বান্দরবানের পথে পথে "প্রকৃতির গহীনে।"

in hive-129948 •  5 months ago 

আসসালামু আলাইকুম।

আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

  • প্রকৃতির গহীনে।
  • ০৫,জুন ,২০২৪
  • বুধবার

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আপনারা যারা নিয়মিত আমার পোস্ট দেখেন তারা অবশ্যই জানেন আমি ভ্রমণ করে একজন বিশেষ করে প্রকৃতির মাঝে ভ্রমণ করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। বান্দরবান ভ্রমণের অনেকগুলা পর্ব ইতিমধ্যে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম রেমাক্রি হতে নাফাখুম জলপ্রপাতের উদ্দেশ্যে যাত্রার মুহূর্ত। এখনো আমাদের যাত্রা চলনা তবে আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব প্রকৃতির গহীনের অপরূপ সুন্দর। অবশ্য এটা নাফাখুম যাওয়ার পথে সৌন্দর্য। যেখানে মানুষ যত কম সেখানে প্রকৃতি তত বেশি সুন্দর। এমন একটি সুন্দর পরিবেশ দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমাদের।


IMG20240121074050-01.jpeg

IMG20240121073739-01.jpeg


Device : Realme 7
What's 3 Word Location :

গত পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম সবাই মিলে দল বেঁধে হেঁটে হেঁটে নাফাখুমের সৌন্দর্য দেখতে যাচ্ছি। চলতি পথে অনেক সৌন্দর্য আমাদেরকে আকর্ষণ করে। আজকে সেই সৌন্দর্য গুলো নিয়েই বর্ণনা করলো আপনাদের মাঝে। প্রকৃতির গহীনের অপরূপ সৌন্দর্যে আমরা সবাই মুগ্ধ হয়েছি। বিশেষ করে সকালে নীরব প্রকৃতি সাথে শীতল আবহাওয়া সবমিলিয়ে দারুন সময় কাটছে। বিশেষ করে আমরা সবাই দলবেটে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছি পাহাড়ি রাস্তা ধরে এটা সবথেকে বড় অ্যাভেঞ্জার। সব থেকে ভালো লেগেছে পাশ দিয়ে জলধারা বয়ে যাচ্ছে সেখান থেকে অসম্ভব সুন্দর একটি আওয়াজ আসছে আমরা সেই প্রকৃতির অসম্ভব সুন্দর আওয়াজ শুনতে শুনতেই সামনের দিকে এগোচ্ছি। এমন প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে অবশ্য হারিয়ে গিয়েছিলাম প্রকৃতির প্রেমে। চলতি পথে হঠাৎ থেমে গিয়ে প্রকৃতি দেখার নেশাটা আমার অসম্ভব ভালো লাগে।


IMG20240121075611-01.jpeg

IMG20240121075620-01.jpeg


Device : Realme 7
What's 3 Word Location :

শীতের সময় গিয়েছিলাম জন্য নদীতে পানি কম ছিল হয়তো পানি বেশি থাকলে আলাদা সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারতাম এবং হাঁটার রাস্তা গুলো আরো বেশি অ্যাডভেঞ্চার হতে পারত। তবে শীতের সময়ের প্রকৃতিটা আরো বেশি নীরব থাকে চারিদিকে কুয়াশায় ঘেরা আমরা হেঁটে চলেছি অজানার উদ্দেশ্যে। হঠাৎ করেই চোখ পড়ে যায় জলধারার দিকে পানির কালারটা অসম্ভব সুন্দর মনে হচ্ছে কেউ যেন সবুজ রং ঢেলে দিয়েছে পানির মধ্যে। আবার কিছু কিছু জায়গার পানিটা অনেক বেশি নীল সব মিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর এক প্রকৃতির দেখা মিলল আমাদের। যত সামনের দিকে এগোচ্ছি ততই নতুন নতুন প্রকৃতির সন্ধান মিলছে।


IMG20240121075000-01.jpeg

IMG20240121073911-01.jpeg


Device : Realme 7
What's 3 Word Location :

সব থেকে বেশি ভালোলাগার একটি ব্যাপার হল আমরা সবাই দল বেঁধে শীতের সকালে অচেনা পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছি নতুন কোন সৌন্দর্য দেখার আশায়। সাথে বেশ চিল্লাচিল্লি করেছি দূর থেকে একজনের নাম ধরে ডাকলে প্রতি পাহাড়ের সাথে বেঁধে ইকো তৈরি হয় ব্যাপারটা অনেক বেশি ভালো লাগে। অংকন এবং সুমন ভাই পিছনে ছিল তাই আমরা সামনে থেকে তাদেরকে ডাক দিচ্ছিলাম তারাও এ ডাকে সাড়া দিচ্ছিল শব্দটা অনেকবার শোনা যাচ্ছিল এটা সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। চলতি পথে জীবনের এবং অঙ্কনের কন্ঠে গান তো আছেই এমন পরিবেশে অনেক বেশি ভালো লাগছিল তাদের কন্ঠে গান।


IMG20240121080143-01.jpeg

IMG20240121080422-01.jpeg


Device : Realme 7
What's 3 Word Location :

এটা যেহেতু পায়ে হেঁটে যাওয়ার রাস্তা তাই অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যাবে এজন্য বিশ্রাম করার জন্য বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট দোকান রয়েছে সেখানে আবার পাহাড়ি অনেক ধরনের ফল পাওয়া যায়। এই দোকানগুলো সাধারণত ঝিরি পথের পাশেই হয়ে থাকে অসম্ভব সুন্দর এক মনোরম পরিবেশে। সাধারণত এখানে বসে কিছু সময় কাটালে এবং প্রকৃত উপভোগ করতে থাকলে সমস্ত প্রকার ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। প্রকৃতির মাঝে ক্লান্ত শরীর নিয়ে হাজির হলেও প্রকৃতি তাকে সতেজ করে তোলে। ছবিতে যে দোকানটি দেখতে পাচ্ছেন দূর থেকে দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল আর পাশেই ছোট্ট একটি ঝরনা ছিল কিন্তু শীত মৌসুম হওয়াতে ঝর্ণাতে আমরা পানি পাই নাই। পাশ দিয়ে বেয়ে চলেছে জলধারা এবং সেখানে বসে থাকলে দারুন একটি প্রকৃত উপভোগ করা যায়। যেহেতু আমাদের ঘুরে আবার চলে আসতে হবে সেজন্য আমরা এখানে বেশি সময় না কাটিয়ে আবার সামনের দিকে যাত্রা শুরু করি প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য। আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে অন্য কোন গল্প নিয়ে ধন্যবাদ ।সবাইকে।


আমি কে !

IMG_20231120_103032_225.jpg

আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বান্দরবানের শীতের সময় গিয়েছিলেন বলে চারিদিকে কুয়াশাগুলো বেশ ভালোভাবে উপভোগ করতে পারলাম
আসলে এই ধরনের পোস্টগুলো আমি অনেক পছন্দ করি আর আপনার পোস্টগুলো আমি নিয়মিত ফলো করার চেষ্টা করি আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর কবিতা এবং ভ্রমন পোস্ট শেয়ার করেন যেগুলো দেখে সত্যি অনেক মুগ্ধ হয়।

মামা এই গহীনে যেতে গিয়ে আমার জীবন শেষ হয়ে গিয়েছিল। নতুন যে প্লাস্টিকের স্যান্ডেল কিনা হয়েছিল সেটা আমাকে অনেক হেনস্থা করেছিল। তোমার করা ফটোগ্রাফির মধ্যে আমাকে দেখা যাচ্ছে লাঠি নিয়ে হেঁটে যাচ্ছি খুবই মিস করছি। আবার যেতে হবে মামা রেডি হও সময় বের করো।

অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার চমৎকার এই পোস্ট দেখার মধ্য দিয়ে অনেক কিছু জানার সুযোগ হলো আমার। এক কথায় অসাধারণ ছিল আপনার আজকের এই পোস্ট। যেখানে দেশে সুন্দর কিছু স্থানের দৃশ্য দেখতে পারলাম।

সাধারণ মুহূর্ত উপভোগ করেছেন ভাই। বান্দরবনে এত সুন্দর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে প্রকৃতির খোঁজে আপনারা হেঁটে যাচ্ছিলেন দলবেঁধে। আসলে দলবেঁধে হেঁটে যাওয়ার মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলোর ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়ে মুগ্ধ হলাম।

ওয়াও বান্দরবান কতো সুন্দর একটি জায়গা।প্রকৃতির মধ্যে দলবেধে হেঁটে যাচ্ছিলেন আপনারা সুন্দর অবলোকন করতে।ভালো লাগলো পোস্টটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

প্রকৃতির খোঁজে দল বেঁধেয় বন্ধুদের সাথে এভাবে ভ্রমন করার মুহূর্ত অসাধারণ। আপনারা দল খুবই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। দৃশ্যগুলোর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

বান্দরবানের পথে পথে, প্রকৃতির গহিনে, একদম ঠিক কথাটি বলেছেন ভাই। আপনাদের ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু সেই কথাই বলে দিচ্ছে। এমন প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে আমারও খুবই ভালো লাগে। আর আপনারা তো এমন মনোমুগ্ধকর ও সৌন্দর্য প্রিয় জায়গাতে গিয়ে অঙ্কন ভাইয়ের গানের সাথে সাথে নৈসর্গিক প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করেছেন। আপনাদের সময়টা খুবই এনজয় করেছেন তা পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, আপনাদের কাটানো সুন্দর সময় টুকু, সুন্দর বর্ণনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

অনেকের পোষ্ট পড়ে বুঝলাম আপনাদের বান্দরবানের এই ভ্রমনটা অনেক আনন্দ করেছেন। পায়ে হেঁটে নদীর পাশ দিয়ে যেতে অন্যরকম একটি ফিলিংস অনুভব করেছেন। একটি দোকান দেখলাম একেবারে নদীর পারে। পর্যটকদের জন্যই এটি বসিয়েছে। অনুভূতি দারুন ছিল। ধন্যবাদ।