আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে বেঈমান। এই নাটকটি সপ্তাহ খানেক আগে রিলিজ হয়েছে। অল্প কয়েকদিনে এই নাটকটি বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যাইহোক এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে জাহের আলভি,ইফফাত আরা তিথি সামন্তী এবং শৌমি। এই নাটকটি বেশ শিক্ষণীয় একটি নাটক,তাই দেখতে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

নাটকের শুরুতে দেখা যায় নাটকের নায়ক জাহের আলভি, নাটকের এক নায়িকা ইফফাত আরা তিথির সাথে প্রেম করছে এবং নাটকের অপর নায়িকা অর্থাৎ শৌমি তাদেরকে পাহারা দিচ্ছে। নাটকের দুই নায়িকা তিথি এবং শৌমি হচ্ছে আপন দুই বোন। তিথি বড় এবং শৌমি হচ্ছে ছোট। যাইহোক তিথিকে জাহের আলভি খুব ভালোবাসে। কিন্তু তিথি জাহের আলভি এবং ইতালি প্রবাসী এক ছেলেকে ভালোবাসে। মানে তিথি দুই জনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছে। কিন্তু তিথি ইতালি প্রবাসী ছেলেটাকে বেশি ভালোবাসে এবং জাহের আলভিকে ব্যাকআপ হিসেবে রেখেছে। যদি ইতালি প্রবাসী ছেলেটা তিথিকে ছেঁকা দেয়, তাহলে সে জাহের আলভিকে বিয়ে করবে। তিথি খুবই চালাক প্রকৃতির মেয়ে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

সে যাতে জাহের আলভির কাছে ধরা না পড়ে, সেজন্য তার ছোট বোন শৌমির মোবাইল দিয়ে ইতালি প্রবাসী ছেলের সাথে কথা বলে। তিথিকে তার ছোট বোন শৌমি সবসময়ই নিষেধ করতো দুই জনের সাথে প্রেম করতে। শৌমি সবসময়ই তিথিকে বলতো জাহের আলভি খুবই সহজ সরল এবং ভালো মনের মানুষ। তাই তাকে যাতে তিথি না ঠকায়। কিন্তু তিথি শৌমির কথা একেবারেই শোনে না। একদিন রাতের বেলা জাহের আলভি তিথির বাসায় যায় এবং গিয়ে দেখে যে, সে মোবাইলে কার সাথে যেনো কথা বলছে। সেদিন জাহের আলভির কাছে তিথি প্রায় ধরা পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু তিথি মিথ্যা কথা বলে জাহের আলভিকে কনভিন্স করে। যাইহোক ইতালি থেকে সেই ছেলেটা বাংলাদেশে ছুটিতে আসার সময় তিথি এবং শৌমির জন্য অনেক গিফট নিয়ে আসে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

তিথি সেই ছেলের সাথে দেখা করে এবং সে ঠিক করে যে,সে ইতালি প্রবাসী ছেলেটাকে বিয়ে করবে এবং সেটা শৌমিকেও জানায়। এক পর্যায়ে শৌমি জাহের আলভিকে সবকিছু খুলে বলে। জাহের আলভি যখন শুনলো,তিথি কখনোই তাকে ভালোবাসেনি,তখন সে ভীষণ কষ্ট পেয়েছিল। এককথায় বলতে গেলে জাহের আলভি একেবারে ভেঙ্গে পড়ে। তখন শৌমি তার হাত ধরে। শৌমি জাহের আলভিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং তারা দু'জন কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলে। এদিকে তিথি জানতে পারে যে,ইতালি প্রবাসী ছেলেটা বিবাহিত এবং তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। তখন তিথি জাহের আলভিকে নিজের করে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। এককথায় বলতে গেলে তিথি একেবারে পাগলের মতো হয়ে যায়। কিন্তু জাহের আলভি এবং শৌমি তো আগেই বিয়ে করে ফেলেছে। এটা জানার পর তিথির মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। যাইহোক এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

আসলে মানুষ যেমন কর্ম করবে তেমন ফল ভোগ করবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। এই নাটকে তিথি খুবই বাজে ভাবে জাহের আলভিকে কষ্ট দিয়েছে। যেটা মোটেই ঠিক হয়নি তার। সে অতিরিক্ত চালাক বলে একজনের সাথে প্রেম করেছে এবং জাহের আলভিকে ব্যাকআপ হিসেবে রেখেছে। আসলে ভালোবাসায় কখনো ব্যাকআপ বলতে কিছু থাকতে পারে না। কারণ মানুষ যখন কাউকে সত্যিকারের ভালোবাসে,তখন তাকে ছাড়া আর কাউকে নিয়ে ভাবে না। তিথি জাহের আলভিকে ঠকায় এবং তিথিকে আরেকজন ঠকায়। আসলে কাউকে ঠকিয়ে কেউ কখনো জিততে পারে না। তাই কাউকে ভালোবাসলে, মন থেকে ভালোবাসা উচিত। এই নাটকটি সত্যিই বেশ শিক্ষণীয়। জাহের আলভি, তিথি এবং শৌমি দারুণ অভিনয় করেছে এই নাটকে। তবে তিথি সবচেয়ে বেশি ভালো অভিনয় করেছে। সবমিলিয়ে নাটকটি দেখে আমার ভীষণ ভালো লেগেছিল।

আমার রেটিং