শীতের রাতে মাওয়া ভ্রমন।

in hive-129948 •  5 days ago 

আসসালামু আলাইকুম।

আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

  • মাওয়া
  • ০২,জানুয়ারি ,২০২৫
  • বৃহস্পতিবার

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।সবসময়ই আমার ঘোরাঘুরি অনেক বেশি ভালো লাগে। যদি ঘুরাঘুরিটা হয় বাইক নিয়ে তাহলে সকল প্রতিকূলতার মাঝেও ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে।বাইক চালানোর টাকে আমি অনেক বেশি ইনজয় করি। ভাঙাচোরা রাস্তার মধ্য দিয়ে গেলেও ভালো লাগে মনে হয় নতুন কিছু শিখতেছি। তেমন একটি মুহূর্ত ছিল শীতের রাতে মাওয়া ভ্রমনটা।আমি গিয়েছিলাম বন্ধু অংকনের বাসায় মোহাম্মদপুরে। মোহাম্মদপুরের বাসাটা না অনেক বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। অনেকটা সময় কাটিয়েছি ওইখানে এখানে আর একটা বড় ভাই আছে অনেক বেশি আড্ডা দিয়েছি।সেদিন রাতে হঠাৎ করেই মাথায় ভূত চেপে বসলাম হাওয়া যাওয়ার। মূলত কথাটা তুলেছি আমি যে বড় ভাই ছিল শুয়ে পড়েছে তখন রাত দশটা বাজবে। ওই সময় আমি বলছি ভাইয়া চলেন মাওয়া যাই ইলিশ খাওয়ার যত খরচ লাগে আমি দিব। প্রথমে আমি ভেবেছি তারা রাজি হবে না কারণ শীতের রাতে বাইক নিয়ে যেতে অনেক বেশি কষ্ট হবে। সেজন্য আরও একবার বলেছি তারপর দেখি তারা রাজি হয়ে গিয়েছে।


1000002999.jpg

1000002995.jpg


Device : pixel 7
What's 3 Word Location :

কি আর করার যেহেতু বলেই ফেলেছি এখন তো যেতেই হবে। আমরা যখন বের হই তখন ঘড়ির কাঁটায় রাত ১১ঃ০০ টা বাজে। মোহাম্মদপুর থেকে আমারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি হয়ে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে উঠবো। আমরা অনেকটা পথ ঘুরে আসি সেজন্য সময়টা বেশি লেগে যায়। আমরা যখন মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলাম আমার বন্ধু অংকনের কাছে আমার বাইকটা ছিল সে এত জোরে যাচ্ছে না আমি তাকে খুঁজেই পাচ্ছিলাম না। মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাইক চালানোর মজাটাই অন্যরকম। রাতের বেলা গাড়ি ঘোড়ার তেমন কোন চাপ নেই ফাঁকা রাস্তা শীতল হাওয়া সব মিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল।


1000003089.jpg


Device : pixel 7
What's 3 Word Location :

তবে হঠাৎ করেই এত কুয়াশা এসে চারিদিক থেকে ঘিরে নিলো আমাদেরকে এ যেন কুয়াশা শহরে চলে এসেছি ভুল করে। রাস্তা তেমন কিছুই চোখে দেখা যাচ্ছে না তারপরও শীত লাগছে প্রচুর। গাড়ি জোরে যেতে যেতে এসব বড় বড় গাড়িগুলো তাদের গতি কমিয়ে ফেলে সেই কুয়াশার জন্য। এই বছরের প্রথম এত কুয়াশা দেখেছি। আমাদেরকে খুব সাবধানতার সাথে গাড়ি ড্রাইভ করতে হচ্ছে।বিশেষ করে রাস্তার যে সাদা দাগ দিয়ে রাখে আমাদেরকে ওইটা ফলো করে করে বাইক রাইড করতে হচ্ছে। সাধারণত এই দাগগুলো যাতে কুয়াশাতে ভালোভাবে যানবাহন দেখে দেখে চলতে পারে সেজন্যই দেওয়া হয়ে থাকে। হাত পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে কারণ বাইক নিয়ে গেলে একটু ঠান্ডা বেশি লাগবে। তারপর আমরা একটি স্থানে দাঁড়িয়ে হালকা ব্যয়াম করতে থাকলাম। ঠান্ডায় গা হাত পা সব জমে গিয়েছিল তখন আমাদের গন্তব্য বাকি আর মাত্র ১০ কিলোমিটার। কালকে তো ১০ কিলোমিটার পথ গেলেই আমাদের দেখা মিলবে মাওয়া ফেরিঘাট সেখানে সারা রাতের অনেক বেশি লোকজন থাকে।অনেকদিন হলো ইলিশ মাছ খাওয়া হয়না। বেশ এক্সাইটমেন্ট কাজ করতেছিল।


1000003006.jpg

1000003005.jpg


Device : pixel 7
What's 3 Word Location :

মাওয়া ফেরিঘাটে ঢুকতেই হঠাৎ দেখি সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট। সাথে পুলিশও ছিল তারা সবাই মিলে বাইকের পেপারস চেক করছিল। আমাদের কাগজপত্র সব ঠিকঠাক থাকায় যেতে দেয়। তারপর রাবার যাত্রা শুরু করি ফেরিঘাটের উদ্দেশ্যে এক কিলোমিটার পথ বাকি। যেতে বাম সাইডে অনেক বড় বড় কিছু রেস্টুরেন্ট আছে সাধারনত এখানে বড়লোকের পোলাপান যে থাকে আমরাও অত বড়লোক না।আমরা অন্য একটি ভিতরে দোকানের দিকে যেতে থাকি ওইখানে মোটামুটি কম দামে খাবার পাওয়া যায়। ওইখানে গিয়েই বড় বড় দুইটি ইলিশ পছন্দ করি এবং সেগুলো কাঁটতে পাঠায়।আজ এই পর্যন্তই পরবর্তী গল্পগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করব অন্য কোন পোস্টে ধন্যবাদ সবাইকে।


আমি কে !

IMG_20231120_103032_225.jpg

আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি এবং একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
1000006178.png1000006179.png1000006180.png

শীতের রাতে বাহিরে যদিও অনেক বেশি ঠান্ডা পড়ে, কিন্তু এভাবে বাহিরে গেলে কিন্তু মন্দ হয় না। তবে বাইকের মধ্যে একটু বেশি ঠান্ডা লাগে। আপনি শীতের রাতে মাওয়া ভ্রমণ গিয়েছিলেন শুনে ভালো লাগলো। ওখানে গিয়ে দেখছি বড় বড় দেখে দুইটি ইলিশ পছন্দ করে নিয়েছিলেন। এখন অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পোস্টের জন্য। খুব শীঘ্রই আশা করি শেয়ার করবেন পর্বটা।