সুন্দর কিছু মুহূর্ত ।

আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। চাকরি জীবন মানেই বাধা জীবন চাইলেই ইচ্ছামত ঘোরাঘুরি করা যায় না মাথার উপর অনেক বেশি কাজের চাপ থাকে অনেক বেশি টেনশন কাজ করে। এই ব্যস্ততম লাইফে একটু ভালো সময়ের জন্য একটু ভালো মুহূর্ত কাটানোর জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হয়। কারণ সব সময় ফ্রি সময় পাওয়া যায় না। আর আমি যেহেতু চাকরি করি একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে এখানে টাইমের কোন ঠিক ঠিকানা নেই সাইডে কাজ চললেই আমাকে থাকতে হবে। সময় মত ছুটি পাওয়া যায় না লং ছুটি তো কল্পনাই করা যায় না। সেজন্য আর ঘুরাঘুরি করা হচ্ছে না মনটা বেশ ভারী হয়ে আছে। মনটাকে হালকা করার জন্য মাঝেমধ্যে ঘুরাঘুরি প্রয়োজন। তবে আমি যেহেতু উত্তরাতে আছি এইখানে জনমানবের মতো দেখা নেই বিশেষ করে গাড়ি ঘোড়ার কোন শব্দ পাওয়া যায় না পরিবেশটা বেশ নিরিবিলি।

আমার প্রজেক্ট এর পাশেই বড় একটি লেক আছে। প্রতিনিয়তই আসা-যাওয়ার সময় দেখা হয় কিন্তু সেভাবে কখনো সময় কাটানো হয়নি। হঠাৎ করেই এলাকা থেকে তিনটা ছোট ভাই এসেছিল তারা আবার আমার সাথে দেখা করতে চাইলো। আমি বললাম তোমরা সবাই উত্তরা দিয়াবাড়িতে চলে আসো। কারণ এখানে ঘোরাঘুরির মত জায়গা আছে। তারা দুপুরের সময় চলে আসলো আমি সেই থাকি একটু সময় বের করে তাদের সাথে দেখা করতে চলে যাই উত্তরা সেন্টার মেট্রোস্টেশনে। তার পাশেই একটি বড় লেক আছে ওইখানে অবশ্য রেস্টুরেন্টও আছে আমরা রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করেছিলাম কিন্তু সবকিছুর অভার প্রাইজ মনে হয়েছে সেজন্য সেখানে বসিনি। এই লেকে আবার কাইকিং করা যায় যেহেতু অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল কাইকিং করার তাই এই সুযোগটা আর মিস করলাম না। চারজন দুইটা বোট নিয়ে লেকের মাঝে চলে গেলাম।

এখানে কাইকিং করতে আসলে প্রত্যেকের টাকা গুনতে হবে ৩০ মিনিটে 100 টাকা করে। আমরা চারজন ৪০০ টাকার বিনিময়ে আধা ঘন্টা করে দুটি বোট পেয়েছি। এর আগে কখনো কাইকিং করিনি অনেক এক্সাইটমেন্ট এর সাথে আমরা লেকের মাঝে চলে গেলাম। লেখার অন্য পাশে রয়েছে রাজউক আবাসিক প্রকল্পের বড় বড় বিল্ডিং যা দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগে। আমরা দুপুরের সময় লেকের মাঝেই ছিলাম বেশ গরমও লাগছিল তবে মাঝে মাঝে মেঘ এসে রোদটাকে ঢেকে দিচ্ছিল ওই সময়কার পরিবেশটা অনেক বেশি ভালো লাগছে তো।

পড়ন্ত বিকেলে যদি এমন একটি মুহূর্ত উপভোগ করতে পারতাম তাহলে আরো বেশি মজা লাগতো। তবে চাকরি জীবনে ইচ্ছা করলেই তো আর সবকিছু সম্ভব হয় না ইচ্ছামত সময় তো আর বের করা যায় না। এই মুহূর্তটা সত্যিই অসাধারণ ছিল অনেকদিন পর এমন ঘোরাঘুরি করে বেশ ভালো লাগলো। নিরিবিলি পরিবেশে যখন শীতল হাওয়া বইতেছিল লেকে কিছুটা ঢেউয়ের উৎপত্তি হয়েছিল এই মুহূর্তে লেকের মাঝে ঘুরাঘুরি করতে অনেক বেশি মজা লাগছিল। কোন এক গোধূলি বিকেলে সবাই মিলে আবার কাটাতে চাই এমন মুহূর্ত। মাঝেমধ্যে ঘোরাঘুরি করতে পারলে মনটা ভালো থাকে। সমস্ত কাজের প্রেসারে একটু ভালো সময় পার করতে পারলে ব্রেন টা অনেক হালকা হয়ে যায়। অনেক ভালো লেগেছিল এই মুহূর্তটা আজ এ পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে অন্য কোন গল্প নিয়ে ধন্যবাদ সবাইকে।

আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।