প্রচণ্ড গরমে চাঁদনী রাত উপভোগ

in hive-129948 •  2 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। যদিও প্রচন্ড গরমে খুবই অসহ্য লাগছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা দিন দিন শুধু বৃদ্ধি পাচ্ছে। গরমে যেন নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে মানুষের।অতি গরমে মানুষ বাইরে কাজ করতে হচ্ছে। এরপর যখন একটু স্বস্তির জন্য পাখার নিচে বসবে তার কোন ব্যবস্থা নেই।কারণ বিদ্যুতের সংকট দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবীর এমন পরিস্থিতি আসলেই মানুষের জন্য খুবই কষ্টকর। তবুও মানুষকে বাধ্য হয়ে মেনে নিতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি যাইহোক আজ আমি আপনাদের সাথে গরমের মধ্যে চাঁদনি রাত উপভোগ করার কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব।

20230602_225459.jpg

প্রতিদিন গরমের তাপমাত্রা যেন বেড়েই চলছে। আর রাত হলে একটু আরামে ঘুমাবার কোন ব্যবস্থা নেই। চার্জার ফ্যান গুলো চার্জ দেওয়ার সুযোগ নেই বিদ্যুতের না থাকার কারণে। তাই রাত্রে হাতপাখা দিয়েই গরম কিছুটা নিবারণ করতে হচ্ছে। হাতপাখা বন্ধ করলেই ঘুমানোর কোন ব্যবস্থা নেই। এতটাই গরম তাই কারেন্ট আসা পর্যন্ত বাইরে বসে থাকতে হচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন ছোটবেলায় ফিরে এসেছি। যখন দেখতাম বিদ্যুৎ থাকত না হারিকেন দিয়ে পড়ালেখা করতাম আর আম্মু পাশে বসে পাখা দিয়ে বাতাস করত ।দিন দিন মনে হচ্ছে সেই আগের দিনগুলোই ফিরে আসছি।

20230601_233421.jpg

গতকাল রাতে প্রচন্ড গরম লাগছিল এর মধ্যে কারেন্ট ছিল না। তাই বাইরে অনেকক্ষণ বসে ছিলাম এর মধ্যে ছিল পূর্ণিমার চাঁদ।চাঁদের এমন আলো অনেকটাই প্রশান্তি এনে দিয়েছে মনে। ছোটবেলায় এরকম চাঁদনী রাতে বাইরে আমরা কানামাছি ,দৌড়াদৌড়ি, হইহুল্লোড় খেলতাম। চাঁদের এই আলো দেখে একটি কবিতা মনে পড়ে গেল

বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই
মাগো আমার শোলক বলা কাজলা দিদি কই

তারপর যখন কারেন্ট আসলো তখন ঘরে এসে যখন শুইলাম তখন জানালা দিয়ে আবার চাঁদটি দেখতে পেলাম।তখন খুব ভালই লাগছিল তাই চাঁদের ছবি তুলে নিলাম। আর চাঁদ নিয়ে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল।

20230601_233400.jpg

🌺 আশা করি আমার আজকের পোস্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে।ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 🌺

🌺 ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য🌺

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

গরমের কথা বলে শেষ করা যাবে না। এই অসহ্য গরম সহ্য করা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়েছে। আপনি গরমের মধ্যে চাদ রাত উপভোগ করেছেন দেখে ভালো লাগছে। আমারও ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল। বিদ্যুৎ চলে গেলে উঠানে বসে সময় কাটাতাম আর বাতাস উপভোগ করতাম। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।

আপনি একদম ঠিক বলেছেন গরমের কথা বলে শেষ করা যাবে না। অসহ্যকর গরমে দিন রাত একাকার হয়ে যাচ্ছে সবার। ছোটবেলায় এভাবেই বিদ্যুৎ চলে গেলেই আমরাও উঠানে বসে সময় কাটাতাম এখন মনে হচ্ছে সেই দিন ফিরে এসেছে।

আসলে গরমের কথা কি আর বলবো গরমে মাথা খারাপ হওয়ার মত অবস্থা। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় নানুর বাড়িতে গেলে এরকম চাঁদনী রাতে সবাই মিলে অনেক রকমের খেলাধুলা করতাম। আপনি একদম ঠিকই বলেছেন মনে হচ্ছে আগের দিনে আমরা ফিরে যাচ্ছি কারেন্ট একদমই থাকেনা। যাই হোক এই গরমে যে আপনি চাঁদনী রাতে উপভোগ করেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

আসলেই একদম ঠিক বলেছেন গরমে একেবারে মাথা খারাপ হওয়ার মত অবস্থা। এরকম গরমে বাহিরে চাটনিরত উপভোগ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আমরাও ছোটবেলায় নানুর বাড়িতে অনেক খেলাধুলা করতাম চাঁদনী রাতে।

দারুন একটা পোস্ট করেছেন আপু। গতকাল রাতে আপনার ভাবির সাথে চাঁদনী রাত উপভোগ করছিলাম বাইরে বসে। অবশেষে ঝিরিঝিরি বাতাস পড়েছিল তবে বেশ ভালোই লাগছিল বাইরে বসে আকাশে চাঁদের দিকে তাকানো এবং রোমান্টিকভাবে কিছু কথাবার্তা বলার মুহূর্তটা। তার জেনো স্মরণ হলো সমস্ত বিষয়গুলো আপনারা পোস্ট দেখে।

বাহ সাথে প্রিয়জন থাকলে কিন্তু চাঁদনী রাত উপভোগ করা সবচেয়ে বেশি আনন্দের হয়। ভাবির সাথে তাহলে বেশ রোমান্টিক সময় কাটিয়েছেন। আসলেই এখন সুযোগ পেলে হাতছাড়া করবেন না ।সময়গুলোকে উপভোগ করবেন কারণ এমন সুন্দর সময় সব সময় আসে না।