আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে কবিতায় প্রেম। এই নাটকটি ৩/৪ দিন আগে রিলিজ হয়েছে। মাত্র কয়েক দিনে এই নাটকটি বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যাইহোক এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে ফারহান আহমেদ জোভান এবং কেয়া পায়েল। এই নাটকটি একটি রোমান্টিক নাটক,তাই দেখতে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

নাটকের শুরুতে দেখা যায় একটি ছেলের সাথে কেয়া পায়েল এর এনগেজমেন্ট এর তারিখ ঠিক হয়েছে এবং কেয়া পায়েল এর বাবা সেই উপলক্ষে একটি রিসোর্ট ভাড়া করেছে। যে ছেলের সাথে কেয়া পায়েল এর এনগেজমেন্ট ঠিক হয়েছে, সেই ছেলেটা মূলত বিদেশ থাকে এবং এনগেজমেন্ট এর জন্য ছেলেটা বাংলাদেশে ছুটিতে আসে। তো জোভান সেই রিসোর্টে একা একাই পৌঁছে যায় এবং কেয়া পায়েল এর পরিবারকে বলে যে, জোভান হচ্ছে সেই ছেলের বন্ধু। তো কেয়া পায়েল এর পরিবার জোভানের কথা বিশ্বাস করে এবং জোভানকে বেশ আপ্যায়ন করে। এদিকে সেই ছেলের পরিবারের সাথে কেয়া পায়েল এর বাবা যোগাযোগ করতে পারছিলো না। তাদের মোবাইলে বারবার কল দেওয়ার পর, মোবাইল নম্বর বন্ধ বলে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

এদিকে কয়েকদিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও,সেই ছেলে তার পরিবার নিয়ে এনগেজমেন্ট এর জন্য রিসোর্টে আসে না এবং তাদের সাথে মোবাইলের মাধ্যমেও যোগাযোগ করতে পারে না কেয়া পায়েল এর বাবা। তাই তারা দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় এবং জোভানকে বলে যে, তার বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিতে। তো জোভান বলে যে ঠিক আছে যোগাযোগ করিয়ে দিবে। এদিকে জোভান কেয়া পায়েল এর সাথে বারবার কথা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু কেয়া পায়েল কথা বলতে চায় না জোভানের সাথে। আসলে কেয়া পায়েল একটি ছেলেকে ভালোবাসে এবং ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। কিন্তু কেউ কাউকে কখনো দেখেনি তারা। আসলে কেয়া পায়েল সেই ছেলের কবিতার অন্ধ ভক্ত। তো জোভান একদিন কেয়া পায়েলকে কবিতা শোনায় এবং কেয়া পায়েল বুঝতে পারে জোভান-ই সেই ছেলে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

আসলে কেয়া পায়েল এর যখন এনগেজমেন্ট ঠিক করা হয় সেই ছেলের সাথে, তখন কেয়া পায়েল জোভানকে সেই ছেলের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যম বলে দেয় এবং বলে যে সেই ছেলের সাথে যোগাযোগ করে, যাতে তাদের এনগেজমেন্ট ভেঙে দেয়। তাছাড়া কেয়া পায়েল জোভানকে রিসোর্টের ঠিকানাও দিয়ে দেয়। কিন্তু জোভান যে সেই ছেলের সাথে যোগাযোগ করে এনগেজমেন্ট ভেঙে দেয় এবং জোভান রিসোর্টে এসেছে, সেটা কেয়া পায়েলকে আগে বলেনি। যাইহোক কেয়া পায়েল এর বাবা যখন জানতে পারে,জোভান সেই এনগেজমেন্ট ভেঙে দিয়েছে। তখন কেয়া পায়েল এর বাবা ভীষণ রাগ করে এবং জোভানকে গুলি করে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ আত্মীয় স্বজন সহ অনেক মানুষকে দাওয়াত দেওয়া হয়ে গিয়েছে। যাইহোক এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

আসলে কিছু কিছু পরিবার মেয়েদের বিয়ে ঠিক করে ফেলে মতামত না নিয়েই। এটা মোটেই উচিত নয়। কারণ বিয়ের আগে প্রতিটি মানুষের মতামত নেওয়া উচিত। কারণ সবারই নিজস্ব মতামত রয়েছে। তাছাড়া কিছু কিছু মা বাবা মেয়েদের পছন্দের একেবারেই গুরুত্ব দেয় না। তবে প্রতিটি মা বাবার উচিত ছেলে মেয়েদের পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া। যদি যাচাই বাছাই করার পর ভালো না হয়,সেটা ভিন্ন ব্যাপার। এই নাটকেও এমনটা ঘটতে দেখা যায়। কেয়া পায়েল বারবার নিজের পছন্দের কথা তার মা বাবাকে জানায়। কিন্তু তারা একেবারেই গুরুত্ব দেয় না। এক পর্যায়ে কেয়া পায়েল সিদ্ধান্ত নেয়,যদি তার ভালোবাসার মানুষকে না পায়,তাহলে আত্মহত্যা করবে। তো মা বাবার ভুলের কারণে অনেক ছেলে মেয়েরা আত্মহত্যার পথ পর্যন্ত বেছে নেয়। এমনটা বাস্তবেও মাঝেমধ্যে ঘটে থাকে। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। সবমিলিয়ে নাটকটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।

আমার রেটিং