রেস্টুরেন্টের স্বাদে মুচমুচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি। 🍟

in hive-129948 •  last year 
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা❣️❣️

সবাই কেমন আছেন?
আশাকরি আপনারা সবাই সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও তার রহমতে ভালো আছি।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। রেসিপিটি হলো রেস্টুরেন্টের সাথে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর মজাদার রেসিপি😋। এটি পারফেক্ট ভাবে তৈরি করতে পারলে রেসিপিটি টেস্ট বোঝা যায়। শীতের সময় বিভিন্ন জিনিস খেতে ইচ্ছে করে। বিশেষ করে মুচমুচে খাবার গুলো। যেমন বিভিন্ন ধরনের পাকোড়া। বা রেস্টুরেন্টের স্বাদে ভাজাপোড়া কোন খাবার। বাহিরের ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার থেকেও ঘরে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তৈরি করে খেলে আমাদের জন্য ভালো। যাইহোক এটি খেতে বেশ সুস্বাদু ছিলো৷ তাই এটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসলাম। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপিতে যাওয়া যাক।

আমি নিচে রেসিপিটি তৈরির পদ্ধতি ধাপে ধাপে বর্ণনা দিয়েছি। আশা করি এটি আপনাদের ও ভালো লাগবে।
রেসিপিটির ফাইনাল লুক

GridArt_20240105_085435445.jpg

GridArt_20240105_085421632.jpg

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
  • আলু - ২টি
  • ডিম - ১ টি
  • মরিচের গুঁড়ো
  • চিলি ফ্লেক্স
  • গোল মরিচের গুঁড়ো
  • কর্নফ্লাওয়ার
  • লবন
  • তেল
প্রথম ধাপ:
  • প্রথমে আমি আলুগুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিলাম একটি পিলারের সাহায্যে।

GridArt_20240105_084840313.jpg

দ্বিতীয় ধাপঃ
  • তারপর আলুগুলোকে বেশি মোটাও না এবং বেশি পাতলাও না এভাবে মাঝামাঝি লম্বালম্বি ভাবে কেটে নিলাম।

GridArt_20240105_084903208.jpg

তৃতীয় ধাপ:
  • সবগুলো আলু এভাবে কেটে নিলাম ও একটি পানির পাত্রে ভিজিয়ে নিলাম। ঠান্ডা পানিতে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলাম।এতে আলোর ভেতরের কষ বের হয়ে যায়।

GridArt_20240105_084921797.jpg

চতুর্থ ধাপ:
  • ৩০ মিনিট পর আলুগুলোর পানি সরিয়ে নিলাম। তারপর একটা টিস্যু পেপার দিয়ে আলুর পানি মুছে নিলাম।

GridArt_20240105_085112433.jpg

পঞ্চম ধাপ:
  • এখন আলু গুলোর মধ্যে ডিম ভেঙে দিয়ে দিলাম।

GridArt_20240105_085150035.jpg

ষষ্ঠ ধাপ:
  • এখন পরিমাণ মতো লবণ ও চিলিফ্লেক্স দিয়ে দিলাম।

GridArt_20240105_085208912.jpg

সপ্তম ধাপ:
  • তারপর কনফ্লাওয়ার দিয়ে দিলাম ও মরিচের গুড়ো গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে দিলাম এবং সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মেখে নিলাম।

GridArt_20240105_085230483.jpg

GridArt_20240105_085257711.jpg

অষ্টম ধাপ:
  • এখন চুলায় একটি পাতিল বসিয়ে দিলাম এবং পাতিলে পরিমাণ মতো তেল দিলাম।

GridArt_20240105_085309649.jpg

সর্বশেষ ধাপ:
  • তারপর আলু গুলোকে হালকা আছে ভেজে নিলাম। হালকা বাদামি রং হয়ে আসলেই এগুলো চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।

GridArt_20240105_085320248.jpg

রেসিপিটি এখন সম্পূর্ণ তৈরি।

GridArt_20240105_085403485.jpg

GridArt_20240105_085525070.jpg

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই টমেটো সস দিয়ে পরিবেশন করলে বেশ সুস্বাদু হয়। আসল টেস্ট বোঝা যায়। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের এই রেসিপির পোস্টটি ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। ভুলক্রটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা
@naimuu
ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য🥰🥰
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আমার খুব পছন্দ। তবে বাসায় কখনো ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখে একটু টেস্ট করতে ইচ্ছা করছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

আপু আপনি চাইলে বাসায় ঝটপট তৈরি করে ফেলতে পারেন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। এটি তৈরি করা খুবই সহজ।

খুব দারুণ একটি রেসিপি দেখলাম। মাঝে মাঝে বিকাল বেলা অথবা সন্ধ্যার পরে এমন রেসিপিগুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। তাছাড়া সাথে ডিম দিলে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। রেসিপিটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।

Posted using SteemPro Mobile

জি ভাইয়া আসলে ই মাঝে মাঝে বিকেলে বা সন্ধ্যার পর এমন ভাঁজা পোড়া খেতে খুবই ভালো লাগে। আর হ্যাঁ ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তে ডিম দিলে ভালো হয় বলা যায় ডিম ছাড়া ফ্রেন্স ফ্রাই কখনোই সম্ভব নয়।

বাইরের ভাজাপুড়া খাবার গুলো স্বাস্থ্যর খুবই খারাপ। তারপরও আমরা বের হলে অপারগ অবস্থায় খেয়ে নিই। কিন্তু যখন সময় সুযোগ হয় তখন ঘরে তৈরি করলে বেশ ভালো হয়। আপনি অনেক মজার করে রেস্টুরেন্টের সাথে ফ্রেন্স ফ্রাই করলেন। দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না আপু। রেসিপিটি দেখে খুব ভালো লাগলো।

বাহিরের তৈলাক্ত অর্থাৎ বোঝাপোড়া খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ। আমি চেষ্টা করি ঘরে কিছু তৈরি করার জন্য।

এক কথায় লোভনীয় একটি রেসিপি আপু।ঠিক রেষ্টুরেন্ট এর মতোই তৈরি করেছেন রেসিপিটি। খেতেও যে রেষ্টুরেন্ট এর মতোই মজাদার ও সুস্বাদু হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে ফটোগ্রাফি দেখে।ধাপে ধাপে তৈরি পদ্ধতি সুন্দর করে দেখিয়েছেন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে।সব মিলিয়ে অসাধারণ সুন্দর রেসিপিটি। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি ভাগ করে নেয়ার জন্য।

রেস্টুরেন্টের স্বাদে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরি করতে চেয়েছি। বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। কিন্তু আমরা বাহিরে অনেক দাম দিয়ে এটি ক্রয় করি।

এটা আমার খুবই ফেভারিট একটা জিনিস, রেস্টুরেন্টে কোথাও বসলে প্রথমে আমি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই অর্ডার করি, এটা খেতে খেতে পরবর্তীতে অন্য অর্ডার দিয়ে থাকি। আপনি আমার পছন্দের একটা ফাস্ট ফুড রেসিপি আকারে উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা আপনার জন্য।

রেস্টুরেন্টে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আমরা অনেক দাম দিয়ে খেয়ে থাকি। কিন্তু চাইলেই ঘরে খুব সুন্দর ও ঘরোয়া কিছু উপকরণ দিয়ে তৈরি করতে পারি।

খুবই মজাদার এবং লোভনীয় একটি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শীতের সময় সত্যি এ ধরনের রেসিপি খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে যদিও বাসায় তৈরি করার মত কেউ নেই তবে বাহির থেকে অনেকবার খাওয়া হয়েছে। আপনার এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি লোভনীয় ছিল, শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

শীতের সময় সকাল সন্ধ্যায় ভাজাপোড়া ও গরম গরম খাবার খেতে খুবই ভালো লাগে।

আমি বাড়িতে বেশ কয়েকবার তৈরি করেছি। কিন্তু সত্যি বলতে রেস্টুরেন্ট এর মতো কখনোই হয় না। কিন্তু আপনি দেখছি সেটা করেছেন। দেখে বেশ ভালো লাগল। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আমার অনেক পছন্দের। বেশ দরকার তৈরি করেছেন আপু। দেখেই বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

আসলে ভাইয়া আলুগুলো কেটে রাখার পর ঠান্ডা পানি দেবার নরমাল ফ্রিজে ত্রিশ মিনিট রেখে দেবেন। তাহলে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই মুচমুচে হয়।

এভাবে কখনো ঘরে তৈরি করা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আমার আগে খাওয়া হয়নি। আসলে এমনিতে ঘরে কোন কিছু তৈরি করলে, তা অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত হয়ে থাকে। আর আপনি খুবই মজাদার ভাবে ঘরে এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই ঘরে তৈরি করেছেন বলে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল খেতে এবং খুব মজা করে খেয়েছিলেন। শীতের সময় কিন্তু এরকম মজাদার খাবার গুলো খেতে বেশি ভালো লাগবে। আর এমনিতেই এটা আমার অনেক বেশি পছন্দের একটা খাবার।

আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। ঘরেই ঝটপট তৈরি করে ফেলতে পারবেন।

আপনি রেস্টুরেন্ট এর মত করে আলুর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই প্রস্তুত করেছেন,যেটা খুব ভালো লাগলো আপু।রেসিপি দেখেই মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো হয়েছিল।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু আপনার এই সুন্দর মতামতের জন্য।