গ্রীন পার্ক রেস্টুরেন্টে কাটানো সময় (শেষ পর্ব)

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা

আসসালামু আলাইকুম

প্রীতি ও শুভেচ্ছা

  • আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।কিছুদিন আগে আমি আপনাদের সাথে একটি পার্কে ঘোরাঘুরি নিয়ে পোস্ট করেছিলাম।আর সেই পার্কের বাকি অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। গত পর্বে আমি বলেছিলাম আমরা সেখানে অনেক আনন্দময় সময় কাটিয়েছি। কেননা বাচ্চাদের আনন্দ দেয়ার মত পর্যাপ্ত জিনিস হচ্ছে সেখানে। তবে একটা জিনিস বেশি ভালো লেগেছে এই পার্কে কৃত্তিমতার সাথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
  • গত পর্বে আমি বলেছিলাম ১৬ বিঘা জমির উপর এই পার্ক টি তৈরি করা হয়েছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন এখানে একসময় গাছপালা এবং আবাদি জমি ছিল। পার্কের পেছনের অংশে এই আবাদি জমিগুলো মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে।

GridArt_20221118_094723571.jpg

  • আমরা যখন ওখানে পৌছাই তখন প্রায় সাড়ে তিনটা বাজে। আর সূর্যটা তখন পশ্চিম দিকে কিছুটা হেলান দিচ্ছিল। তখন সূর্যের এই রক্তিম আলো গাছের ফাঁকে খুব চমৎকারভাবে উঁকি দিচ্ছিল। এমন সময় আমি চমৎকার একটি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। পার্কের মাঝখানে আছে অনেক বড় একটি পুকুর। যার মাঝে কয়েকটি বোর্ড নৌকা রয়েছে যেগুলোতে মানুষ টিকেট ক্রয় করে ওঠে।

20221029_163731.jpg

20221029_163901.jpg
Location

  • একটু পরপর কয়েকটি হাউজ রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন খাবার দিয়ে সজ্জিত। এই হাউজগুলো খুব সুন্দর ভাবে আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো হয়েছে। ফুচকা এবং চটপটি হাউস দেখে আমি তো লোভ সামলাতে পারছিলাম না তারপর আমরা সবাই ঢুকে একগাদা ফুচকা এবং চটপটি খেয়ে নিলাম।কারণ চটপটি ও ফুচকা দুটোই আমার পছন্দ।

20221029_163719.jpg

20221029_164221.jpg

20221029_164226.jpg

20221029_165243.jpg

Location

  • মাঝখানে লিখলাম একজন মিস্ত্রি খুব সুন্দর একটি ফুল রং করছে। কি জন্য তৈরি করছেন উনি বললো এর মাঝে ঝরনার পানি সেট করা হবে। তাই কাজ করছে তারপর দেখলাম পেছনে আরো অনেকগুলো কাজ এখনো চলমান। বুঝাই যাচ্ছে আগামী এক বছরে কতটা আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে এই পার্কটি। তারপর দেখলাম বিশাল বড় নাগরদোলা যেখানে আমার ভাগিনা ভাগ্নি সবাই উঠে খুবই মজা করেছে।

20221029_165356.jpg

20221029_165501.jpg

20221029_165936.jpg

20221029_170919.jpg

20221029_172146.jpg

Location

  • তারপর সন্ধ্যার পর আমরা আরো কিছুক্ষণ পার্কে চারপাশ ঘোরাঘুরি কেউ করার পর সবার খিদে পেয়ে গেছে। ঢুকে গেলাম একটি রেস্টুরেন্টে। তারপর আমরা নান ও চিকেন খেয়ে পেট ভরালাম। খাবার-দাবার মান সর্বোচ্চ না হলেও মোটামুটি খাওয়া যায় বুঝে গেছে। অনেকক্ষণ সময় কাটানোর পর আমরা বাড়ি ফিরে আসি।

20221029_173615.jpg

20221029_181142.jpg

20221029_181156.jpg

20221029_181224.jpg

Location

🌺 আশা করি আমার আজকের ব্লগ টি আপনাদের ভালো লাগবে।ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 🌺

🌺 ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য🌺

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

গ্রীন পার্কে সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আপনার ভাগিনা ভাগ্নি নাগরদোলা উঠে খুব মজা করেছে জেনে ভালো লাগলো। পার্ক টি দেখতে আমার কাছে খুবই সুন্দর লেগেছে। আপনার গত পর্বের পোস্টও দেখেছিলাম। ফুচকা এবং চটপটি আমারও খেতে খুবই ভালো লাগে। সব মিলিয়ে খুব আনন্দঘন মুহূর্ত কাটিয়েছেন তা বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।

আসলে ঠিক বলেছেন গ্রীন পার্কে অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছি আমরা। সব মেয়েদেরই ফুচকা এবং চটপটি খুবই পছন্দের একটি খাবার। আর আমি কোথাও ফুচকা চটপটি দেখলে না খেয়ে বাড়ি ফিরিনা। সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

গ্রীন পার্ক রেস্টুরেন্টে দারুণ সময় কাটিয়েছেন।আপনার ভাগ্নেভাগ্নি দেখছি অনেক মজা করছে।আসলে আপু পার্কে গেলে নাগরদোলায় না চড়লে ভালো লাগে না। আপনার খাবারের ছবির উপর লাইট বেশি পড়েছে। যাইহোক আপু নান ও চিকেন খেলেন, খাবার গুলো ভালো ছিল জেনে অনেক ভালো লাগল। মাঝে মাঝে এভাবে ঘুরলে অনেক ভালো লাগে।

আসলে গ্রীন পার্ক রেস্টুরেন্টে দারুন সময় কাটিয়েছি। একদিকে পার্ক অন্যদিকে রেস্টুরেন্ট দুটোর মজাই একসাথে উপভোগ করতে পেরেছি তাই বেশি ভালো লেগেছে। আসলেই রেস্টুরেন্টের এই খাবারগুলো আমার খুবই পছন্দ। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

পার্ক ভ্রমণ করে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন এমন সুন্দর জায়গা ভ্রমণ করতে আমারও খুব ভালো লাগে। আমিও মাঝে মাঝেই সময় পেলে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে চলে যায় দূর-দূরান্তে।। নাগরদোলায় চলার কথা কি বলব আমার তো খুবই ভালো লাগে আমি নাকি ছোটবেলায় এমন জায়গায় গেলে খুব করে নাগর দোলায় চড়তে চাইতাম। নিশ্চয়ই আপনার বাবু নাগরদোলায় চড়ে খুব আনন্দ উপভোগ করেছে।।
ফিনিশিং টা দিয়েছেন নান গ্রিল খেয়ে খাবারটাও আমার খুব ফেভারিট ।আজ বিকেলেও খেয়েছি আমি এবং আমার দুইটা বন্ধু রেস্টুরেন্টে গিয়ে।।

আসলে ভাইয়া আমাদের এই ভ্রমণটি খুবই আনন্দের ছিল। কেননা পরিবারের সবাই একসাথে ঘুরতে যাওয়ার মজা অন্যরকম।আর এখানে আমার বাবু নাইতো।আছে আমার ভাগিনা ভাগ্নী।ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আপু পার্কটি দেখতে অনেক সুন্দর। আপনারা খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে ভাল লাগলো। আপনার ভাগ্নে-ভাগ্নি নাগরদোলা চরে খুব মজা করেছে জেনে ভাল লাগলো আপু । সত্যি কথা বলতে আমিও নাগরদোলায় চরতে খুব পছন্দ করি।অনেক ভাল লাগলো দেখে।শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

আসলেই আপু অনেক আনন্দময় সময় কাটিয়েছি সেখানে আমরা। আর সবাই মিলে কোথাও যাওয়ার মজাই আলাদা ।বাচ্চাদের জন্য এই পার্কটি খুবই উপযোগী ।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।

পড়ে মনে হলো আপনি গ্রীন পার্কে খুব ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছিল পার্কের পরিবেশটা ভালোই ছিল। ভবিষ্যতে এটাকে আরো সুন্দর করা হবে যেন ভালো লাগলো। আরে হ্যাঁ আমি তো জানতাম মেয়েরা শুধু ফুচকা পছন্দ করে কিন্তু আজ জানতে পারলাম মেয়েরা চটপটিও পছন্দ করে। হাহাহা ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।

ঠিক বলেছেন গ্রীন পার্কে আমি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছি। আপনি ফটোগ্রাফি গুলো ভালোভাবেই লক্ষ্য করেছেন তাই পরিবেশ সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন ।আপনি দেখি এটাও জানেন যে মেয়েরা ফুচকা পছন্দ করে। ভাইয়া আমি ফুচকা চটপটি দুটোই পছন্দ করি।

গ্রীন পার্ক রেস্টুরেন্টে আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ।এমন ধরনের জায়গাতে ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে ।পার্কের জায়গাটাও অনেক সুন্দর ,পরিবেশটাও দেখতে তেমন ভালো। বাচ্চাদের বিনোদন দেয়ার জন্য অনেক জিনিস রয়েছে। এমন ধরনের জায়গাতে ঘুরতে গেলে মনটা অনেক ভালো হয়ে যায়।

ঠিক বলেছেন আপু গ্রীন পার্ক রেস্টুরেন্টে আমি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছি ।এমন ধরনের জায়গায় ঘুরতে গেলে আসলে সবার কাছেই ভালো লাগে। পার্কের জায়গাটা খুবই মনোরম পরিবেশ ।তাই বেশি পছন্দ হয়েছে আমার আর বাচ্চাদের জন্য উপযুক্ত।

১৬ বিঘা জমির উপর নির্মিত গ্রীন পার্ক এর মনোরম দৃশ্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। পার্কে প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র আপু দেখতে খুবই ভালো। আর তার সাথে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ছিল অনবদ্য।

আসলেই আপু বিশাল এরিয়া নিয়ে এই গ্রীন পার্ক রেস্টুরেন্ট তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও এখানে বাচ্চাদের জন্য অনেক চমৎকার সব রাইড এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাইতো বাচ্চারা ও খুব বেশি উপভোগ করেছে।

গ্রীন পার্কের এরিয়া আসলেই বিশাল, অনেক বড় জায়গায় পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছে। পার্কটিতে কৃত্রিম অনেক কিছু নির্মাণ করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও লক্ষণীয়। গ্রীন পার্কে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপু। গ্রীন পার্ক রেস্টুরেন্টের খাবার গুলোও ইয়াম্মি লাগছে দেখতে। সবকিছু মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদেরকে উপহার দিলেন আপু্,সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আসলে ভাইয়া এই পার্কে এই জিনিসটা আমার কাছে ও সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। কৃত্রিম হলেও এর পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব বেশি মনোমুগ্ধকর ।আশেপাশে বিশাল গাছপালা যা দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায় ।তাইতো আমি অনেক বেশি আনন্দ অনুভব করেছি। খাবারের মান খুবই ভালো।

সত্যি বলতে মাঝে মাঝে এমন অ্যামিউজমেন্ট পার্কে ঘুরতে যেতে খুব ভালো লাগে। আর সাথে বাচ্চা থাকলে তো তাদের আনন্দ আরো দ্বিগুন হয়ে যায়।যে ফোয়ারাটা এখন রং করা হচ্ছে পরে যখন সেখান থেকে সুন্দর ঝর্ণা উঠবে, দেখতে আরো ভালো লাগবে। চিকেন আর নানের ছবি যদিও রঙিন আলোর জন্য অতটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে না। তবে কম্বিনেশনটা দারুণ।