খেয়ালবাবু দিল্লী আসার পর থেকে একরকম ঘর বন্ধি বলা যায়। সারা দিন বাড়িতে বসেই সময় কেটে যায় , কোথাও তেমন যাওয়াও হয় না। সে মোটামুটি বিরক্ত হয়ে উঠেছে। তার পরে নতুন করে করণের আশঙ্কা । তাই বাইরে বেরোনোটা বেশ ভয়ের ব্যাপার হয়ে উঠেছে। কিন্তু বাচ্চাদের বুঝানোটা বাইশ মুশকিল।
খেয়াল বাবু কয়েক দিন ধরে বাইরে যাওয়ার জন্য বায়না করছিল। তাই আজ বিকেলে বেলা ভাবলাম ওকে নিয়ে একটু বেরিয়ে আসি। আমরা যে এলাকাটিতে আছি সেটি একটি আবাসিক এলাকা। এখানে মোটামুটি ছিমছাম শান্ত পরিবেশ।
আমাদের বাসা থেকে কিছুটা দূরে একটি মল আছে নাম মহাগুন মেট্রো মল। সেখানে মোটামুটি বেশ কিছু ব্র্যান্ড এর শপ, সুপার শপ, kfc , ম্যাক ডোল্যান্ডস সবই আছে। খেযাল আবার ম্যাক ডোল্যান্ড এর বার্গার খেতে বেশ পছন্দ করে।
আমরা বিকেল বেলা সোজা চলে গেলাম মহাগুন মেট্রো মল।
উদ্দেশ্যে খেয়াল এর পছন্দ ম্যাক ডোল্যান্ডস এ গিয়ে বার্গার ভোজন।
ওখানে পৌঁছে আমি একটা স্পাইসি ম্যাক বার্গার , আর দুইটি বড় কোল্ড ড্রিংক অর্ডার করলাম। খেয়াল আর আমি দুজন মিলে খাওয়া শুরু করলাম । বার্গারটা আসলে অনেক মজার।
এবং অনেকটা সস্তাও বটে।
খেয়াল বার্গার টি খাচ্ছিল আর আমি কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম । শপটি বেশ সাজানো গোছানো পরিপাটি। দেখলে যে কারো ভালো লেগে যাবে। এখন ম্যাক ডোল্যান্ডস এর ছবি গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।
ম্যাক ডো ল্যান্ডস এ ঢোকার মুখেই রয়েছে সুন্দর একটি স্টাচু।
যা দেখতে খুবই আকর্ষণীয়।
ম্যাক ডো ল্যান্ডস এর ভিতর এক সাইডে রয়েছে বাচ্চাদের জন্য কিডস প্যাকেজ। যে প্যাকেজটি নিলে বাচ্চারা বার্গার এর সাথে সাথে একটি খেলনা ও গিফট পেয়ে থাকে। এই কেস থেকে বাচ্চারা তাদের পছন্দ মতো খেলনাটি নিতে পারে।
করোনা মহামারী র জন্য কাস্টমারদের বসার টেবিল গুলো একটু দূরে দূরে ই রাখা যাতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় থাকে।
ম্যাক ডো ল্যান্ডস এর ভিতরে খুব সুন্দর পরিপাটি এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে খাবার সার্ভ করা হয়। যেটা খুব ই ভালো একটা দিক।
কাউন্টারে দাঁড়িয়ে আগে অর্ডার করে বিল পে করা হয় তারপর ম্যাক ডো ল্যান্ডস এর কর্মীরা গরম গরম বার্গার সার্ভ করে যায়।
ম্যাক ডো ল্যান্ডস এর বাইরে সাজানো রয়ে কয়েকটি গাছের টব যা বার্গার শপ টি কে আরো সুন্দর করে তুলেছে।
এটি ম্যাক ডো ল্যান্ডস এর অর্ডার কাউন্টার । এখান থেকে আমরা বার্গার অর্ডার করলাম। আর অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা খাবার পেয়ে গেলাম । খেয়াল বাবু ও খব খুশি হয়ে গেল । খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা কিছু কেনা কাটা করলাম তারপর বাড়ি ফিরে এলাম।
ছবি: ম্যাক ডো ল্যান্ডস
ছবি তোলার মাধ্যম: samsung s20 ultra
ছবি তোলার তারিখ:১৩ -১২-২০২১
পাখি যেমন খাঁচায় বন্দী থাকলে বাইরে বেরোনোর জন্য অনেক আকুতি মিনতি করে। মানুষের ঠিক তেমনি অনেকদিন যাবত ঘরবন্দি থাকলে মানুষের মধ্যে অস্থিরতা কাজ করে। তাই মানুষকে প্রতিনিয়ত খুব সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে হলে বা এর আশপাশ ঘুরে দেখা খুবই জরুরী। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন অস্থিরতা আর কাজ করবে না আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার সুন্দর মন্তবের জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শিশুদের ঘরে বন্দি করে রাখা উচিত নয়। তাদের সময় দেওয়া উচিত এবং বাইরের পরিবেশ এর সাথে পরিচিত করানো উচিত। শিশুদের বাইরের পরিবেশের সাথে পরিচিত করালে তাদের জ্ঞানের প্রসার ঘটে এবং মানসিক শান্তি পায়। ম্যাকডোনাল্ডসের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ আপনার বিষয়বস্তু সত্যিই আকর্ষণীয়, ভাগ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit