আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে হৃদয়ের রঙ। এই নাটকটি ৩/৪ দিন আগে রিলিজ হয়েছে। মাত্র কয়েক দিনে এই নাটকটি বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যাইহোক এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে ইয়াশ রোহান এবং তানজিম সাইয়ারা তটিনী। এই নাটকটি একটি রোমান্টিক নাটক,তাই দেখতে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

নাটকের শুরুতে দেখা যায় নায়িকা তটিনী রাস্তায় ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর নায়ক ইয়াশ রোহান বাইক চালিয়ে যাচ্ছে। তো বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময়, রাস্তায় জমে থাকা পানি ছিটে, তটিনীর জামাকাপড় নোংরা করে দেয়। তারপর তারা দু'জন এটা নিয়ে ঝগড়া করে। আর এভাবেই তাদের পরিচয় হয়। পরবর্তীতে দেখা যায় যে তারা দু'জন একই ইউনিভার্সিটিতে পড়ে এবং একই ক্লাসে পড়ে। আসলে তটিনীর বাবার ট্রান্সফারের কারণে, তটিনী ৩ মাস পড়ে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়। তো তারা কারণে অকারণে ঝগড়া করতেই থাকে। রোহান ছিলো ক্লাসের ফার্স্ট বয়। কিন্তু পরীক্ষায় তটিনী রোহানের চেয়ে মার্ক বেশি পায়। এতে করে রোহান ভীষণ মন খারাপ করে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

তারপর তটিনী রোহানকে সান্ত্বনা দেয় এবং একটা পর্যায়ে তাদের দু'জনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে তারা জানতে পারে যে,রোহানের বাবা এবং তটিনীর বাবা একে অপরের খুব ভালো বন্ধু। তারপর থেকে তো রোহান এবং তটিনীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়ে যায়। তারা মনে মনে একে অপরকে ভালোবাসতে শুরু করে। কিন্তু কেউ কাউকে মুখ ফুটে বলে না। বিশেষ করে তটিনী তো রোহানকে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছে। তো হঠাৎ করে একদিন রোহান এবং তটিনী জানতে পারে,রোহানের মা বাবা তটিনীকে রোহানদের বাড়ির বউ বানাবে। এটা শুনে তো রোহান এবং তটিনী ভীষণ খুশি হয়ে যায়। কিন্তু তাদের সেই খুশি বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। কারণ বিদেশ থেকে রোহানের বড় ভাই বাংলাদেশে চলে আসে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

তারপর সবাই জানতে পারে রোহানের বড় ভাইয়ের জন্য তটিনীকে পছন্দ করেছে রোহানের মা বাবা। তাছাড়া তটিনীর মা বাবাও রাজি। কারণ উভয় পরিবারের সম্পর্ক খুবই ভালো অনেক আগে থেকেই। রোহান এবং তটিনীর মন একেবারে ভেঙে যায়। তটিনী রোহানকে বারবার বলে কিছু একটা করতে। কিন্তু রোহান কিভাবে বাসায় বলবে, তটিনী এবং রোহান একে অপরকে ভালোবাসে। তো রোহান এসবকিছু ভেবে তটিনীকে বলে যে, সে কখনোই তটিনীকে ভালোবাসেনি। বরং তটিনীকে শুধুমাত্র বন্ধু ভেবেছে। এটা শুনে তো তটিনী ভীষণ কান্না করে। কিন্তু তটিনী এটা জানে,রোহান ঠিকই তাকে খুব ভালোবাসে। কিন্তু পরিবারের কথা ভেবে রোহান মনের কথা বলছে না। যাইহোক এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

আসলে অনেক সময় মনের অজান্তেই কারো প্রতি ভালোবাসার সৃষ্টি হয়ে যায়। রোহান এবং তটিনী একে অপরের সাথে মিশতে মিশতে, কখন যে দুজন দুজনকে গভীর ভালোবেসে ফেলেছে, সেটা টের পায়নি। আর ভালোবাসার মানুষকে যখন হারিয়ে ফেলার আশঙ্কা তৈরি হয়,তখন সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। কিন্তু পরিবার অনেক সময় ছেলে মেয়েদের মতামত না নিয়েই, বিয়ে ঠিক করে ফেলে। এটা মোটেই উচিত নয়। কারণ মতামত নেওয়ার অবশ্যই দরকার আছে। কিন্তু অনেক মা বাবা সেটা বুঝতে চায় না। পরবর্তীতে সংসারের মধ্যে নানান ধরনের ঝামেলার সৃষ্টি হয়। যাইহোক এই ধরনের নাটকগুলো বরাবরই আমার খুব ভালো লাগে। রোহান এবং তটিনী এককথায় দুর্দান্ত অভিনয় করেছে। রোহান এবং তটিনীর জুটি আমার কাছে একেবারে পারফেক্ট বলে মনে হয়। সবমিলিয়ে নাটকটি দেখে আমার ভীষণ ভালো লেগেছিল।

আমার রেটিং