মাঠে গিয়ে প্রায়ই ক্রিকেট খেলতাম এবং বাসায় এসে মা'য়ের হাতে সেই লেভেলের মার খেতাম হা হা হা। যাইহোক ছোটবেলায় আসলে মেলায় ঘুরাঘুরি করতে এবং বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র কিনতে খুব ভালো লাগতো। কিন্তু এখন আসলে সেই আনন্দটা একেবারেই নেই। মেলায় গেলেও হয়তো অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই কিছু কিনে বাসায় চলে আসতাম। তবে মেলার জিলাপিটা এখনও খুব ভালো লাগে খেতে। যাইহোক শৈশবের মেলার কিছু মধুর স্মৃতি আপনাদের সাথে শেয়ার করে ভীষণ ভালো লাগছে।



2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিজেনারেল রাইটিং
পোস্ট তৈরি@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy S9 Plus
তারিখ১৪.১০.২০২৪
লোকেশননারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG-20240212-WA0036.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

puss_mini_banner2.png

PUSS COIN: BUY/SELL

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

মেলায় ডিমের লটারি কখনো দেখিনি তবে আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম। শৈশবের খুবই সুন্দর স্মৃতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

ছোটবেলায় মেলায় গেলেই দেখতাম ডিমের লটারি খেলতো অনেকে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

শৈশব মানেই মধুর সব স্মৃতি। আপনি সেই মধুর স্মৃতির ঝাপি খুলে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার পোস্ট পড়ে আমারও বাবার সাথে মেলায় যাওয়ার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আর হ্যাঁ একদম ঠিক বলেছেন, মেলার জিলাপিটা এখনো ভুলতে পারিনা। ভালো লেগেছে আপনার পোস্টটি। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আসলে মেলায় যাওয়ার স্মৃতি আমাদের সবারই কমবেশি মনে পড়ে। যাইহোক এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

অনেক সুন্দর স্মৃতি স্মরণ করে আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার এই পোস্ট করার মধ্য দিয়ে কিন্তু বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ হল, যা আমার অজানা ছিল। এত সুন্দর ভাবে একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

চেষ্টা করেছি স্মৃতিচারণমূলক পোস্টটি আপনাদের সাথে খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করতে। যাইহোক এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

আসলে শৈশব হলো আমাদের সোনার রঙের দিন। আপনার শৈশবের স্মৃতি পড়ে আমারও অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আপনার মত আমিও পোস্টার কিনতাম কিন্তু সেই সমস্ত পোস্টার আমার বাবা একদিন সব পুকুরে ফেলে দেয়। আর আমাকে ধমকি দিয়েছিলেন কাঁদলেই মারবেন। এবার বুঝুন কি অবস্থা।

খুব ভালো গুছিয়ে লিখেছেন আপনার শৈশবের মেলার স্মৃতি।

আঙ্কেল তো তাহলে খুব খারাপ একটি কাজ করেছেন। যাইহোক সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

শৈশবের মেলা হলে আনন্দের কোন শেষ ছিল না। মেলা কে নিয়ে শৈশবে অনেক মধুর স্মৃতি রয়েছে। যে স্মৃতি গুলো মনে পড়লে এখনো হৃদয় শিহরিত হয়ে ওঠে। শৈশবের মেলার আপনার কিছু মধুর স্মৃতি অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

ঠিক বলেছেন ভাই,শৈশবের মেলায় আমরা প্রচুর আনন্দ করতাম। যাইহোক প্রতিনিয়ত এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

শৈশবের স্মৃতি কখনও ভোলার নয়। আমিও শুনেছি অনেক মেলার কথা। আজ আপনার পোস্ট পড়ে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগলো বিষয়টি। খুব সুন্দর করে ছেলেবেলার স্মৃতি তুরে ধরার চেষ্টা করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

চেষ্টা করেছি ছোটবেলার মেলার কিছু স্মৃতি তুলে ধরার জন্য। যাইহোক সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

ক্রিকেট যে আপনার এতো পছন্দের খেলা সেটা তো জানতাম না ভাই। বেশ দারুণ লাগল আপনার ছোটবেলার মেলার কাহিনী শুনে। ছোটবেলা মেলার প্রতি আমি নিজেও একটু দূর্বল ছিলাম। তবে ঐরকম ঘোরাঘুরি খুব কমই হয়েছে। এটার সবচাইতে বড় কারণ ছিল আমার বাড়ির আশেপাশে কোন মেলা হতো না।

ভাই আমি সাউথ কোরিয়াতে গিয়েও,অফ ডে তে কয়েক ঘন্টা জার্নি করে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলতে যেতাম। যাইহোক গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।