নাটক রিভিউ :- " স্কুল গ্যাং সিজন ২ " ( পর্ব ৮ )

বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ করলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি নাটক রিভিউ। নাটকের নাম হচ্ছে স্কুল গ্যাং সিজন ২ । নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে । বেশি দিন ধরে আমি এই নাটকটি দেখছিলাম। যদি এটা অনেক আগেই বের হয়েছে। তবে যেহেতু এই নাটকটি বেশ কিছুটা পর্ব তৈরি করা হয়েছে, তাই জন্য ভাবলাম আপনাদের মাঝে একটা একটা করে পর্ব শেয়ার করবো। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নাটকের ৮ তম পর্ব টা শেয়ার করবো। আশা করি রিভিউটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

কাহিনী সারসংক্ষেপ

এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, তামিমের বাবা সিয়াম আর তামিমকে নিয়ে বসেছে তারা কেন ঝামেলা আবারো করেছে এগুলো নিয়ে। তারা দুইজন এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেক বেশি তর্ক করছিল। তামিম চায় নিজের ক্ষমতা দেখাতে, কিন্তু সিয়াম চায় শুধুমাত্র শান্তি। সিয়াম এটা বলতে চায়, যেন আরোহী সবার সাথে বন্ধুত্ব করে ভালোভাবে থাকে স্কুলে। আর তামিমের বাবা সিয়ামের কথাটাই মেনে নেয়। তামিমের বাবা তামিমকে বলে যেন সিয়াম আর তার মধ্যে সমস্যা মিটমাট করে আবারো মিলে যায়। কিন্তু তামিম এটা মানতে একেবারেই রাজি হয় না। আর ওখান থেকে উঠে চলে যায়।

স্কুল ছুটির পর দেখা যায় স্কুল এর সবাই সাথীকে নিয়ে অনেক কথা বলছিল। আর তারা সাথীকে লিডার লিডার বলে কথা বলছিল, অনেক মজা করছিল। এক পর্যায়ে তারা এটা ভাবে আরোহী যদি আরো বড় কিছু করে তাহলে কি হবে। আর তারা সাবধানে থাকার জন্য বাহিরে সব সময় একসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাকিব, শান্ত আর মিরাজ যখন বাড়ি যাচ্ছিল, তখন শান্ত ওদেরকে বিদায় দিয়ে আরেক রাস্তা দিয়ে যেতে চায়। কিন্তু ওরা তো বিষয়টা নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে। আর তার সাথে যাবে বলে, কারণ তারা বিষয়টা সুবিধার মনে করছে না। আর শান্ত বিভিন্ন রকম অজুহাত দেখাতে থাকে।

এভাবে কথা ঘুরানোর সময় একটা পর্যায়ে সে গার্লস স্কুলের কথা বলেই দেয়। কারণ সেই গার্লস স্কুলের পেছনে প্রতিদিন মেয়ে দেখতে আসে। তারপর ওর সাথে সাকিব আর মিরাজ এসে অপেক্ষা করতে থাকে শান্তর জাস্ট ফ্রেন্ডকে দেখার জন্য। তারা যখন কথা বলছিল তখনই দেখা যায়, স্কুল পালিয়ে একটা মেয়ে বাহিরে আসছে। তখনই সাকিব তার হাত ধরে নেয়। মেয়েটা অনেক বেশি রিয়েক্ট করে তখন। আর সে চোর বলে চিৎকার করছিল। আর তখন ওখানে মিরাজ শান্তকে নিয়ে যায়। আর শান্ত তো মেয়েটাকে দেখে মিরাজ কে বলে এটাই তার জাস্ট ফ্রেন্ড।

কিন্তু সাকিব মেয়েটাকে বলার পর মেয়েটা তো বলে সে শান্তকেই চেনে না। যখন সাকিব এই বিষয়টা নিয়ে বাড়াবাড়ি করছিল তখন মেয়েটা সাকিবকে বলে সে শান্তর জাস্ট ফ্রেন্ড আর সাকিবের গার্লফ্রেন্ড। আর এটা শুনে তো সাকিব অনেক খুশি হয়ে যায়। তখন মেয়েটা ওখান থেকে চলে যায়। তখন এই বিষয়গুলো নিয়ে তারা তিনজন কথা বলছিল। আর সাকিব তো বলে মেয়েটাকে ও এবার থেকে ফলো করবে। অন্যদিকে শান্ত অনেক রেগে যায়, কারণ এতদিন সে গার্লস স্কুলের সামনে এসেও একটা মেয়েকে পটাতে পারলো না। তারপর আমরা দেখতে পাই নাজিয়া তার মাকে নিয়ে কোথাও যাচ্ছিল। আর তখনই আদর স্যারের সাথে তাদের দেখা হয়। আর তারা কথা বলার সময় শান্ত বিষয়গুলো গাছের পেছন থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে। অন্য দিকে আদর স্যার কথায় কথায় এটাই বুঝায়, যেন নাজিয়াকে ওর কাছে প্রাইভেট পড়ানো হয়।

তারপরে ফ্রিতে টিউশনি করানোর কথাটা নাজিয়ার মাকে বলে। আর এটাও বলে নাজির বাসায় এসে তিনি নাজিয়াকে পড়াবেন। আর নাজিয়ার মা রাজি হয়ে যায়। তারপর আদর স্যারকে বিদায় দিয়ে তারা এগোতে থাকে। তখনই শান্ত এসে নাজিয়াকে এক পাশে নিয়ে গিয়ে বিষয়গুলো বলতে থাকে। আর অনেক হাসাহাসি করতে থাকে। তখনই নাজিয়া ওখান থেকে তার মাকে নিয়ে চলে যায়। এরপর আমরা দেখতে পাই সিয়াম আর তার বাবা কোনো একটা বিষয় নিয়ে কথা বলছিল। আর তখনই ওখানে একজন লোক আসে। তিনি আসলে অন্য একটা স্কুলের টিচার। আর উনার স্কুলটা বাসা থেকে অনেক দূরে হয়ে যায়, তাই তিনি কাছের একটা স্কুলে আসতে চান। আর ওই স্যারকে আরোহীদের স্কুলে নিযুক্ত করে। তখন সিয়ামের বাবা ওনাকে জানায় আরোহীর উপর যেন সব সময় খেয়াল রাখে। আর তখনই এই পর্ব টা শেষ হয়ে যায়।

ব্যক্তিগত মতামত

এই নাটকের প্রতিটা পর্ব অনেক বেশি সুন্দর। আর এই পর্ব টাও খুব সুন্দর ছিল। আমার কাছে নাটকের এই পর্বটা দেখতেও খুব ভালো লেগেছে। এই পর্বে তেমন বেশি কিছু ঘটেনি। এই পর্বে আমরা দেখেছি একটা মেয়েকে সাকিব অনেক বেশি পছন্দ করে ফেলেছে। মেয়েটা রাগের মাথায় সাকিবকে বয়ফ্রেন্ড বলেছিল। এখন সাকিব সত্যি কারের বয়ফ্রেন্ড হতে চায়। আবার নাজিয়াকে আদর স্যার ফ্রিতে টিউশনি করাবে বলেছে। এই বিষয়টা নিয়ে শান্ত অনেক মজা নিচ্ছে। আর সে সব বন্ধুকে বিষয়টা জানাবে বলেছে। আবার আমরা শেষে দেখতে পেয়েছি স্কুলে একজন স্যার এসেছে, যাকে আরোহীর বাবা আর সিয়ামের বাবা নিয়ে এসেছে। আর সে আরোহীর উপর ভালোভাবেই খেয়াল রাখছে। অন্যদিকে আবার স্কুল গ্যাং এর সবাইকে বিভিন্নভাবে শায়েস্তা করবে। এখন দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হতে চলেছে। আশা করছি আপনারা সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবেন।

ব্যক্তিগত রেটিং

৯/১০

নাটকের লিংক