লাইফ স্টাইল :- ছোট ভাইকে মোবাইল সার্ভিসিং ট্রেনিং সেন্টার এ ভর্তি করানোর মুহূর্ত।

বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ শুরু করলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। মাঝে মাঝে আমার জীবনে খুবই সুন্দর মুহূর্ত কাটে। সেই মুহূর্তগুলো যখন আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি তখন আরো বেশি ভালো লাগে। আজকের নতুন একটি লাইফ স্টাইল নিয়ে হাজির হলাম। আমি আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগবে। চলুন শুরু করা যাক

ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখ গিয়েছিলাম ঢাকা মোতালেব প্লাজায়। আসলে আমার দীর্ঘদিনের একটা স্বপ্ন ছিল আমার ছোট ভাইকে মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ শেখানোর। সত্যি বলতে হাতের কাজ শেখা সবারই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজে অতিরিক্ত হাতের কাজ শিখে রাখি নাই। কিন্তু ছোট ভাইকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে। কারণ আমি নিজে যেমন পরিশ্রমের কোনো কাজ করতে পারি না, তেমনি আমার ছোট ভাইও করতে পারবে বলে মনে হয় না।

যার কারনে আমার তাকে নিয়ে চিন্তা ছিল হাতের কোনো কাজ শিখানোর। প্রথমত চিন্তা করেছিলাম গাড়ি ড্রাইভিং শিখাবো। এজন্য কয়েকজন বন্ধুর সাথে কথা বলেছিলাম। কিন্তু একটা সময় আমার কাছে এই পেশাটাকে নেগেটিভ কিছু চিন্তা আসলো। বিশেষ করে ড্রাইভাররা টাকা অতিরিক্ত খরচ করে ফেলে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা খুবই কম করে। যার কারণে এ পেশাটাকে আমার একটু ভালো লাগা কম কাজ করে।

এরপর থেকে চিন্তা করলাম বয়স হলে বাইরে অর্থাৎ বিদেশে পাঠিয়ে দিব। কিন্তু চিন্তা করলাম বিদেশে গিয়ে কি কাজ করবে। বিদেশে যাওয়া মানেই তো পরিশ্রমের কাজ করা। যত বেশি পরিশ্রমের কাজ আর তত বেশি টাকা উপার্জন করা যায়। আমি পরিশ্রমের কাজ করতে এবং করাতে পছন্দ করি না।

যার কারনে হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিলাম মোবাইল সার্ভিসিং কাজ শেখানোর কথা। মোটামুটি যদি ভালোভাবে কাজটা শিখতে পারে এ কাজের চাহিদা রয়েছে অনেক। কারণ মোবাইল সার্ভিসিং এর চাহিদা সারা জীবন থাকবে। যার কারণে এ কাজের মধ্যে আমার অনেক বেশি স্বপ্ন রয়েছে। আসলে কোথায় কাজ শিখাব তা নিয়ে অনেক টেনশন করেছিলাম।

প্রথমত চিন্তা করলাম ফেনী জেলাতে কাজ শিখাব। ৩০০০০ টাকার মত লাগবে কথাও বলেছিলাম। কিন্তু বেসিক শেখাবে। কিন্তু এডভান্স লেভেলের কোনো কাজ এখানে নাই। যারা এডভান্স বলে শুধু মুখে। তাছাড়াও ভালো মেশিন নেই কাজ করার জন্য।। ওভারঅল সবকিছু চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিলাম ঢাকা মোতালেব প্লাজায় কাজ শেখানোর কথা।

বাংলাদেশের মধ্যে মোবাইল সার্ভিসিং এর জন্য এক নাম্বার মার্কেট হলো মোতালেব প্লাজা। মোবাইলের সব ধরনের কাজই সেখানে করা হয়। এরপর সেখানকার একটি টেনিং সেন্টারের সাথে আমি যোগাযোগ করি। কোর্স বেসিক টু অ্যাডভান্স কোর্স এর মূল্য ৫৩ হাজার টাকা। এরপর 8000 টাকা থাকা এবং খাওয়া । অন্যান্য তার খরচ পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা লেগে যায়। সব মিলিয়ে চার থেকে পাঁচ মাস সেখানে শিখাবে।

ব্যাবহুল খরচ আছে জেনেও আমি ঢাকায় শিখানোর সিদ্ধান্ত নিলাম। কারণ ভালো কিছু পেতে হলে ভালো জায়গায় দিতে হয় । যার কারনে সেখানেই শেখানোর কথা রাজি হলাম। এরপর অনেক জনের সাথেই কথা বললাম সবাই ঢাকার কথা বলল। আমার স্বপ্ন হলো সে যদি ভালোভাবে কাজটা শিখতে পারে তাহলেই হলো।

মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজটা যদি শিখতে পারে তাহলে জীবনে ভালো কিছু করতে পারবে আশা করি। এখন শুধু মনোযোগ দিয়ে শেখা প্রয়োজন। আশা করি ভালো কিছু হবে। আপনাদের সবার কাছে দোয়া চাই। যেন আসে তাড়াতাড়ি মনোযোগ দিয়ে কাজটা শিখতে পারে। আগামীকাল আরো ভালো কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। এ পর্যন্ত সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণী	Lifestyle
ক্যামেরা	Samsung S23 Ultra
পোস্ট তৈরি	narocky71
লোকেশন	বাংলাদেশ

---

আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ,
💖ধন্যবাদ💖