আমি নাঈমা রাসেল।
আমি বাংলাদেশের শরীয়তপুর জেলায় থাকি। পেশাগত দিক থেকে আমি একজন স্কুল শিক্ষক। আমার স্কুলের নাম মনোয়ারা সিকদার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়।স্কুলটি দিগর মহেশ খালি গ্রামে, সখিপুর থানায় অবস্থিত। এখানে আমি ভৌত বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত আছি। আমি প্রায় দেড় বছর ধরে এই স্কুলের সাথে আছি।
আমার স্কুল টি একটি বালিকা বিদ্যালয়। খুব স্বভাবতই মেয়েদের উপস্থিতি বেশি থাকার কথা।কিন্তু না আমাদের এই স্কুলটিতে ছাত্রী সংখ্যা খুব কম। সারা স্কুলে ছাত্রীর সংখ্যা ১৪৬ জন। গ্রামীণ পরিবেশের তুলনায় সংখ্যাটি কম না বেশি সেটা বুঝে উঠা টা খুব মুশকিল। প্রথম প্রথম আমার কাছে খুব অবাক লাগতো, এখন মানিয়ে নিয়েছি। আমাদের ছাত্রী সংখ্যা কম হওয়ার ও বেশ কিছু কারণ আছে, আমাদের আশেপাশে আরো কিছু স্কুল আছে, এর মধ্যে একটি আছে সেন্টার স্কুল এবং একটি মাদ্রাসা। অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রী এবং তদের অবিভাবকদের সেন্টার স্কুল প্রথম চয়েস থাকে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্টের আশায়। আর অনেক বাবা মা তাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় পড়াতে আগ্রহী থাকে। অল্প কিছু সংখ্যক যারা তাদের মেয়েদেরকে আমাদের কাছে পাঠান।তাদের কে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমরা আন্তরিকভাবে তাদেরকে কিছু শেখানোর চেষ্টা করি এবং করে চলেছি। আমাদের স্কুলে শিক্ষক কর্মচারী সব মিলিয়ে দশ জন আছি। সকলেই ছাত্রীদের প্রতি খুবই আন্তরিক। যার ফলশ্রুতিতে ২০২৩ সালের এস,এস,সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ২০ জনের মধ্যে ২০ জনই সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়েছে । এদের মধ্যে ১ জন জিপিএ ৫ এবং ১জন টেলেন্টপুলে ও ১ জন সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে। তাদের সকলকেই জানাই অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। তাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল হোক। আমার মেয়েদের জন্য সকালের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। সকলেই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাই কে।
(source : Facebook )
![FB_IMG_16964667131pg](https://cd6tyipF2UhwV6KYq221
(source :Facebook)
(source : Facebook)
ফেইসবুক থেকে ছবি নেয়া যাবে না। নিজের ছবি ইউজ করবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি, ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit