আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন আসা করি রোজার মাসে সবাই খুবই ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়া আল্লাহর অশেষ রহমাতে অনেক ভালো আছি।
আমি মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ থেকে বলছি। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভারতীয় ও বাংলাদেশের বন্ধুদের সুস্থতা কামনা রেখে শুরু করছি আজকের ব্লগ। ১০% সাই ফক্স ও ৫% এবিবি স্কুল।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো ছোট বেলায় রোজার অনুভূতি ও গল্প.
**আসলে রোজা আসার আগেই কেমন জানি ভালো ভালো লাগদো। যদি শুনতাম যে রোজার আর কিছু দিন বাকি আছে বা আর বেশি দিন নাই। মনটা যানি কেমন অনেক খুশিতে ভরে যেত।কারন রোজায় বেশি বেশি করে খেতে পারবো বা ভালো ভালো জিনিস খাবো।এই চিন্তায় থাকতাম কতো খনে খাবো।আর রোজায় এমনে বিশেষ করে খাবারের তালিকা বেড়ে যেত।অন্যনা সমায়ের থেকে রোজার সোম এমনি অনেক খাবার বেশ
বিশেষ করে রোজায় আল্লাহ তায়ালা রিজিক বাড়াইয়া দেয়।এটা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে আমাদের বিশেষ বর একটা নেয়ামত। কারন আপনি দেকবেন অন্যনা সময়ে যে খাবার গুলো না থাকে রোজা আসলেই কোথা থেকে যে আসে এটা অবশ্য আমাদের জন্য বিশেষ একটা নেয়ামত। আর আমরা অনেকেই কি রোজা না থাইকা বিশেষ নেয়ামত পাইয়া শুধু খাই আর খাই।
যাইহোক রোজা যখন আসতো মনটা খুশিতে ভরে যেত। শুধু খাওন আর খাওন দেখে লোভ সামলিয়ে রাখতে পারতাম না। রোজা রাখার কথা বলে সেহরি খেতাম পরে আর রোজা রাখতে পারতাম না। কারন তখন তো ছোট ছিলাম এ জন্য রোজা রাখতে খুবই কষ্ট হতো।কিন্তু সবাই যদি জিগ্যেস করতো যে রোজা রাখছো বলতাম হুম রাখছি।তা ছাড়া ছোট বেলায় সব থেকে মজার বিষয় হলো অনেক চুরি করে করে খেয়ে সবাইকে বলতাম আমি রোজা রাখছি।এদিকে আমার ৫ ৬ বার খাওয়া হয়ে যেত।
আর বিশেষ করে বাবা মা বলতো যে ঠিক দুপুর বেলায় কোন একবার খেলে রোজা নাকি আদদেক হয়ে যায়। তো বাবা মার কথা শুনে এবাবেই রাখতাম রোজা। আর মনে করতাম যে আমি আদদেক রোজা রেখে ফেলেছি। এ ভাবে দুই দিন করলে একটা রোজা হয়ে যেত।
বিশেষ করে আরো ভালো লাগদো ইফতারের সময়।কারণ ইফতারের সময় হলেই কতো খাবার যে দেখতাম সামনে।
বিভিন্ন ধরনের ফল ফলাদি সামনে দেখতাম লোভ সামলিয়ে রাখতে পারতাম না। আযান দেওয়ার আগেই খাওয়া শুরু করতাম। ছোট বেলার ওই সময় টা আসলে ভোলার মতো না রোজা আসলেই খুবই মনে পরতো।
আরেকটা মজার সময় হলো সেহরি খাওয়ার সময়। রোজা না রাখলেও সেহরি খাওয়া মিস করতাম না। মা বাবা না উঠালেও নিজে নিজে উঠে খেতাম। আবার মাঝে মাঝে উঠতে পারতাম না তখন খুবই খারাপ লাগদো।আর মা বাবারে বলতাম মা আজকে কিন্তু রোজা রাখবো তো আজকে কিন্তু আমারে উঠাইবা। তো মা বাবা যদি না উঠাইতো তাইলে সকালে রাগ হইয়া যাইতাম।তার পর বলতাম যে আজকে আমি রোজা রাখবো না খেয়ে তা কি আর রাখতে পারতাম। ফুসলিয়ে ফুসলিয়ে রোজাটা বাংগিয়ে দিতো।আর পারতাম না রাখতে।
আর বিশেষ করে রোজা শেষ না হতে হতেই এসে পরবো ইদ। এ আনন্দে মনটা খুশিতে ভরে যেতো।কারন ইদ মানেই খুশি ইদ মানেই আনন্দ। আর সব থেকে মজার বিষয় হলো ইদ আসলে সবার সাথে সবার দেখা হয়।এটা খুবই আনন্দের বিষয়।খুবই ভালো লাগদো তখন।
যাইহোক আর কিছু বলতে চাই না এই ছিল আমার রোজার অনুভূতি নিয়ে কিছু কথা। আমার লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। এবং আমার পোস্ট পড়ে আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।যাইহোক সবাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকে আমার লেখা শেষ করলাম আল্লাহ হাফেজ।
🍒আমার পোস্ট পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ🍒
ছোট বেলায় রোজার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। দারুন হয়েছে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার ছোটবেলায় রোজার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার মত শৈশবকালে আমারও রোজার সময় গুলো ছিল। আপনার কাটানো সময় গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি ভাইয়া আব্বু আম্মু সব সময় এমন করতো। আমিও খুশিতে ভেঙে ফেলতাম রোজা। আসলেই ছোট বেলায় ভালো ছিলাম। রোজা আসলে আব্বু আম্মু ভাই বোন সবাই মিলে এক সাথে সেহরির ইফতার করতাম। আর এখন আব্বু নেই আর আপুরা সবাই যার যার নিজের বাড়িতে 😥।সত্যি ভাইয়া আপনার ছোট বেলার রোজা রাখার অনুভূতিটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য অনেক দুআ ও শুভকামনা রইল ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু বাবা মা এবাবেই করে ছোটদের রোজা গুলো বাংঙিয়ে দেয়। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit