প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। গত পরশুদিন অর্থাৎ নবম রোজার দিন আমরা বন্ধু বান্ধব এবং পরিচিত ভাই ব্রাদার সহ মোট ১০ জন ইফতার পার্টি করেছিলাম। আত্নীয় স্বজন কিংবা নিজের বাসায় ইফতার পার্টির আয়োজন করা হলেও,বন্ধু বান্ধব এবং পরিচিত ভাই ব্রাদারদের সাথে এই বছরের প্রথম ইফতার করলাম। যাইহোক আমার বন্ধু আলামিনের বাসার দোতলার একপাশে খালি জায়গা রয়েছে এবং অন্য পাশে একটি ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজ মাত্র শেষ করা হয়েছে। তাই সেই খালি ফ্ল্যাটে আমরা খাওয়া দাওয়া করেছি এবং খালি জায়গায় রান্না করেছিলাম। আমার বাসা থেকে একেবারে কাছাকাছি তার বাসা। যাইহোক বুধবার সকালেই ইফতার পার্টির জন্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র কেনা হয়ে গিয়েছিল।

যদিও আমি সেদিন থাকতে পারিনি সবকিছু কেনার সময়। তবে তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ হয়েছে। যাইহোক ইফতার পার্টির মূল আইটেম ছিলো পোলাও, চিকেন রোস্ট এবং চিকেন ফ্রাই। সাথে বিভিন্ন ধরনের ফল,শরবত এবং আরও কিছু আইটেম ছিলো। মুরগি বাসায় কেটে মসলা মাখিয়ে মেরিনেট করে রেখেছিল। তারপর সবকিছু নিয়ে আলামিনের বাসায়, সবাই চলে এসেছিল বিকেল ৪ টার দিকে। কারণ পোলাও,চিকেন রোস্ট এবং চিকেন ফ্রাই তৈরি করতে অনেকটা সময় লাগবে। তবে আমি সেখানে আসর নামাজের পর গিয়েছিলাম। কারণ বুধবার কমিউনিটির বেশিরভাগ কাজ আমি দিনের বেলায় সম্পন্ন করার চেষ্টা করি। যাইহোক আমি আসর নামাজ পড়ে বাসা থেকে ঠান্ডা পানি,কয়েক ধরনের ফল এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে সেখানে চলে গিয়েছিলাম।

যাওয়ার পর দেখলাম সবাই সেখানে উপস্থিত ছিলো। পোলাও রান্না হচ্ছিল এবং চিকেন ফ্রাই তৈরি করা বাকি ছিলো। কিন্তু চিকেন রোস্ট ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়ে গিয়েছিল। যাইহোক এরপর আমাদের বন্ধু শাকিল চিকেন ফ্রাই তৈরি করা শুরু করলো। মূলত শাকিল সবকিছুই রান্না করতে পারে। কারণ একসময় তাদের রেস্টুরেন্ট ছিলো এবং কারণ বশত রেস্টুরেন্টটি বন্ধ করে দেয়। সাধারণত আমরা অনেকে রান্না করতে পারলেও, বেশি পরিমাণে রান্না করতে পারি না। ৪/৫ জনের জন্য রান্না করতে আমিও পারি,তবে ১০/১২ জনের জন্য রান্না করতে গেলে একটু ঝামেলা হয়ে যায়। যাইহোক ইফতারের সময় হওয়ার আগেই মোটামুটি সব রান্না হয়ে গিয়েছিল। ফল কাটা হয়ে গিয়েছিল এবং শরবত,সালাদ সবকিছুই রেডি করা হয়ে গিয়েছিল।

যাইহোক আমরা খালি ফ্ল্যাটের ফ্লোরে সবকিছু সাজিয়ে, দুই পাশে বসে ইফতার করা শুরু করলাম মাগরিবের আজানের পরপরই। প্রতিটি খাবার খুবই সুস্বাদু লেগেছিল খেতে। পোলাও,চিকেন রোস্ট এবং চিকেন ফ্রাই এতটাই পারফেক্ট হয়েছিল যে,সবাই বেশ প্রশংসা করেছিল। এককথায় বলতে গেলে রেস্টুরেন্টের খাবারের চেয়েও ভালো হয়েছিল। যাইহোক খাবারের পরিমাণ অনেক বেশি ছিলো বিধায়, কিছু খাবার এক ফ্রেন্ড তার বাসায় নিয়ে গিয়েছিল। যাইহোক আমরা খাওয়া দাওয়া শেষ করে, সবাই একসাথে নামাজ আদায় করলাম। তারপর বাসায় চলে আসলাম সবকিছু গুছিয়ে। কারণ কিছুক্ষণ পরেই তারাবির নামাজ পড়তে যেতে হবে। সবমিলিয়ে আমরা বেশ মজা করেছি। আসলে বন্ধু বান্ধবদের সাথে এভাবে সময় কাটানোর মজাই আলাদা। এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি আমরা। তাই ভাবলাম এতো সুন্দর অনুভূতি আপনাদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করা দরকার।