প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই ট্যুরের তৃতীয় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে চতুর্থ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক গত সপ্তাহে শেয়ার করেছিলাম আমরা ঝুলন্ত ব্রিজের একটু সামনে থাকা পাহাড়ে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে, তারপর বোট ভাড়া করার জন্য কথা বলতে গিয়েছিলাম। ঝুলন্ত ব্রিজের একেবারে শেষ মাথায় বোট ভাড়া করার একটি অফিস রয়েছে। তো সেই অফিসে কেউ ছিলো না বলে,আমরা দু'জন বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম এবং চারপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলাম।

যাইহোক কিছুক্ষণ পর সেখানে থাকা একটি পাহাড়ি ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম অফিসের লোক কোথায়। সে বললো যে একটু অপেক্ষা করতে হবে, কারণ সেই লোক নাকি একটু সামনে গিয়েছে কোনো একটা কাজে। একটু পর সেই লোক চলে আসলো এবং আসার পর আমি জিজ্ঞেস করলাম সারাদিন আমরা ৮ জন বোটে চড়ে কাপ্তাই লেক ঘুরবো এবং কয়েকটি দর্শনীয় স্থান দেখবো। তারপর সেই লোক চার্ট দেখতে বললো। কারণ তাদের বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ রয়েছে। প্যাকেজ এবং বোটের সাইজ অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। তো আমরা যেহেতু ৮ জন ছিলাম, তাই সেই ছেলেটা বললো মাঝারি সাইজের বোট নিলেই হয়ে যাবে আমাদের। তো আমি ইউটিউবে আগেই দেখে রেখেছিলাম রাঙ্গামাটির দর্শনীয় স্থান কোন গুলো।

তো সেই অনুযায়ী একটা প্যাকেজ পছন্দ করলাম এবং সেই প্যাকেজের ভাড়া হলো ৪,০০০ টাকা। তো দামাদামি করার পর শেষ পর্যন্ত ৩,৫০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হলো। যদিও আমি প্রথমে ৩,০০০ টাকা বলেছিলাম, কিন্তু সেই ছেলেটা রাজি হয়নি। যাইহোক সেই প্যাকেজের মধ্যে অনেক গুলো দর্শনীয় স্থানের কথা উল্লেখ থাকলেও, মেইন স্পট হচ্ছে পলওয়েল পার্ক এবং শুভলং ঝর্ণা। আমরা এই দুটি স্পটে ঘুরাঘুরি করার পাশাপাশি, বাকি স্পট গুলো দর্শন করার চেষ্টা করবো, সেটাই আমাদের প্ল্যান ছিলো সেদিন। যাইহোক বোট ভাড়া করার পর ফোন করে ওদের সবাইকে পাহাড় থেকে নিচে নামার জন্য বললাম। তো ওরা অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের সামনে পৌঁছে গেলো। তারপর ৩/৪ জনকে পাঠালাম গাড়িতে আমাদের সবার জামাকাপড়ের ব্যাগ নিয়ে আসার জন্য।

কারণ আমরা শুভলং ঝর্ণার পানিতে গোসল করবো। তো তারা গিয়ে সবার ব্যাগ নিয়ে আসার পর, আমরা ঝুলন্ত ব্রিজের নিচের দিকে নেমে পড়লাম বোটে চড়ার জন্য। তো আমরা বোটে উঠেই দেখতে পেলাম প্রতিটি সিট ভেজা। তারপর আমরা সবাই টিস্যু দিয়ে সিট গুলো মুছে, তারপর সিটে বসে পড়লাম। এরপর আমাদের যাত্রা শুরু হলো। বোট অল্প একটু সামনে যাওয়ার পরেই,বোটের চালক বললো যে তেল নিতে হবে। তো তেল নিতে গিয়ে দেখলাম যে ভালোই সিরিয়াল রয়েছে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে বোটে তেল নেওয়ার পর, প্রথমে বোট নিয়ে আমরা একটা বাজারের দিকে গেলাম নাস্তা করার জন্য। কারণ আমাদের সবার পেটের মধ্যে প্রচুর ক্ষুধা ছিলো তখন। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)