রেসিপি-কচুশাক ভর্তা রেসিপি||

in hive-129948 •  yesterday 

আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার


আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি করা মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। নিজের পছন্দের রেসিপি গুলো তৈরি করতে অনেক ভালো লাগে। কচু শাক আমার ভীষণ প্রিয়। মাঝে মাঝেই কচু শাক রান্না করা হয়। আর বিভিন্নভাবে কচু শাক রান্না করার চেষ্টা করি। কচু শাক ভর্তা করলেও খেতে দারুন লাগে। তাই আজকে আমি কচু শাকের ভর্তা রেসিপি শেয়ার করবো। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।


কচুশাক ভর্তা রেসিপি:

IMG_20241122_161845.jpg
Device-OPPO-A15


কচুশাক খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। কচু শাক পুষ্টি গুণে পরিপূর্ণ। বিশেষ করে চোখের সমস্যার জন্য কচু শাক খাওয়া অনেক বেশি দরকারি। আমি কচু শাক খেতে অনেক পছন্দ করি। কচুর ডাটা কিংবা শাক পাতা সবকিছুই আমার ভালো লাগে। শুটকি মাছ দিয়ে কচু শাক রান্না করলে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি এভাবে ভর্তা করলেও খেতে অনেক ভালো লাগে। নরম নরম কচু শাকের পাতাগুলো ভর্তা করলে খেতে অন্যরকমের টেস্ট হয়। এই খাবারটা আমার ভীষণ ভালো লাগে। গরম ভাতের সাথে কচু শাকের ভর্তা আর এক টুকরো লেবু হলে একেবারে জমে যায়। কচু শাকের ভর্তা খেতে দারুন লেগেছিল। আমি তো অনেকদিন পর বেশ মজা করে কচু শাক রান্না করে খেয়েছিলাম। তাই ভাবলাম রেসিপিটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। এবার চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি কচু শাক রান্না করেছি আর কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি।


প্রয়োজনীয় উপকরণ:

নামপরিমান
কচু শাক২৫০ গ্রাম
কাঁচা মরিচপরিমাণমতো
পেঁয়াজ কুচি১ চামচ
রসুন২ টি
শুকনা মরিচপরিমাণমতো
হলুদের গুঁড়া১/২ চামচ
লবণপরিমাণমতো
সয়াবিন তেল৪ চামচ

IMG20241121083659.jpg

IMG20241121083634.jpg


ধাপসমূহ:


ধাপ-১

IMG20241121094523.jpg

IMG20241121094531.jpg


কচু শাকের ভর্তা রেসিপি তৈরি করার জন্য প্রথমে শাকগুলো ভালোভাবে ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছি। এরপর ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি। এরপর মসলাগুলো প্রস্তুত করে নিয়েছি


ধাপ-২

IMG20241121095009.jpg


এবার একটি কড়াইয়ের মধ্যে কচু শাকগুলো দিয়েছি সেদ্ধ করার জন্য।


ধাপ-৩

IMG20241121095024.jpg

IMG20241121095031.jpg


এবার পরিমাণ অনুযায়ী লবণ দিয়েছি। যাতে করে কচু শাকগুলো ভালোভাবে সেদ্ধ হয়।


ধাপ-৪

IMG20241121095053.jpg

IMG20241121095447.jpg


এবার পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ দিয়েছি এর মধ্যে। এরপর ঢাকা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। আর কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে নাড়াচাড়া করে নিয়েছি।


ধাপ-৫

IMG20241121095823.jpg

IMG20241121100020.jpg


কিছুক্ষণ সেদ্ধ করার পর কচু শাক ভালোভাবে সেদ্ধ হয়েছে। এরপর কচু শাকগুলো একদম ভর্তা করে নিয়েছি। এরপর একটি কড়াইয়ের মধ্যে পরিমাণ অনুযায়ী তেল দিয়েছি আর পেঁয়াজ দিয়েছি।


ধাপ-৬

IMG20241121100110.jpg

IMG20241121100141.jpg


পেঁয়াজ ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি। এরপর হলুদের গুঁড়া, রসুন দিয়েছি আর শুকনো মরিচ দিয়েছি। এভাবে কিছুক্ষণ রান্না করার পর সবকিছু ভালোভাবে ভাজা হয়েছে।


ধাপ-৭

IMG20241121100146.jpg

IMG20241121100155.jpg


এবার এর মধ্যে কচু শাকগুলো দিয়েছি।


ধাপ-৮

IMG20241121100219.jpg

IMG20241121100305.jpg


এবার সুন্দর করে নেড়েচেড়ে নিয়েছি। এরপর লেবুর রস দিয়েছি।


শেষ ধাপ

IMG20241121100658.jpg


কিছুক্ষণ সময় নাড়াচাড়া করেছি আর মজার এই খাবারটি তৈরি হয়েছে। খেতে খুবই ভালো লেগেছে।


উপস্থাপনা:

IMG_20241122_152550.jpg
Device-OPPO-A15


কচু শাকের ভর্তা খেতে দারুণ হয়েছিল। এই খাবারটি আমি অনেক পছন্দ করি। মাঝে মাঝেই কচু শাক ভর্তা করা হয়। রসুন একটু বেশি দিয়ে ভর্তা করলে অন্যরকমের টেস্ট হয়। কচু শাক ভর্তা আর গরম ভাত হলে খেতে দারুন লাগে। আমার তৈরি করা এই ভর্তাটি খেতে খুবই মজার হয়েছিল। আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লেগেছিল। আশা করছি আপনাদের কাছেও ভালো লেগেছে।



আমার পরিচয়

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20230828_190629.jpg

আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কচুর শাক ভাজি খেয়েছি, তবে ভর্তা খাই নি। ভর্তা টি দেখেই লোভ লাগছে। গরম ভাত আর এই ভর্তা একদম পারফেক্ট কম্বিনেশন।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

কচু শাকের ভর্তা খেতে খুবই ভালো লাগে। গরম ভাতের সাথে একদম জমে যায় ভাইয়া। একদিন খেয়ে দেখতে পারেন।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

IMG_20241122_174536.jpg

IMG_20241122_174552.jpg

IMG_20241122_174607.jpg

বাংলার জনপ্রিয় একটা রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। এভাবে প্রচুর শাক ভর্তা করতে গ্রাম বাংলাতে প্রচুর পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায়। রেসিপিটা খেতেও আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।

ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই খাবারটি খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। আর এই খাবারে খুবই পুষ্টি রয়েছে।

আপু কচুর শাক ভর্তা রেসিপি দেখে মন ভরে গেল। এরকম সুন্দর কচু শাক ভর্তা রেসিপি হলে তো গরম গরম ভাতের সাথে খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার এই রেসিপিটি ফিচারড আর্টিকেল হয়েছে দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার রেসিপি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে এটা জেনে খুবই ভালো লাগল ভাইয়া। আপনাদের সুন্দর মন্তব্য গুলো দেখে আরো উৎসাহ পাই।

কচু শাক আমারও বেশ পছন্দের ।কিন্তু খেতে পারি না গলা চুলকায়। তবে লেবু দিয়ে খাই এতো পছন্দ। আর কচু শাক যাদের রক্তাল্পতা আছে তাদের জন্যো বেশ ভালো।

কচু শাক আমার খুবই প্রিয়। তবে আমি যেভাবে রান্না করেছিলাম একদম গলা চুলকায়নি আপু। খেতে ভালো হয়েছিল।

আপু কচুশাক আমার অনেক পছন্দ। তবে বেশি খেতে পারি না। আসলে বাসায় আর কেউ তেমন খায় না তারজন্য। আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। নিশ্চয় অনেক মজা করে খেয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।

আপু আপনি একা একাই অল্প করে রান্না করে খাবেন। আসলে ভালো লাগার খাবারগুলো যদি বাসার অন্য কেউ না খায় তখন সত্যিই অনেক খারাপ লাগে।

রেসিপিটি কখনো খাওয়া হয়নি এবং রেসিপিটি আমার কাছে নতুন মনে হল।বাসায় একদিন ট্রাই করতে বলব। ধন্যবাদ ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

এভাবে আপনি কখনো কচু শাক খাননি তাই একদিন ট্রাই করে দেখবেন ভাইয়া। আশা করছি ভালো লাগবে।

কচুশাক খুব সুস্বাদু একটি খাবার।আমার তো ভীষণ ভালো লাগে কচু।আপনি লোভনীয় করে কচুশাক ভর্তা করেছেন। আপনার রেসিপিটি ভীষণ চমৎকার হয়েছে। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

কচু শাক খেতে সত্যি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আর এভাবে ভর্তা করলে খেতে অনেক ভালো লাগে আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।

কচুর শাক রান্না তো অনেক খেয়েছি তবে ভর্তা এই প্রথমবার দেখলাম। কচু শাক ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে রান্না করলে দারুন লাগে।ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে কচু শাক রান্না আমার অনেক পছন্দ। আজ আপনার থেকে কচুর শাকের ভর্তা রেসিপি শিখে নিলাম। একদিন নিজে বানিয়ে খেয়ে দেখবো।রেসিপি তৈরি পদ্ধতি আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

এভাবে একদিন কচু শাকের ভর্তা করে খেয়ে দেখবেন আপু। খেতে খুবই ভালো হয়েছিল। আর আশা করছি আপনার কাছেও ভালো লাগবে।

কচুরশাক আমার একটা প্রিয় খাবার। এটা শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে। এটা বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় ভর্তায় বেশি ভালো লাগে। আবার ইলিশ মাছ দিয়ে ভর্তা বা ভাজি করলে আরো বেশি মজা লাগে। অনেকদিন পর চোখের সামনে এই মজাদার খাবারটি দেখে খুবই খেতে ইচ্ছে করছে।

কচু শাক আমাদের সবারই খুবই পছন্দের। এই শাকের ভর্তা খেতে বেশি ভালো লাগে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

কচু শাক ভর্তা রেসিপি দারুণ হয়েছে। এমন আনকমন একটি পদ দেখে বেশ ভালো লাগলো। কচু শাক খেতে বেশ ভালো, আর তার ভর্তা হলে সাদ আরো ভালো হয়ে যাবে মনে হচ্ছে। ধাপে ধাপে দারুন সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করলেন সম্পূর্ণ রেসিপিটি।

এই খাবারটি খেতে খুবই ভালো লাগে। আর খুব সহজেই তৈরি করা যায় ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।

কচু শাকের পুষ্টিগুণ অনেক।
যদিও শহরে থাকি তবুও মাঝে মাঝেই কচু শাক খাওয়া হয়।
আপনি আজকে চমৎকারভাবে কচু শাকের ভর্তা তৈরি করে দেখিয়েছেন। বিশেষ করে ডেকোরেশন অসাধারণ ছিল।
ধন্যবাদ আপু চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

পুষ্টিকর খাবারগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। আর কচু শাক খেতে খুবই মজার হয়েছিল ভাইয়া। ডেকোরেশন আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।

কচুর শাক যেটা সবার কাছেই খুবই প্রিয় ।অনেকদিন হলো কচুর শাক ভর্তা বা ঘন্টো দুটোর কোনটাই খাওয়া হয় না। যেটাতে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে চোখের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকার ।অনেক সুন্দর করে ভর্তা রেসিপি করেছেন দেখছি। দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে আমার আবার ভর্তা খুবই পছন্দের।

কচু শাক আপনার প্রিয় জেনে ভালো লাগলো। এই খাবারটি আমাদের সবারই অনেক প্রিয়। আর খেতেও ভালো লাগে।

এই কচু পাতাগুলো ইলিশ মাছের কাঁটা দিয়ে ভর্তা খেয়েছি। এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। ইলিশ মাছের কাঁটা দিয়ে খেতে খুবই মজা লাগে। আপনি তো আজকে একেবারে অন্যরকম করে রান্না করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল। পাতার কালার খুব সুন্দর সবুজ রয়েছে। দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে।

ইলিশ মাছের কাঁটা দিয়ে কচু শাক ভর্তা করলেও খেতে ভালো লাগে আপু। বাসায় ইলিশ মাছ ছিল না। তাই এমনিতেই ভর্তা করেছি। খেতে খুবই ভালো হয়েছিল।

কচু শাক চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী। আপনি মজাদার একটি ভর্তা রেসিপি শেয়ার করেছেন। কচুশাক ভর্তা খেতে খুবই ভালো লাগে। খিচুড়ি বা গরম ভাতের সাথে খেলে ভালো লাগে এই ভর্তা। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

ঠিক বলেছেন আপু চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক করার জন্য কচু শাক ভীষণ উপকারী। আর খেতেও অনেক ভালো লাগে।

কচু শাক ভর্তা আমার অনেক প্রিয়। তবে এই রেসিপিটি অনেকদিন থেকে ভাবছি তৈরি করব কিন্তু আর তৈরি করা হয়নি। এখন আপনার রেসিপিটি দেখে আবারো খুব খেতে ইচ্ছা করছে।কচুর শাক ভর্তা দেখেও অনেক লোভনীয় লাগছে।এই শাক আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। ধন্যবাদ আপু লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপু আপনি আমার বাসায় চলে আসেন। আপনাকে কচু শাকের ভর্তা করে খাওয়াবো। এই খাবারটি খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে।

আপু আপনি বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। কচুর শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। সবুজ শাকসবজি খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এভাবে কচুর শাক ভর্তা কখনও খাওয়া হয়নি। এই ধরনের ভর্তা গরম ভাত দিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে। আমার তো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।