আমি রাহুল হোসেন। আমার ইউজার নেমঃ@mrahul40।বাংলাদেশ থেকে।আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
- সমস্যা
- ০৪,জুন ,২০২৪
- মঙ্গলবার
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন আপনারা? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকের পোস্টটা একটু কষ্টদায়কও বটে কিছু কিছু দিন এমন যায় সকাল থেকে সমস্যা শুরু হয় একদম বিকেল পর্যন্ত। আজকে আমার সাথে তেমনটাই ঘটেছে। হঠাৎ করে কেন এমন হলো নিজেও বুঝতে পারলাম না তবে কোন প্যারা নাই সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই নিতে হবে। আমার অফিস টাইম নয়টা থেকে ছয়টা পর্যন্ত কিন্তু প্রজেক্টে পাইলিংয়ের ঢালাই চলছে জন্য একটু আগে আগে যেতে হয়। ঈদের আগে শেষ করতে হবে সেই টার্গেট নিয়ে আগানো হচ্ছে। তাই সকাল আটটা সাড়ে আটটার মধ্যেই প্রজেক্টে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করি। প্রতিদিনের মতো সকালে গোসল খাওয়া-দাওয়া করে রিলাক্স মোডে বাইক নিয়ে বের হলাম অফিসের উদ্দেশ্যে।
প্রতিদিন যাওয়ার সময় দেখি এই রাস্তার ধারে ট্রাফিক পুলিশ অনেক গাড়ি চেক করে আমাকে দাঁড়াতে বলেনা কিন্তু হঠাৎ আজকে একটা সার্জেন্ট দাঁড়াতে বললো। আজকে অবশ্য রাস্তায় গাড়ি কম থাকার কারণে সিরিয়ালটা আমারই পড়ে গিয়েছে। কেন যেন সার্জেন্ট দাঁড়াতে বললে অনেক বেশি ভয় লাগে মনে হয় কোন একটা দোষ ধরে মামলা দিয়ে দিবে। তারপরও যেহেতু সিগনাল দিয়েছে দাঁড়াতে তো হবেই। দাঁড়িয়ে কাগজ দেখালাম অবশ্য কাগজে একটু ত্রুটি ছিল সেটা ধরেই মামলা দেওয়ার জন্য কথা বলা শুরু করে দিল। আমি যে ভয়টা পাচ্ছিলাম সেটাই হলো আমার সাথে। সার্জেন্ট চাইলে মামলা নাও দিতে পারতো কিন্তু সে তো কোন কথা শুনবে না কারণ তাকে তো মামলা দিতেই হবে এমন একটি নিয়ত নিয়ে আমাকে ধরছে।
অবশেষে ১০০০ টাকার একটি মামলা রশিদ নিয়ে এবং আমার গাড়ির ট্যাক্স টোকেন পেপার রেখে দিল যেদিন আমি মামলা ভাঙাবো সেদিন আমাকে দিয়ে দিবে। ট্রাফিকের অফিস আবার মিরপুর ১০ নাম্বারে সেজন্য আমাকে মামলা ভাঙানোর জন্য মিরপুর ১০ নাম্বারে যেতে হবে। তবে দীর্ঘ একটি সময় দেয় আমাকে সময় দিয়েছে 21 দিন এর মধ্যে যে কোন সময় গিয়ে ভাঙ্গিয়ে আনতে পারব। অবশেষে মামলার স্লিপটা নিয়ে আমার প্রজেক্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। প্রজেক্টে গিয়ে দেখি রাতে এক গাড়ি পাথর আসার কথা ছিল সেটা আসেনি। এখানে আবার আরেক সমস্যা কারণ পাথর না থাকলে তো আজকে কাজও হবে না যে পাথর আছে একটা পাইলিং হতে হবে। দিনে তিনটা পাইলিং করছি একটা হলে তো দুইটা বেঁচে গেল এমন হলে তো ঈদের আগে শেষ করতে পারবো না আলাদা একটি টেনশন কাজ করছে।
যাই হোক ওয়ার্কারদের বলে দিলাম আপাতত একটা দিয়েই শুরু করেন পরে অন্য কোন প্রজেক্ট থেকে পাথর নিয়ে আসে আর একটা করা যাবে। প্রথম পাইলিং করতে করতে দুইটা বেজে যায় তার মধ্যে সিনিয়র স্যারের সাথে কথা হয় বলল যে আমার প্রজেক্টে পাথর আছে নিয়ে যেতে পারো। অবশেষে তিনটার জায়গা দুইটা পাইলিং করতে সক্ষম হয়। প্রায় কাজ শেষের দিকে আসরের নামাজ পড়তে মসজিদে এসেছি বাইক নিয়েই। প্রতিদিন এভাবে যাওয়া আসা করি মসজিদে কিন্তু আজকে আবার ঝামেলায় পড়লাম এখন। কেবলমাত্র বাইক নিয়ে ঘুরে রাস্তা বাম পাশে গিয়েছি তখনই আবার সার্জেন্ট হাজির। আবার কাগজ দেখতে চাইলো দেখালাম কাগজের সমস্যা তো আছেই দেখালাম যে মামলা খেয়েছি কিন্তু সে কথা শুনবে না। বলল যে মামলা খাওয়ার পর আবার মামলা দিতে গেলে ডাবল হবে অর্থাৎ ১ হাজার টাকার মামলা আগে খেললে এখন আবার দিলে ২০০০ টাকা। অবশেষে তাকে বললাম রেকার বিল করে দিতে কারণ এটাতে অল্প টাকা দিতে হয়।
একই দিনে দুইবার মামলা খাওয়াটা এই আমার জীবনের প্রথম এবং বেশ কষ্টদায়কও বটে। ছোট ছোট সমস্যার কারণে তারা ছাড় দিলেও পারতো কিন্তু তারা সেটা দিবে না। হয়তো সামনে ঈদ আসছে তাদের ঈদের খরচ দরকার সেজন্যই গাড়ি অনেক বেশি ধরছে এবং একটু সুযোগ পাইলেই মামলা দিয়ে দিচ্ছে। কারণ মামলার একটা পার্সেন্ট টাকা তাদের ভাগেও আসে। বিশেষ করে রেকার করলে তাদের অনেক বেশি লাভ হয়। সব মিলিয়ে দিনটা সমস্যার মধ্য দিয়ে কেটেছে তারপরও কোন টেনশন নাই আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে অন্য কোন গল্প নিয়ে ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মোঃ রাহুল হোসেন, আমার ইউজার নেম @mrahul40। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন।