জীবনের কথা- দ্বিতীয় বিয়ের অনিবার্যতা

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

২২ আগস্ট ২০২২, সোমবার
আসসালামু অলাইকু/নমস্কার

আসসালামু আলাইকুম লেখার শুরুতে সবার প্রতি রইল আমার সালাম ও আশীর্বাদ। আপনারা সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এই কামনা করছি। আর আমার প্রাণপ্রিয় ও সকল অনুপ্রেরণার কেন্দ্রবিন্দু ফ্যান্টম দাদার প্রতি রইল আমার অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। আমি বরাবরই কবিতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করে আসছি। আজ অনিবার্য বাস্তবতার কারণে আপনাদের নিকট নতুন একটি লেখা নিয়ে আসছি। লেখার শিরোনাম দেখেই আপনারা বুঝতে পারছেন মূল আলোচ্য বিষয়। আমার লেখাটি দুইটি পর্বে সাজিয়েছি আজ তার প্রথম পর্ব আপনাদের নিকট আলোচনা করব।

sad-man-5019913_960_720.jpg
সোর্স

রাতুল ও রোদেলা দুজনের বাবা-মার পছন্দে বিয়ে করে। সুখী দাম্পত্য জীবনে বছর দুয়েক পরে তাদের ঘরে আসে ফুটফুটে এক ছেলে। রাতুল সরকারি চাকরি করে পাশাপাশি তার লেখালেখি ও সাহিত্যের প্রতি আছে গভীর মনোযোগ। অন্যদিকে রোদেলা সারাদিন ঘর সংসার সামলাতে ব্যস্ত থাকে। এরই মাঝে তাদের ঘরে আসে আরেকটি কন্যা শিশু। সেদিন তারা উপরে খুব খুশি হয় এবং স্রষ্টার দরবারে অকৃত্রিম ভালবাসা প্রকাশ করে। দেখতে দেখতে তাদের জীবন থেকে ৩০টি বছর হারিয়ে যায়।

তাদের সুখের দাম্পত্য জীবনে ক্যান্সার নামক মরণব্যাধি শনির দশা হয়ে আসে। রোদেলা ব্রেইন ক্যান্সার ধরা পড়ে। ডাক্তার যখন এই রিপোর্ট দেয় সেদিন রাতুল চরম বিপর্যস্ত হয়ে যায়। রাতুলের সিগারেট খাওয়ার কোন অভ্যাস ছিল না। সেদিন সারারাত রাতুলের সময় সিগারেটের ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল। বাসায় আসার পর তার মন স্থির নেই। কেবল এলোপাতাড়ি বিচরণ। কি থেকে কি হয়ে গেল যে বিষয়টি স্বপ্নেও কল্পনা করে নেই এমন এক প্রাণঘাতক রোগ বাসা বেধেছে তার স্ত্রীর দেহে। ডাক্তারের রিপোর্ট অনুযায়ী হয়তোবা আর কয়েক মাস মাত্র বাজবে তার ভালোবাসার রোদেলা। মানুষের সময় গুলো আসলে এমনই। সৃষ্টিকর্তা কেমন মানুষের সুখের সময় এই করুন বিচ্ছেদ কি মানা যায় সহা যায়।

ছেলেমেয়েরা আজ প্রতিষ্ঠিত । মেয়ের ভালো ঘরে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। মেয়ের জামাই সরকারি বিসিএস করা ডক্টর। ছেলেও সরকারি ভালো জব করে। ছেলের বউ সরকারি চাকরি করে। এখন তো তাদের সুখ উপভোগ করার সময় সারা জীবন কষ্ট করে ছেলে মেয়েকে মানুষ করতে গিয়ে। কথায় বলে না সুখের দিন মানুষের সয়না। নতুবা কি এমন বয়স হয়েছে তার স্ত্রীর যে একেবারে সবচেয়ে কঠিন রোগ তার দেহে ধরা পড়বে। স্বামীর অস্থিরতা দেখে রোদেলা কিছুটা ভয় পেয়ে যায়। রোদেলা সান্ত্বনা দিয়ে বলে আমার কিছু হবে না তুমি শুধু শুধু ভয় পেয়ো না দেখো আমি কত সুস্থ। আমি আরো ৫০ বছর বাঁচবো আমার মন বলছে। এ শুনছো রোদেলা তার স্বামীকে বলছে চলো কিছুদিন পর মেয়ের বাসায় বেরিয়ে আসে কতদিন যাবত মেয়ের ঘরের নাতনি কে দেখছি না।


তোমার অসুখটা একটু ভালো হোক তোমাকে নিয়ে অনেক ঘুরবো তুমি যেখানে যেতে চাও সেখানে নিয়ে তোমাকে আমার আনন্দের সময় কাটাবো। তোমার কি খেতে মন চায় রোজেলা তুমি যা খেতে চাও তুমি শুধু বলো। আমার কিচ্ছু খেতে ইচ্ছে করে না তোমার সাথে আমার কোন চাওয়া পাওয়া নেই তুমি আমাকে এভাবে সারা জীবন ভালোবেসে যাবে আমি এই কামনা করি।

পরবর্তী পর্বে এই অনুগল্পের সমাপ্তি হবে। এটা লেখা আমার প্রথম গল্প ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো ভালো থাকবেন সবাই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমি বাস্তব জীবনেও এমন অনেক ঘটনা দেখেছি ভাই। সত্যি সারাজীবন কষ্ট করার পর শেষ বয়সে যখন ভালো সময় আসে তখন এইরকম একটা রোগ ধরা পড়ে। আপনার পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম ভাই।।

দ্বিতীয় পর্ব অতি শীঘ্রই আসবে

সত্যিই শেষটা অনেক মর্মাহত ,যাইহোক আপনি বাস্তব বিষয় তুলে ধরেছেন গল্পে।ভালো লাগলো পড়ে, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।

চেষ্টা করব দ্বিতীয় পর্বটি আরো সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য।