আজকের বৈকালিক ভ্রমণ

মানুষের সুস্থ থাকার জন্য যেমন দরকার পরিমিত খাওয়া দাওয়া তেমনি দরকার প্রতিদিন কিছুটা হলেও হাঁটাহাঁটি করা। আমি শত ব্যস্ততার মাঝেও কিছুটা সময় নিজের জন্য বের করি। বিকেল বেলায় কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করলে মনটা যেমন ফ্রেশ হয় তেমনি শরীর ও কিছুটা ঝরঝরে হয়। দিল্লি আসার পর থেকে নানা জটিলতায় নিয়মিত ব্যায়াম করা না হলেও যত খানি পারি চেষ্টা করি। যদিও সব সময় হয়ে ওঠে না।
খেয়াল ও এখানে এসে অনেকটাই বিরক্ত হয়ে উঠেছে , একা একা থাকে তেমন কোনো বন্ধু ও নেই যে খেলবে। ওই কিছুটা সময় অনলাইনে ক্লাস করে বাকি সময় গেমস খেলে। যেটা বাচ্চাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর কিন্তু কিছুই করার নেই কি করা যাবে এক ভাবে সময় টা তো পর করবে তাই খুব বেশি বোকা বকি করি না।
সকাল থেকে রান্না বান্না করা সহ বিভিন্ন ধরণের কাজে মোটামুটি বাস্ত থাকতে হয় যার জন্য এক্সারসাইজ টা ঠিক মতো করা হয় না । বিকেলে কিছুটা সময় বের করি যাতে একটু হাঁটাহাঁটি করতে পারি। এই আবাসিক এলাকা টি মোটামুটি নির্জন এবং নিরাপদ। বিকেল বেলা অনেক বাচ্চারা খেলা ধুলা করে আবার অনেকে আবার হাঁটাহাঁটি করে। আমি ও খেয়াল কে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম সন্ধ্যা হওয়ার একটু আগে ভাবলাম কিছুটা হেটে আসি।

উত্তর প্রদেশের এই এলাকাটিতে মোটামুটি দুপুরের পর থেকেই বেশ ঠান্ডা পড়ে যায়। তাই আমরা ভালোমতো প্যাকিং ট্যাকিং হয়ে বেরোলাম । খেয়াল কে বললাম জুতা মোজা সব পরে নিতে যাতে কোনো রকম ঠান্ডা না লাগে।
আমরা যে বাড়িতে আছি তার সামনেই একটা রাস্তা , রাস্তাটি খুব বড় নয় আবার খুব বেশি বড় কোনো যানবাহন যাতায়াত করে না । স্থানীয় লোকজনের প্রায় প্রত্যেকের ই গাড়ি নিজস্ব গাড়ি আছে এবং প্রত্যেকে নিজেরাই সে গুলো চালায়। ওই গাড়িগুলো ই যা আসা যাওয়া করে এই রাস্তা দিয়ে। তাই খুব বেশি ঝামেলা নেই।

রাস্তায় যেহেতু খু বেশি গাড়ি র চাপ নেই তাই অনায়াসেই বাচ্চারা খেলা ধুলা করতে পারে, কেউ কেউ আবার সাইকেল চালায়। দুপুরের পর পরই তারা বেরিয়ে পড়ে সাইকেল নিয়ে। রাস্তার এ পাশ থেকে ও পাশে সাইকেল চালিয়ে বেড়ায়।

আমরা যে এলাকাটিতে আছি সেখানে ঢোকার গেট। রাতের বেলা গেট গুলো বন্ধ করে দেয় যাতে কোনো রকম অরাজকতা কেউ না করতে পারে। গেট বন্ধ থাকার কারণে কোনো অযাচিত লোক এলাকাটিতে প্রবেশ করতে পারে না।

বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে বাচ্চাদের খেলা ধুলা। আসলে বাচ্ছা দের জন্য এমন একটি পরিবেশ খুব দরকার। তাহলেই বাচ্চাগুলো হেসে খেলে বোরো হয়ে উঠতে পারে।

এখানে রাস্তায় দেখা মেলে প্রচুর কুকুরের। এখানকার লোকজন কুকুর গুলোকে বেশ যত্ন আত্তি করে। তাই লোক দেখলেই তারা দৌড়ে আসে ।খেয়াল আবার কুকুর খুব ভয় পায় ।তাই ওরা যখন দৌড়ে আসে আমাদের কাছে খেয়াল ও ভয়ে দৌড় দেয়।

কুকুরে র ছোট ছোট কয়েকটি বাচ্চা হয়েছে বেশ মিষ্টি। আমরা ওদের সামনে দিয়ে যেতে ই আমাদের কাছে দৌড়ে চলে এলো। খেয়াল অবশ্য কুকুরের বাচ্চা গুলো কে ভালো বাসে।

এভাবে রাস্তার এদিক ওদিক কিছুক্ষন হাঁটাহাঁটি করলাম , আবার কাছেই আছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর সেখান থেকে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনলাম । খেয়াল ও তার পছন্দের কিছু চকলেট কিনলো তার পর আবার বাড়ি ফিরে এলাম । বাইরে থেকে ঘুরে এসে খেয়ালের মন ও কিছুটা ভালো হলো আবার কিছুটা ব্যায়াম ও হলো।

আজকের ছবি : বৈকালিক ভ্রমণ
ছবি তোলার মাধ্যম: SamsungS20 ulta
ছবি তোলার তারিখ: ১৪- ১২- ২০২১