আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আপনারা সকলেই জানেন যে আমি পেশাগতভাবে একজন শিক্ষক। আর শিক্ষক হবার কারণে প্রত্যেক বছরে আমি আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি শিক্ষায় অংশগ্রহণ করানোর জন্য নিয়ে যায়। যেহেতু ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ আমাদের এলাকা থেকে কিছুটা নিকটে তাই আমরা প্রত্যেকবার ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানোর জন্য ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে যাই। গত দুই বছরেও আমি এই একই জায়গায় ছাত্রছাত্রীদেরকে নিয়ে এসেছিলাম। এবার আমি তৃতীয়বারের মতো ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ এ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানোর জন্য নিয়ে এসেছি। যেহেতু এই জায়গাটিতে আমার তিনবার আসা হয়ে গেল তাই জায়গাটা আমার কাছে এখন অনেকটাই পরিচিত হয়ে গিয়েছে। প্রথমবারে আমার মনের মাঝে যেমন অনুভূতি কাজ করেছিল পরবর্তী দুই বারে আর ঠিক তেমন অনুভূতি কাজ করেনি কেননা এটা এখন আমার কাছে একটা পরিচিত জায়গা।
যেহেতু ভর্তি পরীক্ষা হবে তাই আপনারা উপরে ছবিগুলো দেখে বুঝতে পারছেন যে এখানে কি হচ্ছে। ঝিনাদহ ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানোর জন্য প্রথমে শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীদেরকে ভিতরে যাবার জন্য সুযোগ দেয়া হয়। যেহেতু অভিভাবক সহ পরীক্ষার্থীরা যদি ভিতরে একই সাথে যায় তাহলে একটা বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে এজন্য শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীদেরকে প্রথমে যাওয়ার জন্য সুযোগ দেয়া হয়। আর যেহেতু এখানে অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে তাই এখানে দরজার সামনে প্রচুর মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। আমি প্রত্যেকবারের মতো এবারও সিট প্লান আগে থেকে দেখে নিলাম এবং আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ভিতরে প্রবেশ করিয়ে দিলাম।
বেশ কিছুক্ষণ পরে যখন সকল পরীক্ষার্থীরা ভিতরে প্রবেশ করে ফেলল ঠিক সেই মুহূর্তে আমাদের অর্থাৎ অভিভাবকদেরকে ভিতরে প্রবেশ করার সুযোগ দেয়া হলো। বাইরের দিকে অর্থাৎ রাস্তা দিকে আমরা তেমন কোন কুয়াশা লক্ষ্য করেছিলাম না কিন্তু ক্যাডেট কলেজের মধ্যে প্রবেশ করার পরেই প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা লক্ষ্য করলাম। আর সেই কুয়াশার পরিমাণটা কতটা বেশি ছিল সেটা হয়তো বা আপনারা ছবিটা দেখেই বুঝতে পারছেন।
আমরা প্রত্যেকবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কৃত পরীক্ষার্থী ব্যতীত আরো কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে আসি যারা আগামী বছরে এই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। এক বছর আগেই তাদেরকে এখানে নিয়ে আসার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের মনের মাঝে জায়গাটা সম্পর্কে ভালো লাগা সৃষ্টি করা। যখনই তাদের মনের মাঝে জায়গাটা সম্পর্কে ভালো লাগা সৃষ্টি করা যাবে তখনই তারা এই জায়গাটি সম্পর্কে আগ্রহী হবে এবং এখানে ভর্তি হবার জন্য সকল ধরনের কাজ করতে থাকবে। এক কথায় তাদেরকে অনুপ্রাণিত করার জন্যই মূলত এখানে তাদের নিয়ে আসা হয়েছে।
যেহেতু আমরা খুব সকালে বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলাম তাই আমাদের সকলেরই ক্ষিধা লেগে গিয়েছিল। আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি প্রত্যেক বছরই ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের আর্মিরা নিজেদের দায়িত্বে খাবার বিক্রয় করে, আমরা সেখান থেকেই সকলের জন্য এক প্যাকেট করে বিরিয়ানি নিয়ে আসলাম। বিরিয়ানি নিয়ে আসার পরে আমরা সকলে একত্রিত হয়ে খেলার মাঠে বসে খেয়ে নিলাম। যাই হোক প্রত্যেক বছরে এভাবেই ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ ভ্রমণ করতে আসতে পারছি তাই আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে। এই বছরে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের মধ্যে আমি আরো কি কি দেখেছিলাম সেগুলো ও পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে পোস্ট আকারে শেয়ার করব। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
শ্রেণী | ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ ভ্রমণ |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি সি ২৫ এস ৪৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্ট তৈরি | @mostafezur001 |
লোকেশন | ঝিনাইদহ |
W3W | https://w3w.co/lyricist.unsecured.game |
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অতীতের সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। বেশ ভালো লাগলো আবারো তৃতীয়বারের মতো পরীক্ষা দিতে গেছে স্টুডেন্টরা। আমার কাছে এখনো সেই ফটোগুলো রয়েছে। চেষ্টা করব যে কোন মুহূর্তে শেয়ার করার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অতীতে সেই দিনগুলো আসলেই অনেক সুন্দর ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit