প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। গত পরশুদিন রাতে আমার ওয়াইফ আমাকে বলছিলো,রমজান মাসের জন্য বিভিন্ন ধরনের মাছ কিনতে বাজারে যেতে। আমি যেহেতু রেগুলার বাজারে যাই না,তাই সাধারণত একসাথে বিভিন্ন ধরনের মাছ কিনে থাকি। কিন্তু বেশ কিছুদিন যাবৎ প্রচন্ড ব্যস্ত থাকার কারণে, মাছ বাজারে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছি না। তাছাড়া আমি যেখান থেকে মাছ কিনে থাকি,সেখানে সকাল সকাল যেতে হয়। কারণ সেটা হচ্ছে অস্থায়ী বাজার, অর্থাৎ রাস্তার মধ্যেই মাছের বাজার এবং বেলা ১১ টার মধ্যেই বাজার শেষ হয়ে যায়। যাইহোক গত পরশু রাতে এলার্ম সেট করে রেখেছিলাম সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠবো বলে। তো সকাল ৭ টার দিকে ঘুম থেকে উঠে আবার ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।

তারপর আরও ঘন্টা খানেক ঘুমিয়ে, সকাল ৮ টার দিকে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। তারপর রেডি হয়ে নারায়ণগঞ্জের ৫ নং ঘাটে চলে গিয়েছিলাম মাছ কিনতে। কারণ সেখানে একেবারে তাজা মাছ পাওয়া যায় এবং বিভিন্ন ধরনের মাছ পাওয়া যায়। আমার বাসা থেকে সেখানে যেতে ৩০ মিনিটের মতো সময় লাগে। তো সেখানে গিয়ে একটি হোটেলে প্রথমে নাস্তা করে নিলাম। কারণ সেখানে যেতে যেতে প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়েছিল আমার। যাইহোক নাস্তা করে মাছ বাজারে ঢুকে, প্রথমে ঘুরে ঘুরে পুরো মাছ বাজার দেখলাম। সত্যি বলতে সেখানে প্রচুর মানুষ ছিলো গতকালকে। তো বিভিন্ন ধরনের মাছ দেখার পর প্রথমে ১ কেজি সাইজের একটি চিতল মাছ কিনলাম ৫০০ টাকা দিয়ে। কারণ অনেকদিন ধরেই চিতল মাছ খুঁজছিলাম। ইচ্ছে ছিলো আরও বড় সাইজের চিতল মাছ কেনার।

কিন্তু এর চেয়ে বড় চিতল মাছ কালকে সেখানে চোখে পড়েনি প্রথমে। কিন্তু কেনার পর দেখলাম যে, অন্য একজন লোক আরও বড় সাইজের চিতল মাছ বিক্রি করছে। যাইহোক যেহেতু চিতল মাছ কিনে ফেলেছি আগেই, তাই বড় সাইজের চিতল মাছ আর কিনলাম না। এরপর হাফ কেজি কাঁচকি মাছ কিনলাম। তারপর ভাবলাম বড় সাইজের একটা কাতলা মাছ কিনবো। কারণ বাসা থেকে বলে দিয়েছিল, বড় সাইজের একটি কাতলা মাছ কিনে নিয়ে যেতে। তো বেশ কয়েকটি দোকানে কাতলা মাছ দেখার পর, ৪ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ আমার খুব পছন্দ হলো। তো লোকটা বললো ৪০০ টাকা কেজি অর্থাৎ ৪ কেজি কাতলা মাছের দাম আসবে ১৬০০ টাকা। তারপর আমি দামাদামি করে ৩৬০ টাকা কেজি কাতলা মাছটি কিনলাম।

কাতলা মাছের দাম আসলো ১৪০০ টাকার উপরে। তারপর মলা মাছ কিনলাম হাফ কেজি ২৫০ টাকা দিয়ে। এরপর ৯০০ টাকা দিয়ে ১ কেজি গলদা চিংড়ি মাছ কিনলাম। তারপর দেখলাম যে মোটা সাইজের লাল চেউয়া মাছ বিক্রি করছে। আমি দামাদামি করে ১ কেজি লাল চেউয়া মাছ কিনলাম ৬০০ টাকা দিয়ে। তারপর ৩.৫ কেজির মতো তেলাপিয়া মাছ কিনলাম ২০০ টাকা কেজি। এতগুলো মাছ কেনার পর দেখলাম যে ব্যাগ অনেক ভারী হয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ১২ কেজির মতো মাছ কিনেছিলাম গতকাল সকালে। তারপর মাছ গুলো না কাটিয়ে বাসায় নিয়ে এসেছিলাম। প্রায় ৩ মাস পর সেখানে গিয়ে মাছ কিনে বেশ ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। আর এই অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।