নাটক রিভিউ :- " স্কুল গ্যাং সিজন ২ " ( পর্ব ১৮ )

বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ করলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি নাটক রিভিউ। নাটকের নাম হচ্ছে স্কুল গ্যাং সিজন ২ । নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে । বেশি দিন ধরে আমি এই নাটকটি দেখছিলাম। যদি এটা অনেক আগেই বের হয়েছে। তবে যেহেতু এই নাটকটি বেশ কিছুটা পর্ব তৈরি করা হয়েছে, তাই জন্য ভাবলাম আপনাদের মাঝে একটা একটা করে পর্ব শেয়ার করবো। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নাটকের ১৮ তম পর্ব টা শেয়ার করবো। আশা করি রিভিউটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

কাহিনী সারসংক্ষেপ

এই পর্বে আমরা সাকিব আর শান্তকে দেখি ভয়েস চেঞ্জ করে সাথীর সাথে কথা বলছে তামিম হয়ে। আর তাকে এটাও বলে এখন সে তার বাড়িতে আসছে। এরপর কিছুক্ষণ পর সাথী যখন দরজা খুলে তখন দেখতে পাই সাকিব এবং শান্ত এসেছে। আর তারা তখন অনেক মজা করতে থাকে। এমনকি সবকিছু তাকে বলতে থাকে। তারপরে সাকিব আর অনন্যা কে দেখা যায় কথা বলছে। আর সাকিব এবং শান্ত শেষ পর্যন্ত অনন্যার মুখ থেকে ভালোবাসার কথা শুনেই ছাড়ে।

আর অনন্যা চলে যাওয়ার পর তারা দুজন অনেক মজা করতে থাকে। তারপরে স্কুলে যাওয়ার পর সাকিব এবং শান্ত মিলে নাজিয়া আর মিরাজকে সবকিছু বলে সাথী এবং তামিমের ব্যাপারে। আর সবকিছু শুনে তো তারা সবাই খুব অবাক। আর সবাই তো বিভিন্ন রকম ভাবে এসবের জন্য মজা নিতে থাকে। আর সাথী তো শুধুমাত্র তামিমের প্রশংসা করতে থাকে। তারপর এসব কিছু নিয়ে তারা সবাই মিলে গান গায়।

এরপর আমরা স্কুলের অফিস রুমে হেড স্যার সহ অন্যান্য স্যার কে দেখতে পেয়েছিলাম। তারপর ওখানে এসে নির্বাচনের কথা জিজ্ঞেস করে। তারপর সে স্যার কেও তিন লক্ষ টাকার কথা বলে। আর তাদেরকে পুলিশে দেওয়ার কথা স্যার কে বলে। কিন্তু হেড স্যার কোনো রকমেই সিলেকশন করতে চায়না। তিনি ইলেকশন করে নির্বাচন করবেন বলে দেয়। তারপর খায়রুল স্যার আরোহীকে বলে দেয় যেন তার বাবার বন্ধু এমপিকে খবর দেয়। ইলেকশনের দায়িত্ব আদর স্যারকে দেয়।

তারপরে আরোহী তার বাবাকে কল দিয়ে স্কুলে আসার জন্য বলে দেয়। ওইদিকে আদর স্যার একটা নোটিশ নিয়ে তাদের ক্লাস রুমে এসে সবকিছু বলে দেয়। তারপর ওখানে যখন আরোহী আসে আরোহীর নামটাও লেখা হয়। আর স্যার সবাইকে জিজ্ঞেস করতে থাকে আর কেউ নির্বাচনে দাঁড়াবে কিনা। স্যার যখন এসব নিয়ে কথা বলছিল, তখন খায়রুল স্যার এসে আদর স্যার কে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। আর আরোহীর বাবার ভয় দেখায়। আর তখন আদর স্যার উনার উপর অনেক বেশি রেগে যায়, এমনকি উনাকে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে।

আর উনাদের ঝগড়ার সময় ওখানে আরেকজন স্যার আসে। আর ওনাদেরকে এসব কিছু জিজ্ঞেস করতে থাকে। এরপর আদর স্যার সরি বলে ওখান থেকে চলে যায়। তখন ওই স্যারটা খায়রুন স্যারকেও ওখান থেকে পাঠিয়ে দেয়। তারপর স্যার আরোহী কে ডাকে ওনার মাথা ম্যাসের্জ করে দেওয়ার জন্য। তখন একটা ছেলে উঠে স্যারের মাথা ম্যাসের্জ করে দেওয়ার কথা বলে। তারপর আদর স্যার আর ফারুককে দেখা যায় খায়রুল স্যারকে নিয়ে কথা বলছিল। আর তারা উনার বিষয়কে বিভিন্ন রকম কথা বলে। তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়।

ব্যক্তিগত মতামত

এই পর্বে দেখা যায় খায়রুল স্যার সহ আরোহী বিভিন্ন রকম ভাবে প্রত্যেকটা স্যার এমনকি স্টুডেন্ট সবাইকে থ্রেট দিতে থাকে। অন্যদিকে আবার সাথী তামিমের প্রেমে পড়েছে বেশ ভালোভাবে। আর এইসব কিছু নিয়ে তার বন্ধুরা বেশ ভালোই মজা করছে। অন্যদিকে আবার আরোহী ওদেরকে থানায় পাঠানোর কথা বলেছে। আরোহীর বিপরীত পক্ষে নাজিয়া নাম দিয়েছে স্কুল ক্যাপ্টেন নির্বাচনের জন্য। আবার আরোহী তার বাবাকে কল দিয়ে স্কুলে আসার জন্য ডেকেছে। এখন দেখা যাক আরোহীর বাবা স্কুলে এসে কি গন্ডগোল পাকায়। এসব কিছু আমরা পরবর্তী পর্বগুলোতে ভালোভাবেই দেখতে পাবো। এই পর্যন্ত আপনাদেরকে অপেক্ষায় থাকতে হবে। পরবর্তী পর্ব নিয়ে আমি খুব শীঘ্রই হাজির হওয়ার চেষ্টা করবো।

ব্যক্তিগত রেটিং

৯/১০

নাটকের লিংক