লাইফস্টাইল পোস্ট || অনেকদিন পর ভাই ব্রাদারদের সাথে আড্ডা দেওয়া এবং খাওয়া দাওয়া করার অনুভূতি

in hive-129948 •  last year 

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।



প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, অনেকদিন পর ভাই ব্রাদারদের সাথে আড্ডা দেওয়া এবং খাওয়া দাওয়া করার অনুভূতি। গত বৃহস্পতিবার সেলিম মামা সহ আমার বন্ধু বিল্লাল এবং বিল্লালের বন্ধু সাইফুল আমার বাসায় এসেছিল। মূলত সেলিম মামা কোরিয়া থেকে বাংলাদেশে চলে এসেছে কয়েকদিন আগে। তাই আমাদের সাথে দেখা করতে এসেছে। ইতিমধ্যে আমাদের ঘুরাঘুরি করার ভিডিওগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। যাইহোক সেলিম মামা সেদিন রোজা রেখেছিল,তাই আমার বাসায় দুপুরে যখন এসেছিল,তখন খাওয়া দাওয়া করতে পারেনি। তবে বিল্লাল এবং সাইফুল তাদের বাসা থেকে লাঞ্চ করে এসেছিল বিধায়, হালকা নাস্তা করেছিল আমার বাসায়। তখন বেলা তিনটা বাজে। ওরা যখন নাস্তা করছিল তখন আমি লাঞ্চ করছিলাম।

20230907_192921.jpg

তারপর রেডি হয়ে ওদের সাথে বের হয়েছিলাম একটু হাঁটাহাঁটি করতে। আমরা প্রথমে গিয়েছিলাম আখের ক্ষেত দেখতে। কারণ সাইফুল এবং আরেকজন মিলে রাজনীতিবিদ সাবের হোসেন চৌধুরীর ওয়ার্কশপ এর ভিতরে আখের ক্ষেত করেছে কিছুদিন আগে। মূলত ওয়ার্কশপ এর ভিতরে বিশাল বড় এরিয়া। অনেক জায়গা খালি পরেছিল। তাই তারা অনুমতি নিয়ে সেখানে আখের ক্ষেত করে। আখের ক্ষেত এর ভিডিওগ্রাফি পরবর্তী সপ্তাহে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। যাইহোক আমরা আখের ক্ষেতে কিছুক্ষণ ছিলাম। তারপর শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আসর নামাজ পড়তে ঢুকলাম মসজিদে। আমরা চারজন নামাজ শেষ করে বিভিন্ন ধরনের ফল এবং ভাজাপোড়া নিয়ে বিল্লালদের বাসায় চলে গেলাম। কারণ সেলিম মামা রোজা ছিলো বিধায় ইফতারের আয়োজন করা হবে বিল্লালদের বাসায়। বিল্লাল সেলিম মামার দুঃসম্পর্কের আত্মীয়।

20230907_192838.jpg

20230907_192737.jpg

আবার আমরা সবাই কোরিয়াতে কাছাকাছি জায়গায় ছিলাম। একসাথে আড্ডা, ঘুরাঘুরি করতাম প্রায়ই। যাইহোক সবকিছু কিনে বিল্লালদের বাসায় চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে ইফতারের জন্য সবকিছু প্রস্তুত করা হলো। তারপর চারজন আড্ডা দিতে লাগলাম। কোরিয়ার বিভিন্ন ধরনের গল্পে লিপ্ত হলাম। এরইমধ্যে মাগরিবের আজান হয়ে গিয়েছে। আমরা শুধু শরবত খেয়ে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করলাম। তারপর বিল্লালদের বাসায় এসে বিভিন্ন ধরনের ফল, ভাজাপোড়া এবং মুড়িমাখা খেতে লাগলাম। হঠাৎ করে আমাদের শাহিন ভাইকে কল দিলাম বিল্লালদের বাসায় আসতে। শাহিন ভাইও কোরিয়াতে ছিলো। তবে উনি অনেক দূরে ছিলেন। যাইহোক শাহিন ভাই অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই বিল্লালদের বাসায় চলে আসলেন। আমাদের সবার বাসা খুব কাছাকাছি। যাইহোক আমরা ৫ জন গল্প গুজব করতে লাগলাম।

20230907_192740.jpg

20230907_192157.jpg

এরইমধ্যে বিল্লালের মা আমাদের সবার জন্য রাতের খাবারের ব্যবস্থা করেছে। যদিও পেট একেবারে ভরা ছিলো এতকিছু খেয়ে। তাই আমরা ভাবলাম অল্প করে সবাই খাবো। যাইহোক আন্টি আমাদের জন্য পোলাও, চিংড়ি মাছ ভুনা, ডিম ভুনা এবং গোশত রান্না করেছে। আমরা সবাই খাওয়া দাওয়া করতে করতে এশার আজান হয়ে গিয়েছিল। তারপর বিল্লালদের বাসা থেকে বিদায় নিয়ে আমরা ৫ জন মসজিদে ঢুকলাম। এশার নামাজ আদায় করে আমরা চলে গেলাম রাহিমের দোকানে। রাহিমও কোরিয়াতে ছিলো আমাদের কাছাকাছি। সেলিম মামা বললো রাহিমের সাথেও দেখা করবে। আসলে সেলিম মামা খুব আন্তরিক একজন মানুষ। আমরা পাঁচজন রাহিমের দোকানে যাওয়ার পর রাহিম সেভেন আপ এবং দধি অর্ডার করে দোকানে নিয়ে আসলো। এরপর কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম সবাই। এরইমধ্যে হ্যাংআউট শুরু হয়ে গিয়েছে। সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে, সেলিম মামাকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে বাসায় চলে আসলাম। কারণ সেলিম মামাকে আড়াইহাজার যেতে হবে। উনার বাসা সেখানে। যাইহোক সবাই মিলে আড্ডা দিয়ে এবং খাওয়া দাওয়া করে দারুণ সময় কাটিয়েছি আমরা।

20230907_192924.jpg

20230907_204601.jpg

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিলাইফস্টাইল
ফটোগ্রাফার@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
তারিখ১১.৯.২০২৩
লোকেশননারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG_20220605_234413_388.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

সবার সাথে খুব সুন্দর আড্ডা দিয়েছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন সবাই একসাথে। সুন্দর এই লাইফ স্টাইল পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

হ্যাঁ আপু আমরা সবাই মিলে দারুণ সময় কাটিয়েছি। যাইহোক পোস্ট পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

ভাই ব্রাদারদের সাথে এরকম সময় কাটাতে অনেক বেশি ভালো লাগে আমার। আপনি তো দেখছি অনেক মজা, আড্ডা, আনন্দ সবকিছুই করেছেন। সত্যি বলতে এরকম মুহূর্ত ভোলা যায় না কখনো। যাইহোক হ্যাংআউটের জন্য তাড়াতাড়ি করে চলে এসে বেশ ভালোই করেছিলেন। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করবেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

ঠিক বলেছেন ভাই, এমন মূহুর্ত গুলো কখনোই ভুলবার মতো নয়। যাইহোক পোস্ট পড়ে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

ভাই ব্রাদার এর সাথে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারছি আপনারা সবাই মিলে অনেক মজা করেছেন ‌ । খাবারগুলো অনেক লোভনীয় লাগছে দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

খাবার গুলো দেখতে যেমন লোভনীয় লাগছে,খেতেও খুব সুস্বাদু লেগেছিল। যাইহোক এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

ভাই আপনারা সকলে মিলে বেশ ভালই ঘোরাফেরা করছেন দেখছি। এর আগেও এই ঘোরাফেরা নিয়ে পোস্ট দেখেছি এখন আবার সকলে মিলে আড্ডা দিতে দিতে মজাদার খাবারগুলো খেয়ে সময় কাটিয়েছেন। আর এরকম আনন্দঘন মুহূর্ত দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনাদের কাটানো সুন্দর সময় টুকু খুবই উপভোগ্য ছিল এমনটাই মনে হচ্ছে পোস্ট পড়ে ও ফটোগ্রাফি দেখে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, অনেকদিন পর ভাই ব্রাদারদের সাথে আড্ডা দেওয়া এবং খাওয়া দাওয়া নিয়ে আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।

হ্যাঁ ভাই এর আগে শীতলক্ষ্যা নদীর সৌন্দর্যের ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম আপনাদের সাথে। যাইহোক গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

অনেকদিন পর আপনজনদের কাছে পেয়েছেন তাদেরকে সাথে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করছেন এই দেখে আমি অনেক খুশি হয়েছি। সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনজনদের পাশে পেয়ে খাওয়া দাওয়া করতে পেরেছেন এটা যে কতটা মহান সৃষ্টিকর্তার নেয়ামত তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। কারণ দুনিয়াটা এমন একটা জায়গা আজ যার সাথে একসাথে চলছেন কাল তার সাথে একত্রে নাও চলতে পারেন, তবে এই সুন্দর আনন্দঘন মুহূর্তের জন্য সৃষ্টিকর্তার নিকট হাজার হাজার শুকরিয়া আদায় করা প্রয়োজন।

ঠিক বলেছেন ভাই, এতো সুন্দর মূহুর্ত কাটাতে পেরেছি এবং ওয়াক্ত মতো নামাজ আদায় করতে পেরেছি একমাত্র সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছাতে। তাইতো সৃষ্টিকর্তার কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া আদায় করছি। যাইহোক এমন মহামূল্যবান মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

আমারও ভাই ব্রাদার অথবা পরিবারের সবার সাথে আড্ডা দিতে অনেক ভালো লাগে। আর মেহমান তো হয়েছে ঘরের লক্ষী যত বেশি মেহমান ঘরে এনে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ান কখনোই আপনার ঘরের অভাব হবে না। আর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো আপনি সবার সাথে অনেক মজা করতে পেরেছেন এটা দেখেই। আনন্দের মুহূর্তগুলো সারা জীবন মনে থাকে। সবকিছু দেখে বোঝাই যাচ্ছে আপনি অনেক উপভোগ করলেন। আর আমাদের মাঝেও সুন্দরভাবে পোস্টটি উপস্থাপনা করলেন।

ঠিক বলেছেন ভাই, মেহমান হচ্ছে ঘরের লক্ষী। তাই সবসময় মেহমানদের খাতির যত্ন করা উচিত। যাইহোক গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

অনেকদিন পর ভাইদের সাথে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। সবার সাথে সময় কাটাতে পেরে নিশ্চয়ই আপনার খুব ভালো লেগেছে। খাওয়া-দাওয়া মুহূর্ত গুলো খুব চমৎকার ভাবে অতিবাহিত করেছেন। ‌ ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ ভাই অনেকদিন পর সবার সাথে দারুণ সময় কাটিয়েছি। মনে হচ্ছিল আমরা সবাই আগের মতো করে সাউথ কোরিয়াতে আড্ডা দিচ্ছিলাম। যাইহোক পোস্ট পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।