শীতের সকালে খাঁটি খেজুরর রস খাওয়ার অভিজ্ঞতা

in hive-129948 •  2 years ago 

নমস্কার সবাইকে।কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমি ও ভালো আছি ভগবানের কৃপায়। আজকে আপনাদের সাথে একটা মজার রেসিপি শেয়ার করব।

469b6854771997bb4b0a8ccd1b27ecfd.0.jpg
এই রেসিপি টি হয়তো আপনাদের মাঝে অনেকই যানেন আবার অনেকের কাছে একদম নতুন লাগবে।শীতকালে খেজুর গুরের রস পাওয়া যায়।এবং এটা আমরা অনেকেই খুব মজা করে খেয়ে থাকি।বেশ কিছু বছর আগে অবশ্য এই রসে কিছু জীবাণু পাওয়া গিয়েছিল আর এই জীবাণু র কারণে এই রস খাওয়ায় অনেকের মৃত্যু ও হয়।আর বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এই জীবাণু র নাম দেওয়া হয় নিপা ভাইরাস।এই কারণে খেজুর গুরের রস খাওয়া অনেক বছর বাদ দিয়ে ছিলাম।
কিন্তু সেদিন অনেক বছর পর আমাদের গ্রামের বাড়ি থেকে আমাদের পরিচিত এক কাকা আছেন উনি খাটি রস এনে বললেন যে এটা ভালো খেজুর রস। এটা খেলে কিছু হবে না।আমরাও অবশ্য তার কথায় বিশ্বাস করে রস টা সবাই মিলে খুব মজা করে খেলাম কেননা কিছু মানুষ আছেন যারা আপনার কখনো ক্ষতি চাইবে না।তাই একবাটি মুড়ি ও খেজুরের রস নিয়ে খেতে শুরু করলাম। আহা! কি স্বাদ।এবার আসি মুল রেসিপি তে।যেহেতু কাকা আমাদের আসল খেজুরের রস এনে দিয়েছিলেন তাই মা কাকাকে বলে পরের দিনের জন্য বেশি করে খেজুরের রস এনে দিতে বললেন। মার কথামতো কাকা পরের দিন প্রায় ১৫ কেজি খেজুরের রস এনে দিলেন।

4a1f95080f12b20cca18cebae64ef3ae.0.jpg
মা দেখলাম রসগুলোকে একটি হাঁড়িতে করে জ্বাল দিতে শুরু করল।

c726609a4fca71ce25f3adb15c9a177d.0.jpg
জ্বাল দিতে দিতে রসগুলোকে শুকিয়ে শুকিয়ে একদম নালীগুরে পরিণত করে ফেলল।

ae911cc4587c27eddd9d1ae4d53a685d.0.jpg
আমি খুব অবাক হয়ে দেখলাম। এবং খুব মজাও পেলাম।আর স্বাদের কথা নাইবা বলি।একদম পিওর আসল খাঁটি নালি গুড়ের স্বাদ।
d8690f24ffe2c67793a85f68d7b6d53e.0.jpg
সত্যিই অসাধারণ এই নালি গুড়ের স্বাদ।এই গুড় দিয়ে ঘন করে জ্বাল দেওয়া দুধ অথবা গরম গরম রুটি খাওয়ার মজাই আলাদা।
আজ এই পযর্ন্ত লিখছি।ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বাহ বেশ মজা লাগলো, খাজুরের রস এবং মুড়ি এ দুটোর সমন্বয়ে আসলে কখনো এভাবে খায়নি।যদিও খাজুরের রসকে জাল দিয়ে অনেকটা ঘন করার পরে মুড়ি দিয়ে খেয়েছি। তবে কাঁচা রস দিয়ে মুড়ি দিয়ে প্রথম দেখলাম। আর এটা ঠিক বলেছেন যারা আপন তারা কখনো ভেজালের মধ্যে নেই। বা খারাপ রাসতো আর দিবে না। যেহেতু আপনার কাকা ওই হিসেবে ভালই রস দিয়েছে। আর সবাই মিলে খেয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

ধন্যবাদ আপনাকে ও।অনেক দিন পর খেজুরের রস টা খেয়ে আমাদের বাড়িতেও সবাই বলছিলো খুব মজা পেয়েছে। আর গুড় দিয়ে তো আমরা প্রায়ই সকালের জলখাবার খাচ্ছি। গরম গরম মার হাতে ভাজা রুটি আর খাটি খেজুর গুড়।খুব তৃপ্তি।

আপনি যেভাবে বলেছেন আমার তো লোভ লেগে গেছে। ধন্যবাদ আমার মন্তব্যের সুন্দর ফিডব্যাক দেয়ার জন্য।

খাঁটি খেজুরের রস আসলে কখনো খাওয়া হয়নি। নিজের হাতে তৈরি করে গুড় খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। গুড় তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রুটি দিয়ে এবং মুড়ির সাথে গুড় খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।

বাদুর থেকে রসে নিপা ভাইরাস ছড়ায় সেখান থেকে আবার মানুষের এমন ভাইরাস হয়।সেই জন্য অনেক বছর যাবত রস খাওয়া হয় না।মামার বাড়িতে গেলে মামী এমন রস জ্বাল দিত দেখেছি।এখন আর দেখি না।তবে এবার বাবা নাটোর থেকে জ্বাল দেওয়া রস (রই) আনিয়েছে।যাই হোক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে

শীতের দিনে খেজুরের রস খাওয়ার মজাই আলাদা। আর যদি পরিচিত কেউ খেজুরের রস নিয়ে আসে তাহলে ভালোই হয়। এভাবে কখনো খেজুরের রস খাওয়া হয়নি। মনে হচ্ছে খেতে ভালো হয়েছিল। আপু আপনার পোস্টে ট্যাগের সংখ্যা যদি আরেকটু বাড়াতেন তাহলে ভালো হতো।

খেজুরের রস খাওয়ার জন্য মন অনেক চায় কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে খুনেও পাচ্ছি না। আসলে নীপা ভাইরাসের ভয়ে খাওয়ার আগ্রহ কমেও গিয়েছে। খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে খুব মজাদার নালি গুড় তৈরি করেছেন। খুব সুন্দর লাগছে গুড়ের কালার। ধন্যবাদ আপু।

শীতের সকাল মানাই খাজুরের রস। গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য এটি, যে রস দিয়ে শুরু হয় সকালের। গাছি ভাইরা যেমন খেজুর গাছ থেকে রস পেড়ে আনে, তেমনি কাস্টমার ভিড় করে তার বাড়িতে। অনেকেই শুধু কাঁচা রস নয় গরম রস খাওয়ারও চেষ্টা করে। আর খাজুরের রস দিয়ে শুধু গুড় তৈরি হয় না বরঞ্চ পাঠালিও তৈরি হয় খেতে অতি সুস্বাদু।