আসসালামু আলাইকুম/আদাব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। দু একদিন আগে আমি আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করেছিলাম যেখানে আমি বলেছিলাম যে পহেলা ফেব্রুয়ারি আমাদের স্কুলের বাৎসরিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে খুবই ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছে। আমার সে ব্যস্ততার পরিমাণটা এতটাই বেশি ছিল যার পরিপ্রেক্ষিতে কালকে আমি প্রচুর পরিমাণে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম আর এই জন্য কালকে আমি আপনাদের মাঝে পোস্ট ও শেয়ার করতে পারেনি। অন্যান্য যে কোন জায়গাতে আমি গেলে প্রচুর পরিমাণে ফটোগ্রাফি ধারণ করে কিন্তু কালকে ব্যস্ততার পরিমাণটা বেশি থাকার কারণে আমি ফটোগ্রাফি ধারণ করার মত সময় ও পেয়েছিলাম না। অনেক কষ্টে এই তিনটা ফটোগ্রাফি আমি ধারণ করেছিলাম আর সেগুলো দিয়েই আজকের পোস্ট সাজানোর চেষ্টা করছি। আমরা অন্যান্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় একটু ভিন্ন ধরনের চিন্তাধারা কাজে লাগিয়ে চলাচল করি আর এই জন্যই প্রত্যেক বছরে আমরা এত বড় একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকি। প্রত্যেকবার আমাদের অনুষ্ঠানের প্রচুর পরিমাণে দর্শকের সমাগম হয় ঠিক তেমনিভাবে এই বছরেও আমাদের স্কুলের অনুষ্ঠানের প্রচুর পরিমাণে দর্শকের সমাগম হয়েছিল।

প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরেও এক হাজারের মতো দর্শকের সমাধান হয়েছিল আমাদের এই স্কুলের অনুষ্ঠান উপভোগ করার জন্য। আর এই অনুষ্ঠানের সকল খরচ আমাদের স্কুলের পক্ষ থেকে করা হয়ে থাকে। আয়োজন থেকে শুরু করে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সবকিছুই আমাদের স্কুলের খরচে করা হয়েছিল। যেহেতু এই খরচ পুরোটাই স্কুলের টাকা দিয়ে করা হয় ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অথবা অভিভাবকদের কাছ থেকে কোন ধরনের টাকা নেওয়া হয় না তাই এই অনুষ্ঠানের গ্রহণযোগ্যতা অভিভাবকদের কাছে অনেক বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। শুধুমাত্র যে অভিভাবকের এই অনুষ্ঠানকে পছন্দ করে থাকে তা কিন্তু নয় আমি লক্ষ্য করে দেখেছি আমাদের আশেপাশের সকল এলাকার মানুষ আমাদের এই অনুষ্ঠান টাকে খুবই আনন্দের সাথে উপভোগ করে এবং তারা সকলেই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সময় বের করে নাই।

অন্যান্য বছরে আমরা এই অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নিতে বেশ কিছু সময় পায় কিন্তু এই বছরে আমরা এই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেবার জন্য মাত্র দশ দিনের মত সময় পেয়েছিলাম। আর এই দশ দিন আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছি অনুষ্ঠানটাকে সুন্দর করে তোলার জন্য। আমাদের অনুষ্ঠানটা যে আমরা সফলভাবে করতে পেরেছি তার দর্শকদের মতামতের মাধ্যমে আমরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছি। যেহেতু আমি ওই দিনে প্রচুর পরিমাণে ব্যস্ত ছিলাম যার কারণে আপনাদের মাঝে আমি বেশি ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে পারলাম না। আমাদের স্কুলের এই পুরো অনুষ্ঠানটা ফেসবুকের মাধ্যমে লাইভ করা হয়েছিল। যারা আমাদের স্কুলের ফেসবুক আইডির সাথে যুক্ত আছেন তারা সরাসরি এই অনুষ্ঠানটা উপভোগ করতে পেরেছেন।আপনারা যদি ইচ্ছা করেন আমাদের স্কুলের পুরো অনুষ্ঠানটা আমাদের ফেসবুক থেকে দেখে নিতে পারেন। আপনাদের সুবিধার্থে পোস্টের শেষ অংশে আমি ফেসবুক আইডির লিংক দিয়ে দিচ্ছি।

https://www.facebook.com/share/1F3Waq1qnF/

আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।

আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

ফেসবুক টুইটার

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

_{Posted using SteemPro Mobile}