আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। গত শুক্রবার এবং শনিবার আমার ছোট ভাইয়ের বন্ধুর বিয়ের দাওয়াত খেয়েছিলাম। আজকে সেই অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাইহোক শীতকাল আসলেই বিয়ের ধুম পড়ে যায়। চারিদিকে শুধু বিয়ে আর বিয়ের অনুষ্ঠান দেখা যায়। এককথায় বলতে গেলে শীতকাল হচ্ছে বিয়ের সিজন। কারণ শীতকালে বিয়ের কনে যেমন মনমতো সাজুগুজু করতে পারে, তেমনি যাদেরকে বিয়ের দাওয়াত করা হয়,তারাও ইচ্ছেমতো খাওয়া দাওয়া করতে পারে হা হা হা। যাইহোক মূলত আমার ছোট ভাইয়ের বন্ধুর গায়ে হলুদ ছিলো বৃহস্পতিবার,শুক্রবার ছিলো বরযাত্রী যাওয়ার তারিখ অর্থাৎ কনের বাড়ির অনুষ্ঠান এবং শনিবার ছিলো বরের বাসায় অনুষ্ঠান অর্থাৎ বৌভাতের অনুষ্ঠান।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে বাহিরে একটু কাজ ছিলো, তাছাড়া রাত ৯টা বাজে হ্যাংআউটে জয়েন করতে হবে বলে,সবমিলিয়ে গায়ে হলুদে যাওয়ার প্ল্যান বাদ দিয়েছিলাম। যদিও ছোট ভাইয়ের বন্ধু ফোন দিয়েছিল যাওয়ার জন্য, কিন্তু শেষ পর্যন্ত যাওয়া হয়নি। যাইহোক শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায় করার পর,বরের বাসার সামনে চলে গেলাম। বরের বাসা আমাদের বাসা থেকে মোটামুটি কাছাকাছি অবস্থিত। তো রিকশা নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই বরের বাসার সামনে পৌঁছে গিয়েছিলাম। মূলত আমার ৭/৮ জন ফ্রেন্ডকেও সেই বিয়েতে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। সেখানে যাওয়ার পর দেখলাম কনের বাসায় যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি হায়েস গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে। বরের বাসা থেকে কনের বাসায় যেতে ৩০ মিনিটের মতো লাগে।
কনের বাসা সোনারগাঁও থানার হোসেনপুরে অবস্থিত। তো আমরা ৭/৮ জন বন্ধু বান্ধব একটি হায়েস গাড়িতে উঠে পড়লাম। সবাই মিলে গল্প করতে করতে অল্প সময়ের মধ্যেই কনের এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। তো কনের বাসার লোকজন কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। তবে সেই এলাকাটি দারুণ লেগেছিল আমাদের কাছে। কারণ কনের বাসা একেবারে গ্রামের দিকে অবস্থিত। তাই আমরা ভেবেছিলাম খাওয়া দাওয়া শেষ করে এলাকায় একটু ঘুরাঘুরি করবো। তো কমিউনিটি সেন্টারে ঢুকেই আমরা কয়েকজন বন্ধু বান্ধব একটা টেবিল নিয়ে বসে পড়লাম। তারপর খাওয়া দাওয়া শুরু করলাম। খাবারের আইটেম ছিলো পোলাও, কাবাব,সবজি,চিকেন ফ্রাই,চিকেন রোস্ট,মাংস,বোরহানি এবং জর্দা পোলাও। যদিও বোরহানি এবং জর্দা পোলাও এর স্বাদ ভালো ছিলো না।
তবে চিকেন ফ্রাই এর স্বাদ দারুণ ছিলো। তাই ৩ পিস চিকেন ফ্রাই খেয়েছিলাম হা হা হা। যাইহোক খাওয়া দাওয়া শেষ করার পর দেখলাম যে বর তার বন্ধুদের সাথে চলে এসেছে। তারপর গেটের সামনে বরকে আটকে দেওয়া হলো টাকার জন্য হা হা হা। আসলে বিয়ের অনুষ্ঠানের এসব বিষয়গুলো বেশ ভালো লাগে। যাইহোক কমিউনিটি সেন্টার থেকে বের হয়ে সেই এলাকায় কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে বাসায় ফিরে এসেছিলাম। তারপর পরের দিন অর্থাৎ শনিবার জোহর নামাজ আদায় করে আমি এবং আমার আব্বু বৌভাত এর দাওয়াত খেতে বরের বাসায় চলে গিয়েছিলাম। আমার মা এবং ওয়াইফ দাওয়াতে যায়নি এবার। যাইহোক বরের বাড়ির খাবারের আইটেম এবং স্বাদ এককথায় দুর্দান্ত ছিলো। তো খাওয়া দাওয়া শেষ করে, উপহার হিসেবে টাকা দিয়ে বাসায় চলে এসেছিলাম। সবমিলিয়ে বেশ ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। যাইহোক এতো সুন্দর অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ১৯.১২.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোট ভাইয়ের বন্ধু হোক আর বড় ভাইয়ের বন্ধু হোক বিয়ের দাওয়াত সে বিয়ের দাওয়াতি। কত সুন্দর আয়োজন। দেখে বুঝতে পারলাম বেশ আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন সেখানে। ফটোগুলো বেশ দারুন ছিল। সব মিলে অনেক সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করেছেন ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু বিয়ের দাওয়াত খেতে গিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম। যাইহোক এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শীতকালে বিয়ে খাওয়ার মজা আলাদা গরম লাগে না শান্তি মত খাওয়া যায়। সবকিছু মিলিয়ে দারুণ লাগে আমার। আপনি অনেক ভালো করলেন ছোট ভাইয়ের বন্ধুর বিয়েতে গেলেন আর ভালোমতো কনের বাসায় খাওয়া দাওয়া করলেন। সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কনের এবং বরের বাসায় বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। যাইহোক এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit