আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। প্রত্যেক সপ্তাহে একটি করে নাটক রিভিউ শেয়ার করার চেষ্টা করি। কয়েকদিন থেকে ব্যস্ততার কারণে নাটক দেখার সময় পাচ্ছিলাম না। তবে একটুখানি সময় করে নাটকটি দেখে নিয়েছিলাম আর সেই সুন্দর নাটক রিভিউ শেয়ার করবো। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।
নাম | সর্বস্ব বাজি |
---|---|
রচনা | জুবায়েদ আহসান |
পরিচালনা | মাহমুদুর রহমান হিমি |
সম্পাদনা | রমজান আলী |
অভিনয়ে | তানজিম সায়েরা তটিনী, জোভান এবং আরো অনেকে |
দৈর্ঘ্য | এক ঘন্টা |
মুক্তির তারিখ | ৭ নভেম্বর ২০২৪ |
ধরন | ড্রামা |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- তানজিম সায়েরা তটিনী(চুমকি)
- জোভান(শুভ)
নাটকের প্রথম দৃশ্যে শুভকে দেখানো হয়। শুভ বিছানায় শুয়ে আছে আর তার বোন তাকে ডেকে বলছে তার দুলাভাইয়ের সাথে যেতে। শুভর রুমের ফ্যানটা খুব একটা চলছে না। কোন রকমে নড়ভরে হয়ে আছে। এটা শুভর বোনের চোখে পড়ছে না এজন্য শুভর ভীষণ বিরক্ত লাগছে। এরপর শুভ বেরিয়ে যায় দুলাভাইয়ের সাথে। অন্যদিকে গল্পের অন্যতম চরিত্র চুমকিকে দেখানো হয়। চুমকি পড়াশোনার জন্য নিজের বাড়ি থেকে শহরে এসেছে। ইচ্ছে ছিল হোস্টেলে ওঠার। কিন্তু যেহেতু শহরে মামার বাড়ি রয়েছে তাই মামা মামির জোরাজুরিতে মামা বাড়িতেই থাকতে হয়। সে শিফট হয়ে যায় মামার বাড়িতে।
অন্যদিকে শুভ তার খালার বাড়িতে যায়। দরজা খুলে দেয় চুমকি। চুমকিকে প্রথম দেখে শুভ ভাবে হয়তো ভুল ঠিকানায় চলে এসেছে। এরপর শুভ জানতে পারে এটা চুমকির মামার বাসা অর্থাৎ চুমকির মামী হলো শুভর খালা। প্রথম দেখাতেই দুজনের কিছুটা কথা হয়। যদিও কেউ কাউকে তেমন পাত্তা দিচ্ছিল না। শুভ মাঝে মাঝেই তার খালাল বাসায় আসতো। চুমকি তার মামীকে ফেসবুক চালানো শেখানোর দায়িত্ব নেয় এবং সে সবকিছু শিখিয়ে দিতে থাকে। অন্যদিকে চুমকির মামা শুভকে পটিয়ে ফেসবুক চালানো শিখতে চায়। দুজনে দুজনকে হেল্প করতে থাকে। আর চুমকি এবং শুভর মাঝে কিছুটা দূরত্ব কমতে থাকে। এরপর চুমকি জানতে চায় সে রাতে কি খাবে। তার মামী তাকে জানতে পাঠিয়েছে। তখন শুভ জানায় সে ইলিশ মাছ ভাজা খাবে। এটা শুনে চুমকি বিরক্ত হয়ে যায়।
তখন শুভ বলে সে সবাইকে নিয়ে মাওয়া ঘাটে ইলিশ মাছ খেতে যাবে। আর চুমকির সাথে বাজি ধরে। পকেটে যে কয় টাকা আছে সেটা দিয়ে সে বাজি ধরে ফেলে। অবশেষে বুদ্ধি করে শুভ সবাইকে নিয়ে মাওয়া ঘাটে ইলিশ মাছ ভাজা খেতে যায়। আর বাজিতে চুমকি হেরে যায়। এরপর থেকে দুজনের মাঝে দূরত্ব কিছুটা কমতে থাকে। চুমকি এবং শুভ দুজন দুজনকে পছন্দ করতে শুরু করে। শুভ বিভিন্ন বাহানায় চুমকিদের বাসায় আসে। আর চুমকিও শুভর সাথে সময় কাটাতে খুবই পছন্দ করে। এভাবে দেখতে দেখতে বেশ কিছুদিন কেটে যায়। আর দুজনের জন্য দুজনের মনে ভালোবাসা তৈরি হয়।
হঠাৎ একদিন শুভর বোন শুভকে বলে খালার বাসায় সবাইকে দাওয়াত করেছে। শুভ বলে আমাকে তো ফোন করেনি। তখন শুভর বোন বলে সবাইকেই তো যেতে বলেছে। সেখানে যাওয়ার পর শুভ চুমকিকে দেখে ভীষণ খুশি হয়। সে শাড়ি পড়ে সুন্দর করে সেজেছে। তাকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। এমন সময় শুভর দুলাভাই অন্য একটি ছেলেকে সেখানে নিয়ে আসে এবং শুভ জানতে পারে সেই ছেলেটির সাথে চুমকির বিয়ে ঠিক হয়েছে। ছেলেটি অনেক বড়লোক ফ্যামিলির ছেলে এবং ভালো টাকা পয়সা আছে তার। এরপর শুভ সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যায়। চুমকির বিয়ের কথা শুনে সে নিজেকে সামলে রাখতে পারেনি। তখনই সেখান থেকে চলে যায়। এটা দেখে চুমকির খুবই মন খারাপ হয়। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারে না।
সেদিনের পর থেকে শুভ চুমকির সাথে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় কোনভাবেই আর যোগাযোগ রাখে না। অন্যদিকে চুমকির ভীষণ খারাপ লাগছিল শুভর জন্য। সেও শুভকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছে। তাই শুভকে খুঁজতে শুরু করে। এরপর হঠাৎ করেই চুমকির মনে পড়ে যায় শুভ মাছ বাজারে মাছ কিনতে যায়। চুমকি অনেক খোঁজার পর শুভকে পেয়ে যায়। আর দুজনে একটি ফাঁকা জায়গায় গিয়ে কথা বলে। শুভ তখন বলে চুমকির বিয়ে ঠিক হয়েছে বলে সে দূরে চলে গেছে তখন চুমকি বলে সে তাকে বিয়ে করতে চায় এবং পড়াশোনা শেষ করে যখন চুমকির চাকরি হবে তখন সে বিয়ে করবে। যাতে কোন সমস্যা না হয়। এরপর দুজনের ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটে এবং নাটকটি শেষ হয়ে যায়।
নাটকের গল্পটি আমার কাছে ভালোই লেগেছে। একটি মিষ্টি প্রেমের গল্প ছিল। চুমকি যেমন মনে মনে শুভকে পছন্দ করতো তেমনি শুভ প্রথম দেখাতেই চুমকিকে ভালোবেসে ফেলেছিল। কিন্তু যখন চুমকির অন্য কোথাও বিয়ে ঠিক হয়েছে তখন শুভ নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিল। অবশেষে শুভ তার ভালোবাসার মানুষটিকে পেয়ে গেছে।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
https://x.com/Monira93732137/status/1856320462248390703?t=RF6D1qfcor5puXQe0m9C8w&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি সবসময় চেষ্টা করি সুন্দর সুন্দর নাটকগুলোর রিভিউ পড়ার জন্য। সংক্ষেপে রিভিউর মাধ্যমে নাটকের কাহিনীটা জানতে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝেই সময় পেলে নাটক দেখি। এরকম নাটক গুলো আমার অনেক বেশি দেখা হয়। এই নাটকটার শর্ট ভিডিও দেখেছিলাম। আর তখন ভেবেছিলাম নাটকটা সম্পূর্ণ দেখবো। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে এখনো দেখা হয়নি। এখন রিভিউ পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই নাটকের গল্পটি খুবই ভালো লেগেছে। আপনি সবসময় নাটক রিভিউ পড়ার চেষ্টা করেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জোভান এবং তটিনির এই নাটকটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এরকম নাটকগুলো আমি খুবই পছন্দ করি। এই পুরো কাহিনীটা জাস্ট চমৎকার ছিল। আমি যখনই সময় পাই এরকম নাটকগুলো দেখে থাকি। আমার কাছে পুরোটা এতো ভালো লেগেছে যে, আমি ভাবছি সময় পেলে এই নাটকটা দেখবো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নাটক দেখতে আমিও খুবই পছন্দ করি। তাই মাঝে মাঝে নাটক দেখি এবং নাটক রিভিউ শেয়ার করি আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাংলা নাটক গুলো আমার কাছে দেখতে খুবই ভালো লাগে। কেননা নাটকের গল্প গুলো খুব সুন্দর হয়। আপনার শেয়ার করা সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো। সময় পেলে অবশ্যই নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit