আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। নিজের ভালোলাগা কিংবা মন্দ লাগার বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই আজকে আমি একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন প্রতি মাসেই আমার ডক্টরের কাছে যেতে হয়। বেশ কয়েক মাস থেকেই এভাবেই দিন পার করছি। মেডিসিন, ডক্টর আর হসপিটাল সবকিছু মিলে জীবন একেবারে নাজেহাল। সময়ের সাথে সাথে সবকিছু এখন মেনে নিয়েছি। নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি। এখন আর খুব একটা খারাপ লাগে না। হয়তোবা সময়ের সাথে সাথে সবকিছু অভ্যাস হয়ে গেছে। কিংবা সবকিছুতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। কয়েকদিন আগে আমার ডক্টর দেখানোর ডেট ছিল। তাই আগে থেকেই সিরিয়াল দেওয়া হয়েছিল।

নির্দিষ্ট সময়ে ডক্টর দেখানোর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। সাথে ছোট বোনকে নিয়েছিলাম। কারণ একা একা গেলে খুবই বিরক্ত লাগে। ডক্টরের কাছে যাওয়া মানেই এক ভোগান্তির কাজ আর অপেক্ষার পর অপেক্ষা। একা একা সময় কাটাতে মোটেও ভালো লাগবে না। তাই ভাবলাম ছোট বোনকে নিয়ে যাই। যখন আমরা ডক্টরের চেম্বারে গেলাম তখন গিয়ে দেখি ডক্টর বেরিয়ে যাচ্ছেন। এমারজেন্সি পেশেন্ট আছে অপারেশন থিয়েটারে। তিনি সিজারের জন্য রেডি হচ্ছেন।

কি আর করার অপেক্ষা তো করতেই হবে। যদিও আমার সিরিয়ালের সময়টা তখনই ছিল। কিন্তু এমার্জেন্সি প্রেসেন্ট আসাতে আমাকে অপেক্ষা করতে হলো। নিচে এত পরিমান ভিড় ছিল যে বসার মত কোন স্পেস ছিল না। আর এত ভিড়ের মধ্যে থাকতেও ভালো লাগছিল না। যেহেতু হাতে সময় আছে তাই ভাবলাম একটু ঘুরে ঘুরে হসপিটালে দেখি। যখন উপরের দিকে গেলাম তখন দেখি অনেক লোক অপেক্ষায় রয়েছে তাদের পেশেন্টের জন্য। অনেকের মুখে চিন্তার ছাপ দেখতে পেলাম। আসলে প্রিয় মানুষগুলোকে যখন অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানো হয় তখন বাইরের মানুষের অবস্থা দেখলে সত্যিই খারাপ লাগে।

সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে আমি আর আমার বোন ঘুরে ঘুরে সব কিছু দেখছিলাম আর তখন দেখি প্রত্যেকটা কেবিনে ছোট ছোট বাচ্চা তখন অনেক ভালো লেগেছে। সবাই নতুন অতিথিকে নিয়ে অনেক আনন্দ করছে। আসলে এই মুহূর্তগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। সহজ সরল মানুষগুলোর মুখের সেই হাসিটা আমার আসলে অনেক ভালো লেগেছিল। তারা তো আমাদেরকেও বসতে বললো। আমরা বেশিক্ষণ সেখানে ছিলাম না। ঘুরে ঘুরে সব কিছু দেখছিলাম আর একটু ফাঁকা স্পেসে গিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম।

হসপিটালে গেলে আসলে অনেক সময় নিয়ে যেতে হয়। কখন ডক্টর দেখানো শেষ হবে এটা বলা মুশকিল। তবে যেহেতু বোনসহ গিয়েছিলাম তাই সময়টাকে নিজেদের মতো করে কাটানোর চেষ্টা করেছি। তবে এটা ঠিক যতই আমরা নিজেদের মতো করে সময় কাটাই না কেন হসপিটাল মানে একটি বিরক্তিকর জায়গা। অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল বলে আরও বেশি বিরক্ত লেগেছিল। অবশেষে কি আর করার সবকিছু শেষ করে মেডিসিন নিয়ে বাসায় ফিরে এসেছিলেন।