আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-১৪ || গ্রীস্মকালীন ফলের গল্প||[10% shy-fox]

in hive-129948 •  2 years ago 

আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার


আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ের চলমান প্রতিযোগিতা গ্রীস্মকালীন ফলের গল্প এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। আমার বাংলা ব্লগ সবসময় দারুন দারুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। তাই এবারের প্রতিযোগিতার বিষয় বস্তু অনেক সুন্দর ছিল। এবার আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমার গ্রীষ্মকালীন ফলের গল্প শেয়ার করতে চলেছি। আশা করছি আমার গল্পটি সকলের কাছে ভালো লাগবে।


গ্রীস্মকালীন ফলের গল্প:

mangoes-bunch-g6b6f4f006_1920.jpg

Source


গ্রীষ্মকালীন ফলের গল্প লিখতে গিয়ে শৈশব স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আসলে আমরা আমাদের শৈশবে কতই না সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছি। শৈশব স্মৃতির মতো সুন্দর সময় জীবনে আর কখনো আসে না। জীবনের সোনালী সময় হল শৈশবকাল। আর শৈশবকে কেন্দ্র করেই আমি আজকে আমার গল্পটি উপস্থাপন করব। আমি ছোটবেলায় আমার গ্রামের বাড়িতে বড় হয়েছি। গ্রামের সেই শৈশব স্মৃতি গুলো আজও আমার মনে পড়ে। তবে দুঃখের বিষয় হলেও সত্য আমি খুব বেশিদিন গ্রামে কাটাতে পারিনি। কারণ আমার বাবার চাকরির সুবাদে শহরে যেতে হয়েছে। আসলে আজকে আমি আমার শৈশবের হাসি কান্না সবকিছু মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি গ্রীস্মকালীন ফলের গল্প লিখব। তবে এবার আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করছি আমার লেখা গল্পটি। আমি যখন গ্রামের বাড়িতে থাকতাম তখন গ্রীস্মকালে অনেক আনন্দ উল্লাসে সময় কাটাতাম। আমার ছোট ছোট বন্ধুরা মিলে সবাই অনেক দুরন্তপনা করতাম। খেলাধুলা হাসি আনন্দে মেতে থাকতো প্রতিটি মুহূর্ত। আর গ্রীষ্মকাল এলেই শুরু হয়ে যেত ফল কুড়ানোর মজা। আসলে ফল কুড়োনোর মজা এখনকার সময়কার ছেলেমেয়েরা হয়ত বুঝতে পারবে না। কিন্তু সেই সময় এতটাই আনন্দ লাগত মনে বোঝানোর মত নয়। একটি আম কুড়ানোর জন্য কতজন হুড়োহুড়ি করে দৌড়ে যেতাম। তখন মনে হত যেন যে এই আমটি পেয়েছে সে সবচেয়ে ভাগ্যবতী। একদিন ঠিক করলাম খুব সকালে আম কুড়াতে যাব। তাই সকলেই ঘুম থেকে খুব সকাল সকাল উঠে পড়লাম। উঠে আমরা সকলে মিলে যখন আম কুড়াতে গেলাম তখন ভোরের আলো খুব একটা পরিষ্কার হয়নি। আসলে ভোর বেলায় উঠে আম কুড়ানোর মজা হয়তো অনেকেই জানেন না। ভোরের আলো একটু পরিষ্কার হলেই আম কুড়ানোর জন্য গিয়েছি।


mango-g928b52981_1920.jpg

Source


সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো আমরা সবাই মিলে সকালবেলায় স্কুলে যাওয়ার আগে গুনতাম আজকে সকালে কে কয়টি আম পেয়েছে। সত্যি কথা বলতে যে সবচেয়ে বেশি আম পেত তার ভাব দেখলে মনে হতো যেন সে বিশ্ব জয় করে ফেলেছে। তার মুখে ফুটে উঠত আনন্দের এক হাসি। আর অন্যরা কষ্টে মন খারাপ করে থাকতো। আসলে আম খাওয়ার মধ্যে যে আনন্দ ছিল তার চেয়ে বেশি আনন্দ ছিল আম কুড়ানোর মধ্যে। আম কুড়ানোর মজা পায় তো এখনকার যুগের ছেলে মেয়েরা বুঝবে না। কারণ তারা তো ঘুম থেকে উঠে অনেক দেরিতে। আর উঠে ব্রাশ হাতে নিয়ে ফ্রেশ হয়ে স্কুলের দিকে চলে যায়। কিন্তু আমরা যখন শৈশবের গ্রীস্মকালের সময় গুলোকে উপভোগ করতাম তখন কিন্তু এরকম চিত্র ছিল না। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে এরপর গাছের নিচে পাকা পাকা আম কুড়ানো যেন আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। আমের বাগান, বড়ই বাগান সবকিছুই যেন জীবনের অংশ হয়েছিল। গ্রীস্মকালে যখন গাছে গাছে ফল পেকে থাকে তখন পাখিরা যেমন আনন্দ পায় ঠিক আমরাও পাখির মতো আনন্দে মেতে উঠতাম। বন্ধুদের সাথে সেই আম কুড়ানোর মুহূর্ত আজও মনে পড়ে। বিশেষ করে কাঁচা আম ফালি ফালি করে লবণ দিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা ছিল। লবণ দিয়ে আমের ফালিগুলো যখন খেতাম মনে হত যেন পৃথিবীর সব মজার খাবারের কাছে এই খাবার কিছুই না। আমি যখন লেখাগুলো লিখছিলাম তখনও আমার জিভে জল চলে এসেছিল। গাছের পাকা পাকা বরই গুলো যখন দেখতাম তখন মন আনন্দে নেচে উঠতো। আমাদের বাসার পাশে একটি বরই গাছ ছিল। কিন্তু বড়ই গাছের মালিক কখনোই আমাদেরকে বরই খেতে দিতেন না। তাই আমরাও সেই সুযোগের অপেক্ষায় থাকতাম তখন তিনি বাহিরে যান। আমরা সবাই মিলে প্ল্যান করলাম যেদিন বরই গাছের মালিক বাইরে কোথাও যাবেন সেদিন আমরা অনেক বড়ই পারবো। আমাদের সবার সাথে একজন ছোট ছেলে ছিল সে বড়ই গাছে উঠতে পারত। হঠাৎ করে একদিন দেখলাম সেই লোকটি তার মেয়ের বাড়িতে যাচ্ছেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমরাও উনার গাছ থেকে পাকা পাকা বরই পেরে নিলাম। এরপর সবাই মিলে সেই দূরের সবুজ ঘেরা ধানক্ষেতের প্রান্তর পার হয়ে একটি ফাঁকা জায়গায় গেলাম। এরপর সবাইকে বললাম যে যার মতো বাসা থেকে লবণ, কাঁচামরিচ ও হালকা একটু মরিচের গুঁড়া নিয়ে আসতে। একজন আবার বলেই ফেলল একটা বড় কলা পাতা নিয়ে আসলে কেমন হয়। এবার আমরা বড় একটি কলার পাতা নিয়ে এসে সেই বরইগুলো কলা পাতার উপর রেখে সুন্দর করে হাত দিয়ে ছিড়ে ছিড়ে ভর্তা করলাম। লবণ, মরিচ ও মরিচের গুঁড়ো দিয়ে মাখানো সেই কলা পাতার উপর বরই ভর্তা খেতে অসাধারণ লেগেছিল।


star-apple-gf6d844e8e_1920.jpg

Source


এরপর হঠাৎ করে আমার জীবনে শৈশবের আনন্দঘন মুহূর্তের ইতি ঘটলো। কারণ হচ্ছে আমার বাবা চাকরির সুবাদে আমাদের সবাইকে নিয়ে শহরে চলে এলেন। সত্যি কথা বলতে শহরের বন্দিজীবন আমার শৈশবকে একেবারেই নষ্ট করে দিয়েছে। শৈশবের সেই আনন্দমাখা সময়গুলো ও হাসি-আনন্দ ঘুরে বেড়ানো সবকিছুই যেন চার দেয়ালের মাঝে বন্দী হয়ে গেছে। গ্রীস্মকালীন ফল খাওয়ার উৎসব যেন ধোঁয়াশার মধ্যে আটকে গেল। আসলে শহরের শৈশব আর গ্রামে কাটানো শৈশবের মাঝে অনেক পার্থক্য রয়েছে। শহরের চার দেয়ালের মাঝে যখন নিজেকে খুব একা ভাবতাম তখন মাঝে মাঝে খুবই কষ্ট হতো। ফল কুড়োনোর মুহূর্ত ও গ্রামের বন্ধুদের কথা মনে পড়তো। তাদেরকে খুব মনে পরতো তখন। শহরের চার দেয়ালের মাঝেই যেন আমার পৃথিবী তৈরি হয়েছিল। কারন আমার শৈশবের সেই গ্রীস্মকালীন স্মৃতিগুলো আমার চার দেয়ালের মাঝে আটকে গিয়েছিল। দলবেঁধে আম কুড়ানো, দলবেঁধে বরই চুরি করা, বরই গাছে ঢিল মারা সবকিছুই যেন চার দেয়ালের মাঝে বন্দী হয়ে গিয়েছিল। যখন হঠাৎ করে আমি আমার শহরের বাসায় একটি বন্ধু পেলাম তখন আমার খুবই ভালো লাগলো। এবার আমি গ্রীস্মকালীন ফলের গল্পে আমার এই বন্ধুর সাথে কাটানো মুহূর্ত উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। সে কখনো গ্রামে যায়নি। সে শহরে মানুষ হয়েছে। তাই তার কাছে গ্রামের গ্রীস্মকালীন শৈশব, আম কুড়ানো সবকিছুই যেন স্বপ্নের মত। আমি আর আমার সেই বন্ধুটি মিলে তাদের বাসার ছাদে গিয়ে আম গাছ গুলোর যত্ন নিতাম। চার দেয়ালের মাঝে যখন আমার গ্রীস্মকালীন শৈশব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তখন সেই ছাদে লাগানো আম গাছ গুলোর মাঝে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছিলাম। যখন এই ছোট ছোট আম গাছে মুকুল আসলো তখন যেন আমার মন আনন্দে নেচে উঠল। এরপর আমরা দুজনে মিলে সকাল-বিকাল গাছে পানি দিতাম ও যত্ন করতাম। আর খালি ভাবতাম এই গাছে কখন আম ধরবে। এভাবে যখন আমাদের দিন কেটে গেল ধীরে ধীরে এই ছোট ছোট গাছ গুলোতে অনেক সুন্দর আম ধরল। তবে সেই শৈশবের গ্রামের স্মৃতির মতো এখানে আর আনন্দ ঠিক জমে উঠছিল না। একদিন আমরা দুজনে মিলে একটি বিশাল দুষ্টুমি করে ফেললাম। আমার বাসায় লাল রং ও হলুদ রং ছিল। আমি এবং আমার সেই ছোট্ট বন্ধু মিলে দুজনে আমগুলোকে পাকানোর জন্য হালকা লাল ও হলুদ রং করে দিলাম। আসলে কাঁচা আমগুলো দেখতে আমাদের কাছে খুব একটা ভালো লাগছিলো না। তাই আম গুলো রং করে দিলাম। এজন্য অবশ্য কিছুটা বকা খেতে হয়েছিল বাসায়। কিন্তু কি আর করার আমরা আমাদের মতো করে ভেবে নিয়ে আমগুলোকে পাকিয়ে দিয়েছি। হয়তো সেই পাকা আমের স্বাদ গ্রহণ করার জন্য আমাদের মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি তৈরি হয়েছিল। আজকে যখন এই গল্পটি লিখেছিলাম তখন বারবার সেই পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যাচ্ছিল। এভাবেই আমি আমার গ্রীষ্মকালীন ফলের গল্প উপস্থাপন করলাম।


দারুন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আমাদেরকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আসলে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে পুরনো দিনের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আশা করছি আমার লেখা এই গল্প সকলের কাছে ভালো লাগবে।


❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার আম কুড়ানোর গল্পটি আমার বেশ ভালো লাগল। অনেক মজাদার ছিল গল্পটি।আপনি অনেক গুছিয়ে আপনার গল্পটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। চমৎকার উপস্থাপন ছিলো। শুভ কামনা রইলো।

আপু খুবই চমৎকার ভাবে আপনি আপনার শৈশবের স্মৃতি গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন গ্ৰীষ্ম কালীন কাঁচা আম নিয়ে, আমার কাছে আপনার গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। আমি তো সবসময় একটা কথাই ভাবি আমরা যখন গ্রামে ছিলাম আমাদের শৈশবটা এরকম আনন্দঘন মুহূর্তে কেটেছে কিন্তু আমাদের বাচ্চারা শহরের যে চার দেওয়ালের মাঝে তারা বন্দি তারা এগুলোর কোনো কিছুই তাদের মধ্যে নেই, খুবই খারাপ লাগে কিন্তু কি করব জীবিকার তাগিদে তাদেরকে নিয়ে শহরে থাকতে হচ্ছে, তাই বাস্তবতাকে মেনে নিয়েই আসলে সামনের দিকে এগোতে হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু খুবই চমৎকার ভাবে আপনার গ্ৰীষ্ম কালীন আম কুড়ানোর গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ভাইয়া আমি চেষ্টা করেছি আমার শৈশবের স্মৃতির মাঝে এই গল্পটি উপস্থাপন করার জন্য। আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এই সুন্দর গল্প উপস্থাপন করেছি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার মন্তব্য প্রকাশ করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।

আপনার লেখা এই গল্পটি আমার খুবই ভালো লাগলো। গল্পটি পড়ে আমার শৈশবের দিনগুলো মনে পড়ে গেল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আমার লেখা গল্প আপনার কাছে ভালো লেগেছে এটা জেনে ভালো লাগলো। আসলে আমাদের শৈশব গুলো একই রকমের ছিল। তাই আমার গল্প পড়ে আপনার শৈশবের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেছে। সুন্দর মন্তব্য করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।

আপনি খুব চমৎকার করে গ্রীষ্মকালীন ফল গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমরা গল্পটি পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো। আসলে আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই ছোটবেলায় এরকম গল্প জড়িয়ে আছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করা জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।

গ্রীষ্মকালীন ফলের গল্প আপনার কাছে ভালো লেগেছে এটা জেনে আমারও ভালো লাগলো ভাইয়া। আমি চেষ্টা করেছি আমার ছোটবেলার গল্পের মাঝে সুন্দর একটি গল্প উপস্থাপন করার জন্য। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আজ যতগুলো গল্প পড়লাম সবগুলোতে প্রায় একই অবস্থা। গাছের মালিক ফল খেতে দেয় না তাই বাধ্য হয়ে ফল চুরি করা। মালিক গুলো কেন বোঝেনা গাছের ফল মূল একা খেতে হয় না। সবাইকে দিয়ে খেতে হয়। এটা যদি করত তাহলে কাউকে আর চুরি করতে হতো না। অবশ্য দিয়ে খেলে একটা ঝামেলা হতো, তাহলে আর এত সুন্দর সুন্দর গল্প গুলো আমরা শুনতে পেতাম না হাহাহাহা।

গাছের মজাদার পাকা ফল হচ্ছে সকলের খাওয়ার জন্য। লোভনীয় ফলগুলো যদি গাছের মালিক খেতে না দেয় তাহলে চুরি করতেই হয়। যাইহোক ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার মন্তব্য প্রকাশ করেছে এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আপু আপনার গল্প টি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার শৈশবের স্মৃতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমার শৈশবের স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেল। আপনার এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য মঙ্গল কামনা করি।

ভাইয়া আমি আমার শৈশবের স্মৃতি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। সেই সাথে সুন্দর একটি গল্প আপনাদের মাঝে উপহার দিয়েছি। আপনি আপনার মতামত অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। দারুণভাবে মতামত উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আমরাও আগে ভোর হলেই আম কুড়াতে বের হতাম। কিন্তু ঘটনা দুঃখের হলেও বেশ মজার যে আমি কখনোই ভবন্ধুদের সাথে আম কুড়াতে গিয়ে আমি পাইনি, কিন্তু বন্ধুরা সব সময়ই পেত। আপনার গল্প শুনে আমার অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার গল্পটি পরে ,, আপনার আগামীর জন্য শুভকামনা রইলো।

জি ভাইয়া ভোর হলে আমরা আম কুড়াতে যেতাম। সেই সময় গুলো অনেক সুন্দর ছিল। আমার গল্পটি আপনার কাছে ভাল লেগেছে এটা জেনে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

গ্রীষ্মকালের অসাধারণ একটি স্মৃতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপু। আমার কাছে আপনার গল্পটি অনেক ভালো লেগেছে। কারণ আমি খুব সুন্দর করে সবকিছু বর্ণনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার উপস্থাপনা অনেক ভাল ছিল। আপনার মত আমারও কিছু ভোরবেলা আম কুড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করি গল্পের মাধ্যমে আমি তুলে ধরবো। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম একটি সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আসলে আমাদের ছেলে বেলার স্মৃতি গুলো একই রকমের। ভোর বেলায় আম কুড়ানো আমাদের শৈশবের সাথে মিশে আছে। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার মন্তব্য প্রকাশ করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।

এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে খুব সুন্দর সুন্দর গ্রীস্মকালীন ফলের গল্প পড়তে পারতেছি। আসলে অনেক ভালো লাগছে ভিন্ন ভিন্ন রকমের গল্প পড়তে পেরে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার গল্পটা ও খুব সুন্দর ছিল ভাল থাকুন সবসময়।

ভাইয়া আপনি একদম ঠিক কথাই বলেছেন এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা দারুন দারুন সব গল্পগুলো করতে পারছি। ভাইয়া আপনি আমার লেখা গল্পটি পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন এজন্য খুবই ভালো লাগলো। আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।

সত্যি বলতে এই প্রতিযোগিতা যদি না রাখা হতো তাহলে এরকম এতগুলা সুন্দর গল্প পড়তে পারতাম না।আর প্রতিযোগিতার কারণে পড়তে পারলাম অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপু আপনি খুবই সুন্দর ভাবে গ্রীষ্মকালীন ফলের সাথে আপনার শৈশবের স্মৃতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে আমরা যারা গ্রামে বড় হয়েছি তারাই এই শৈশবে যে আম কুড়ানোর মজা সেটা বুঝেছি। আর আপনি একটি ঠিক কথা বলেছেন যে আপনাদের মাঝে প্রতিযোগিতা কে কয়টি আম কুড়াতে পারে। এটা আসলেই খুবই মজার একটি ঘটনা ছিল। খুবই ভালো লাগছিল আপনার ঘটনা পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে এই ঘটনাগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আসলে গ্রীষ্মকালীন ফলের স্মৃতির সাথে মিশে আছে আমাদের শৈশব স্মৃতি। এর ফলে শৈশব স্মৃতি নিয়ে আমি লিখে ফেললাম। গ্রীষ্মকালীন ফলের মধুর অনুভূতিগুলো শৈশবেই বেশি পাওয়া যায়। অনেক সুন্দর ভাবে আপনার মন্তব্য প্রকাশ করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

অসাধারণ ছিলো আপনার গল্প। আপনার গল্পের মাঝে ইউনিক ভাবটা বেশি ছিলো। কয়েক জনের গল্প পড়া হইছে তবে এর মধ্যে আপনার গল্প বেস্ট। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।

আমার লেখা গল্প আপনার কাছে ভাল লেগেছে এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার মন্তব্য প্রকাশ করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আপু আপনার গ্রীস্মকালীন ফলের গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

আপু, আপনি ঠিকই বলেছেন ভোরের বেলা আম কুড়ানোর মজা হয় তো সবাই জানে না। কারণ আমিও ভোরের বেলা অনেক আম কুড়িয়েছি এবং সেইসাথে আনন্দ উপভোগ করেছি। ছোটবেলায় খেলার সাথীদের নিয়ে আম কুড়াতে গেলে কে কয়টি আম পেয়েছি সেটা নিয়ে ভীষণ মজা হত। যে সবচেয়ে বেশি পেত তাকে বরাবরই আমরা খুব ঈর্ষার চোখে দেখতাম। ছোটবেলার কথা মনে পড়লেই মনে হয় আবার যেন সেই স্মৃতিতে ফিরে যেতে পারতাম তাহলে কতই না মজা হত। আপনার সুন্দর গল্পটি উপস্থাপনের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভালো থাকবেন।

ভাইয়া আপনি একদম ঠিক কথাই বলেছেন ভোর বেলায় আম কুড়ানোর মজাই আলাদা। ভোর বেলায় সবার সাথে আম কুড়াতে ভালো লাগে। আসলে এখন আর সেই সব দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায় না। অনেক সুন্দর করে আপনি আপনার মতামত প্রকাশ করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আপু আপনাকে অভিনন্দন জানাই আপনি খুবই সুন্দর ভাবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন, আপনার ছোটবেলার স্মৃতি বিজড়িত কাহিনী গল্প শুনে আমি অনেক অনেক আনন্দিত হলাম, প্রতিটি মানুষের জীবনে এরকম ঘটনা আহরণ ঘটে থাকে। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন শৈশবের স্মৃতি গুলো মনে পড়লে খুবই কষ্ট হয়। মনে হয় যেন সুখের আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো মনের অজান্তে দূরে ফেলে চলে এসেছি। যাইহোক আপনি এটাও ঠিক বলেছেন আম খাওয়ার চেয়ে আম কুড়ানোর মজাটাই ছিল আলাদা। আর যে আম বেশি পেত তার ভাব থাকতো অন্যরকম। তবে এখনকার সময় আম কুড়ানো কি জিনিস তা অনেকেই জানে না। তবে আপনার বাবার চাকরির সুবাদে আপনাকে শহরমুখী হতে হয়েছে শুনে কষ্ট পেলাম। শৈশব থেকে অনেকগুলো সোনালী দিন হারিয়ে ফেলেছে। আপনার শৈশবে এত সুন্দর গল্প গুলো আমাদের সাথে ভাগাভাগি নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন শৈশবের স্মৃতি গুলো মনে পড়লে খুবই কষ্ট হয়। আসলে শৈশবের সেই আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আর কখনো ফিরে আসবে না। আপনি সুন্দর করে আমার এই পোস্ট পড়েছেন এবং অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন। সুন্দরভাবে আপনার মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আপনার ছোটবেলার গল্প শুনে দারুন লাগলো 🤗
সত্যিই ছোটবেলা অনেক মজার হয়ে থাকে।
আমারও এরকম অনেক স্মৃতি মনে পরে গেল।
আপনার কাচা আম রং করার বিষয়টি বেশ মজার ছিল ☺️

ছোটবেলার মজার গল্প শুনে আপনার কাছে ভালো লেগেছে এটা জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। কাঁচা আম রং করার বিষয়টি এখনোও মনে পড়ে ভাইয়া। সত্যি ভাইয়া শৈশবের স্মৃতি গুলো একটু ভিন্ন ছিল। আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

সকলের শৈশবের সাথেই আসলে এমন নানা রকম গল্প জড়িয়ে থাকে। তবে আপনার কাঁচা আম রং করার ঘটনাটা আসলেই বেশ মজার ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

সত্যি ভাইয়া কাঁচা আম রং করার ঘটনাটি আজও আমার মনে পড়ে। ভাইয়া আপনি আমার এই লেখা পড়েছেন এজন্য আমার অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।