রাতে বাড়ি ফেরা।|| ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া। ||

আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। অনেকদিন হলো ব্যস্ততম নগরী ঢাকাতে অবস্থান করছি। ইউনিভার্সিটিতে মিড টার্ম পরীক্ষা চলছে অপেক্ষা করছে পরীক্ষা শেষ হওয়ার। হঠাৎ করেই ছুটির ঘন্টা বেজে উঠলো আজকে আমাদের পরীক্ষাটা শেষ। পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথে ঢাকাতে বসে থাকতে আর ইচ্ছে হয় না ‌।মন ছুটে চলে যেতে চাই সেই চেনা জায়গা ছোটবেলায় কাটানো মুহূর্তগুলো মনে পড়ার মত জায়গা আমাদের নিজস্ব বাড়িতে।

আমাদের পরীক্ষা ছিল বিকেল পাঁচটা থেকে ‌।কালকে এসেছিল এক বড় ভাই এবং বন্ধু তাদের আজকে আবার জবের পরীক্ষা ছিল। সব মিলিয়ে ব্যস্ত একটি দিন। তাদের জব এর পরীক্ষা দুপুর দুইটা থেকে আমাদের পরীক্ষা বিকেল পাঁচটা থেকে। আজকে যেহেতু শেষ পরীক্ষা আমরা প্লান করেছিলাম পরের দিন সকালে বাড়ি যাবো। কিন্তু যে দুজন চাকরির পরীক্ষা দিতে এসেছে তারা বলল তোমাদের পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত বসে থাকে তারপর সবাই একসাথে যাব। যেহেতু পারে যাওয়া নিয়ে কথা উঠেছে তাই আর কোন বাধাই মানবো না।

বড় ভাইয়ের সাথে আমিও গিয়েছিলাম তার পরীক্ষার কেন্দ্রে তখন সে ঢাকাতে এসেছে চিনবে তবে বাইক নিয়ে যেতে একটু কষ্ট হবে। কারণ তার ঢাকাতে বাইক চালানোর অভ্যাস কম। পরীক্ষা শেষ করে এসে আমরা বিকেল ৫ঃ৪৫ মিনিটে দুইটা বাইকের চারজন মানুষ রওনা করি কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে। কিছুক্ষণের মধ্যে অন্ধকার হয়ে আসছে হাইওয়েতে গাড়ির চাপ অনেক বেশি। রাতের বেলায় আমাদেরকে খুব সাবধানতার সাথে বাইক রাইড করতে হবে। তবে আমার রাতের বেলা বাইক রাইড করতে বেশ মজাই লাগে। রাতের বেলা বাইক রাইড করার সময় অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় এবং অপর দিকের গাড়ির হেডলাইট দেখে বুঝে নিতে হয় গাড়িটা বড় নাকি ছোট।

আমরা সাধারণত বাড়ি আসার সময় হেমায়েতপুর থেকে ভেতর দিয়ে একদম মানিকগঞ্জে চলে আসি। এই রাস্তাটি বেশ মসৃণ এবং গাড়ির চাপ খুব কম থাকে। তবে আজকে অনেক বেশি গাড়ি চলছিল বিশেষ করে প্রাইভেট কার গুলো এ রাস্তা দিয়ে বেশি চলে। রাতের বেলা ওভার টেকিং এর সময় অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় কারণ কোন দিক থেকে কত স্পিডে গাড়ি আসছে সেটা বোঝা মুশকিল। আমরা এক ঘন্টা ৪৫ মিনিটের মধ্যেই ফেরিঘাটে চলে আসি। এর রুটে এখন গাড়ির চাপ খুব কম তাই ফেরিগুলো ভরতে অনেক বেশি সময় লাগে। কিন্তু আজকে অনেক ভাগ্য ভালো যাওয়ার সাথে সাথেই ফেরি গাড়ি দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যায়। আমারা ওঠার কিছু সময়ের মধ্যেই ফেরিটা ছেড়ে দেয়। নদীর মাঝে যখন আমরা অবস্থান করছি আকাশের চাঁদ এবং নদীর পানি সৌন্দর্য এক অপরূপ সৌন্দর্য সাক্ষী হয়েছি।

এই রাতে চাঁদের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে আমরা কখন যেন নদী পার হয়ে শেষ প্রান্তে চলে এসেছি বুঝতেই পারিনি। আজকের চাঁদটা ছিল অনেক বেশী সুন্দর তার সাথে নদীর অপরূপ সুন্দর একটি অসম্ভব সুন্দর মুহূর্ত আমাদেরকে উপহার দিয়েছে। আমাদের বাসায় পৌছাতে এখনো দেড় ঘন্টা মত সময় লাগবে। আমরা অনেক সাবধনার সাথে বাইক রাইড করতে থাকি। তবে ঘাটপার হয়ে পাশে চলে আসলে গাড়ির চাপটা অনেকটাই কমে যায়। আমাদের যাত্রাপথে এখনো চা খাওয়া হয়নি তাই কিছু পথ এসেই এক কাপ রং চা পান করি। যাতে আমাদের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। রাত দশটার দিকে আমরা আমাদের বাসায় এসে পৌছাই। রাতের বাড়িতে ফেরা বেশ ভালই লেগেছে। আজ এই পর্যন্ত দেখাবে পরবর্তী কোন পোস্টে অন্য কোন গল্প নিয়ে ধন্যবাদ সবাইকে।

আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।