"আমার বাংলা ব্লগ "( আমার শেষ উৎসবের স্মৃতি) - পবিত্র ঈদুল আজহা ২০২১😍

in hive-129948 •  3 years ago 

আসসালামু আলাইকুম

আমি @navid01 বাংলাদেশ থেকে। আপনারা কেমন আছেন? আল্লাহ তায়ালার রহমতে আমিও অনেক ভাল আছি। আবারও আল্লাহর নিকটে শুকরিয়া আদায় করি যাতে করে আমি আমার শেষ উৎসবের স্মৃতি সর্ম্পকিত দিনটি আপনাদের নিকট বলতে পারি। আমার সর্বশেষ উৎসবের স্মৃতিটি হলো পবিত্র ঈদুল আজহা। আশা করি আপনারা আমার লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।



20210726_215615.jpg

ঈদের দিন সকালে



দ মানে খুশি।ঈদ মনে আনন্দ। সকল মুসলমান জাতির জন্য ঈদের দিন একটি বিশেষ নিয়ামত। বছরে এই দুটি দিন আমরা মুসলমানদের জন্য অনেক আনন্দ বয়ে আনে।এ দিন ধনি,গরিব সবাই সকল ভেদাভেদ ভুলে এক সঙ্গে উৎসবে মেতে উঠে।


সব কিছু বন্ধ থাকায় এবার ঈদের আমেজ ছিল অন্য রকম। তছাড়াও এবারের ঈদটা ছিল অনেকটা অন্য রকম আমাদের পরিবারের জন্য। আমারা প্রতি বছর কুরবানি দিতে না পারলোও যে বছর আমার আব্বু কুরবানির নিয়ত করে সে বছর আমরা একটি খাসি ছাগল কুরবানি দিই। এবার পুরোটা উল্টো। এবছর আমার আব্বু এবং আমার মেজ চাচা মিলে একটা গরু কুরবানির নিয়ত করে। পরিবারের থেকে প্রথম গরু কুরবানি।ব্যাপারটা একদম আলাদা। যদিও এবার মহামারির কারণে হাটে যেতে পারি নাই। পারি নাই বললে ভুল হাটে গিয়েছিলাম তবে অন্য কারনে। একটু পরে সে বিষয়ে বলছি। তবে আমাদের গরু যে হাট থেকে কিনেছিল সেখানে যেতে পারি নাই।



20210726_215507.jpg

এ বছরের কুরবানির গরু



এবার আসি হাটে গিয়েছিলাম যে কারণে। আমার আম্মুর আকিকা দেওয়ার জন্য একটা ছাগল কিনতে। আমাদের কুমারখালির শনিবারের হাটে গিয়েছিলাম পশু কিনতে। পশু কিনে সারা রাস্তা হাঁটতে হাঁটতে আর সবাইকে দাম বলতে বলতে বাড়ি চলে আসলাম।




ঈদের দিন:

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কুরবানির গরুকে গোসল করাতে যায় আমার চাচার বাড়িতে। আমাদের বাড়ি থেকে চাচার বাড়ি পাঁচ মিনিটের পথ। গরুকে গোসল করিয়ে বাড়ি চলে আসি নিজের গোসল সারার জন্য। এরপর লাল পাঞ্জাবি পড়ে আব্বুর সাথে ঈদের নামাজের উদ্দেশ্য রওনা হই। যথা সময়ে ঈদের নামাজ পড়ে দ্রুতই বাড়ি চলে আসি কুরবানিরর পশু জবাই করার জন্য। পাশের বাড়ির একজন ভাই সহ আমরা মোট ছয় জন মিলে ভালো ভাবে পশু জবাই এর কাজ সেরে ফেললাম। আমার আব্বু জবাই করেছিল পশুটাকে। এরপর কাটাকাটির পালা। আমি আর আমার চাচাত ভাই মিলে বটির কাজগুলো করে সেরে ফেললাম। আমার আব্বু আর চাচা মিলে ডাঁসা দিয়ে মাংস চুড়ানোর কাজ করল। কাটাকাটির পড়ে মাংস সমান তিন ভাগ করে একভাগ সমাজের জন্য দিয়ে আসলাম নিজে। এরপর শুরু আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যাওয়া। ঈদের দিনে এ কাজটি যেমন আনন্দদায়ক আবার একটু কষ্ট কর।কেননা মাংস নিয়ে তাদের বাড়ি যাওয়া আবার তাদের কুরবানি থাকলে সে মাংস বাড়িতে নিয়ে আসা। তাছাড়াও এই ঈদে ঈদুল ফিতরের মতো বেশি সালামি হয় না। দিক দিয়ে আর একটু কষ্টের। সব আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি যাওয়া পর আমি আমার বন্ধু শিউলের সাথে ঘুতে বের হই। ও আমার একজন খুব কাছের বন্ধু। ঘোরাঘুরি শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুজন আইসক্রিম কিনে খেতে খেতে বাড়ি চলে আসি।



20210726_215532.jpg

ঈদের দিন বিকেলে




ঈদের পরের দিন:

ঈদের পরের দিন সকালে আমার আম্মুর আকিকা দেওয়া জন্য কেনা ছাগল জবাই করা হয়েছিল। আমার চাচাত ভাই নয়ন এসেছিল। আমরা তিন মিলে জবাই করে কাটাকাটি শুরু করি। আমি প্রথম বার ডাঁসা দিয়ে মাংস কাটলাম। অনুভুতিটা ছিল অন্য রকম। তারপর সেই মাংস ভাগ আবার সব আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে ছুটতে হলো আমার। এভাবে পরের দিনটাও ভালোভাবে কাটল আমার।



আলহামদুলিল্লাহ। খুব আনন্দের সাথে এবারের ঈদ কাটালাম। কিছু কিছু মুহুর্তের স্মৃতি আজীবন মনে থাকবে আমার।



ধন্যবাদ সবাইকে🙂



CC:
@rme
@blacks
@rex-sumon
@hafizullah
@moh.arif
@shuvo35
@winkles

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ঈদের দিনের আনন্দের কোনো সীমা হয় না। অনেক আনন্দ করেছেন এবং আত্মীয়দের বাড়িতে গোসত নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি একটু কষ্টদায়ক হলেও ব্যাপারটি অনেক আনন্দের।
অনেক সুন্দর হয়েছে, আপনার পোস্টটি।

আরেকটি বিষয়ঃ
আপনার পোস্টে জরুরী বা একান্ত প্রয়োজন না হলে কাউকে মেনশন করাটা ঠিক নয় বলে আমার কাছে মনে হয়। কন্টেস্ট এন্ট্রি হিসেবে ট্যাগ দিয়েই পোস্ট খুজে পাবে আর কমিউনিটির পেজ এ তো থাকছেই। তাই অযথা মেনশন না দেয়াটাই উত্তম। মেনশন করলে একটা নোটিফিকেশন আসে, এটা অনেকক্ষেত্রে প্রয়োজন ছাড়া বিরক্তিকর। যদিও আপনি কেবল নির্বাচকদেরকে মেনশন করেছেন, এখানে হয়ত ঠিক আছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে সাবধান থাকবেন। ধন্যবাদ।

ঠিক আছে

অসাধারন উপস্থাপনা।

ধন্যবাদ ভাই

সুন্দর উপস্থাপনা, লিখার মাঝে জো আছে বটে

Thanks

ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

আপনাকেও ধন্যবাদ ❤️

আপনাকেও ধন্যবাদ ❤️