ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট || কিছু কিছু মেয়ে মা হওয়ার যোগ্য না (সপ্তম পর্ব)

in hive-129948 •  29 days ago 

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।


ষষ্ঠ পর্ব


প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই গল্পের ষষ্ঠ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে সপ্তম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক সীমা তার পরকীয়া প্রেমিকের সাথে ঘুরাঘুরি এবং শপিং করে বাসায় ফিরে যায়। বাসায় যাওয়ার পর সীমার মা তাকে জিজ্ঞেস করে বাসায় ফিরতে এতো সময় কেনো লাগলো। তখন সে বললো তার বান্ধবীর সাথে দেখা হওয়ার পর, তারা দু'জন রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করেছে এবং শপিং করেছে। সেজন্য এতো দেরি হয়েছে। তাছাড়া মোবাইল সাইলেন্ট করা ছিলো বলে,ফোন রিসিভ করতে পারেনি। সবকিছু শুনে সীমার মা সীমাকে তেমন কিছু বলেনি।


treason-6971578_1280.jpg

Source


এদিকে সীমার ছোট্ট মেয়েটা সীমাকে না পেয়ে অনেক কান্নাকাটি করার পর,সীমা বাসায় ফেরার পর কান্না বন্ধ করে। যাইহোক সীমা তো তার পরকীয়া প্রেমিকের সাথে দেখা করে ভীষণ খুশি। সীমা দেখা করার পর থেকে তার পরকীয়া প্রেমিকের প্রতি আরও দুর্বল হয়ে যায়। এদিকে রতন যখন সীমাকে ফোন করে, তখন সীমা চরম বিরক্ত বোধ করে। সীমা রতনের সাথে অযথাই ঝগড়াঝাটি করে। যাতে করে রতনের সাথে কথা বলতে না হয়। রতন একদিন সীমার মা'কে ফোন করে সীমার বিরুদ্ধে বিচার দেয়। তারপর সীমার মা সীমাকে বুঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সীমা তার মায়ের কথাও কানে নেয় না। সীমা এবং তার পরকীয়া প্রেমিক চুটিয়ে প্রেম করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা প্ল্যান করে যে দু'জন পালিয়ে যাবে। কিন্তু সীমার পরকীয়া প্রেমিক শর্ত দেয় যে তার ছোট্ট মেয়েকে সাথে আনতে পারবে না।


অর্থাৎ মেয়েকে রেখে তার পরকীয়া প্রেমিকের কাছে সারাজীবনের জন্য চলে যেতে হবে। সীমা বাধ্য হয়ে শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে যায়। সীমা তার পরকীয়া প্রেমিকের প্রেমে এতটাই অন্ধ ছিলো যে,সে যা বলে সেটাই শুনতে থাকে। তারা প্ল্যান করে রাতের গাড়িতে কক্সবাজার চলে যাবে এবং সেখানে কিছুদিন থেকে, তারপর তার পরকীয়া প্রেমিকের বাসায় ফিরে আসবে। তো একদিন রাত ৯টার পর সীমা তার বাসা থেকে চুপিচুপি বের হয়ে যায়। তবে সাথে কোনো কাপড় নেয়নি। শুধুমাত্র তার ভ্যানিটি ব্যাগে ৫/৬ ভরি স্বর্ণ এবং কিছু নগদ টাকা নিয়ে বের হয়ে গিয়েছে। এমনকি যাওয়ার সময় তার ছোট্ট মেয়ের গলা থেকে স্বর্ণের চেইন খুলে নিয়ে যায়। এমন হারামি মা আমার লাইফে আমি দেখিনি। সীমা যখন বাসা থেকে বের হয়,তখন সীমার মেয়ে ঘুমাচ্ছিলো।


কিছুক্ষণ পর ঘুম থেকে উঠে সীমাকে দেখতে না পেয়ে, কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। সীমার মেয়ের কান্না শুনে,সীমার মা রুমে ছুটে যায় এবং সীমাকে খুঁজতে থাকে। সীমার মোবাইলে ফোন দেওয়ার পর মোবাইল বন্ধ বলে। তারপর তো সীমার মা টেনশনে অস্থির হয়ে যায়। এদিকে সীমার মেয়েটা ইচ্ছেমতো কান্নাকাটি করতে থাকে। রতন ফোন দিয়ে সীমার মোবাইল বন্ধ পেয়ে, সীমার মায়ের মোবাইলে ফোন করে সীমার কথা জিজ্ঞেস করে এবং তার মেয়ের কান্নার শব্দ শুনতে পায়। রতন যখন বারবার সীমার মা'কে জিজ্ঞেস করে সীমা কোথায়, তখন সীমার মা বলে যে সীমাকে খুঁজে পাচ্ছি না। এটা শুনে তো রতনের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। যাইহোক এরপর আর কি কি হলো,সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)



2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিক্রিয়েটিভ রাইটিং(গল্প)
পোস্ট তৈরি@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy S9 Plus
তারিখ৩০.১১.২০২৪
লোকেশননারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG-20240212-WA0036.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

puss_mini_banner2.png

PUSS COIN: BUY/SELL

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ডেইলি টাস্ক প্রুফ:

GridArt_20241130_110242935.jpg

image.png

বুঝলাম না ভাইয়া আপনার গল্পে আমার নামটিই ব্যবহার করতে হলো। হায় রে কপাল কেন যে বাবা মা আমার নাম সীমা রেখেছিল। যাই হোক খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন গল্পটি। আশা করি আগামী পর্ব আরও বেশী সন্দর হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

গল্পটা কিন্তু বাস্তব আপু। নাম মিলে গেলে কিছুই করার নেই। যাইহোক আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।

পরকীয়া আসলে খারাপ জিনিস। তবে পরকীয়া অনেকেই করে কিন্তু সীমার মতো পরকীয়া মানুষ কম দেখেছি। আসলে মানুষ বাচ্চার জন্য সব কিছু ত্যাগ করতে পারে।আর সীমার মতো মেয়ের জন্য মাদের কথা শোনতে হয়। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।ধন্যবাদ আপনাকে।

সীমার মতো মেয়েরা মা নামের কলঙ্ক। যাইহোক গল্পটা পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।