আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে এবং এই পোস্টটি শৈশবের স্মৃতিকে কেন্দ্র করেই লেখা। আসলে শৈশবে আমি বেশ কয়েকবার বড় বড় বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছিলাম। তার মধ্য থেকে একটি ঘটনা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। বাকি ঘটনাগুলো পরবর্তীতে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। যাইহোক তখন আমি খুব সম্ভবত ক্লাস থ্রি কিংবা ফোরে পড়ি অর্থাৎ প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। তো আমাদের বাসা থেকে অল্প একটু সামনেই বছরে বেশ কয়েকবার মেলা জমতো। তো মেলার সময় কতোটা আনন্দ হয় সেটা আর বলার অপেক্ষা থাকে না। তাছাড়া ছোটবেলায় তো সেই আনন্দ বহুগুণে বেশি ছিলো। কারণ মেলা আসলেই মেলায় গিয়ে পিস্তল কিনতাম,তারপর বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলতাম।
তাছাড়া মেলা যেহেতু বাসার একটু সামনেই হতো,সুযোগ পেলে অর্থাৎ মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে সারাক্ষণ মেলায় যাওয়ার চেষ্টা করতাম। কারণ মেলায় ঘুরাঘুরি করতে এবং বিভিন্ন ধরনের জিনিস কিনতে খুব ভালো লাগতো। মেলা থেকে পিস্তল ছাড়াও আরও অনেক কিছু কিনতাম। তাছাড়া মেলা চলাকালীন সময়ে বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলতাম। খেলনা পিস্তল দিয়ে একে অপরকে গুলি করতাম। বেশ মজার ছিলো সেদিন গুলো। যাইহোক মেলায় তখন কাঁচের লম্বা এক ধরনের জিনিস পাওয়া যেতো,যার ভিতরে বিভিন্ন রঙের জরি এবং পানি থাকতো। মূলত লম্বা চিকন সেই জিনিসটা উপর নিচ করলে রং বেরঙের জরি গুলো নড়াচড়া করতো। তখন দেখতে সত্যিই খুব ভালো লাগতো। খুব সম্ভবত তখন সেগুলোর দাম ছিলো ১০ টাকা। তো সেই জিনিসটা নিয়ে যেকোনো সময় দুষ্টামি করতাম।
এমনকি টিভি দেখার সময়ও সেটা নিয়ে দুষ্টামি করতাম। তো একদিন রাতের বেলা চেয়ারে বসে টিভি দেখছিলাম বাসায়। তো টিভি দেখার সময় সেটা নিয়ে দুষ্টামি করতে করতে হঠাৎ করে চেয়ারের সাথে লেগে, সাথে সাথে সেটা ভেঙে গেলো এবং ভেঙে যাওয়ার পর, আমার পায়ের উরুতে লেগে যায়। তাছাড়া আমার পায়ের উরু জরি দিয়ে একেবারে মেখে যায়। যেহেতু তখন একেবারে ছোট ছিলাম এবং হাফ প্যান্ট পড়েছিলাম, তাই আমাদের বাসার সবার সন্দেহ হয়েছিল যে,যদি কাঁচের টুকরো ভিতরে ঢুকে যায়। তাহলে তো অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যাবে। তাই সাথে সাথে আমাকে ফার্মেসীতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এটিএস ইনজেকশন পুস করা হয়। যাতে করে আমার পায়ের উরু দিয়ে কাঁচের টুকরো ভিতরে ঢুকলেও, পরবর্তীতে সেটা বের হয়ে যায়। আমরা সবাই জানি যে এটিএস ইনজেকশন কতোটা কার্যকরী।
যাইহোক তখন আসলে আমাকে এবং আমার ভাইকে আমার আম্মু গোসল করিয়ে দিতেন প্রতিদিন। তো বেশ কয়েকমাস পর,আমাকে গোসল করানোর সময় আম্মু খেয়াল করে দেখলো যে, আমার পায়ের উরুর সেই ক্ষতস্থানে কাঁচের টুকরো বের হয়ে আছে। তখন আম্মু সেই কাঁচের টুকরো টেনে বের করেন। আসলে এটিএস নেওয়ার কারণেই মূলত কাঁচের টুকরো বের হয়। নয়তোবা খুব বাজে কিছু ঘটতে পারতো আমার সাথে। কাঁচের টুকরো ভিতরে থেকে গেলে, হয়তোবা ইনফেকশন হয়ে যেতো এবং পা ও কেটে ফেলতে হতো। যাইহোক আল্লাহ তায়ালার কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া আদায় করছি,উনি আমাকে বড় বিপদ থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। যাইহোক হঠাৎ করে আজকে ছোটবেলার এই ঘটনাটি মনে পড়লো। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনাদের সাথে শেয়ার করার পর সত্যিই খুব ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ৫.১০.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit