অটোর জন্য যাতায়াতে বিভ্রান্তি।

---

শুভ সকাল 🌅
আজ ২৮ ই জানুয়ারি,
রোজ মঙ্গলবার ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ।

আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ ,বাংলাদেশ থেকে।

---

---

_{^{"ছবিটি pixabay থেকে নেওয়া।"}}

হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম জেনারেল রাইটিং পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।

আমাদের ময়মনসিংহ শহরে অটোর জন্য যাতায়াতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন পর পর মালিক সমিতি কর্তৃক বিভিন্ন নিয়ম তৈরি করা হয়। এই নিয়মগুলো অটো মালিকদের জন্য মুনাফা লাভের আশায় পরিবর্তন হয়। অপরদিকে মানুষের জীবন ও যাতায়াতের বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। নতুন নিয়মে ভাড়া বৃদ্ধি করা, ছয় জন যাত্রী জায়গায় আট জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। সঠিক ভাবে বসতে না পারায় সৃষ্টি হয় বিভিন্ন দুর্ঘটনা। গত বছরের প্রায় আমাদের ময়মনসিংহ শহরে শিশু এবং স্কুল পরোয়া ছাত্র-ছাত্রী এক্সিডেন্ট করে নিহত হয়েছে ১৫ জন। এসব কিছুই দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য সংগঠিত হয়। আমরা মানুষ জীবিকার তাগিদে আমাদের বিভিন্ন কাজে যাতায়াত করতে হয়। শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজে এবং চাকরিজীবীরা অফিস আদালতের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বেশিরভাগ সময় অটোতে যাতায়াত করে। কিন্তু মাঝেমধ্যে দেখা যায় সম্পূর্ণ অটো ফিলাপ না করে যেতে চায় না। ফলে দেরি হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষায়। লেট হয়ে যায় চাকরি জীবীদের সময় মত অফিস আদালতে পৌঁছাতে।

তাছাড়া সবচেয়ে ভ্রান্তির জায়গা হলো অতিরিক্ত মাত্রায় অটো বৃদ্ধি পাওয়া। কিছুদিন আগে ঘটিত সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত লাল, হলুদ ও সবুজ রংয়ের অটো চলাচলের নিয়ম করা হয়েছিল। সিরিয়াল অনুযায়ী, একদিন লাল চলবে, একদিন সবুজ চলবে ওপর একদিন হলুদ চলবে। নিয়ম করে দেওয়া হয়, এই অটোগুলো সিরিয়াল ছাড়া শহরে উঠতে পারবে না। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশকে টাকা দিয়ে প্রতি নিয়ত চলাচল করছে সকল অটো ও রিক্সা। তাছাড়াও অতিরিক্ত অটোরিক্সার ড্রাইভারকে সিটি কর্পোরেশন থেকে লাইসেন্স দেওয়া হয়। এই লাইসেন্স দেওয়ার জন্য সকল ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা কিছুতেই নিয়ম-শৃঙ্খলা মানতে বাধ্য নয়। তবে তাদেরকেও দোষ দিয়ে লাভ নেই,রিজিকের তাগিদে গাড়ি চালাতে হয়। এই সমস্যার জন্য সবচেয়ে বেশি যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দিন দিন বেড়ে চলছে। বিশ মিনিটের রাস্তা এক ঘন্টা সময়ে যাওয়া যায় না। ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় বসে থাকতে হয়।

তাই বর্তমান অন্তর্বর্তী কালীন সরকার এবং বৈষম বিরোধী ছাত্রদের সমাবেশ ও মিটিং করে একটি সঠিক নিয়ম গঠন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে রুট ভিত্তিক তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। সকল অটো চালিত ড্রাইভারদের জন্য এলাকাভিত্তিক রুট ম্যাপ তৈরি করা হয়। প্রতিটি অটো সে রোড ম্যাপ যাত্রী বহন করবে এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলবে। কিন্তু মালিক সমিতি কর্তক বিভিন্ন মিটিং করে তার বিরুদ্ধে অটো ও সকল ব্যাটারি চালিত যানবাহন বন্ধ ঘোষণা করেন। গত দুইদিন যাবৎ যাতায়াত করতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। প্রায় এক দুই কিলোমিটার ও তার চাইতেও বেশি দূরত্ব সবাই হেটে চলাচল করছে। না হেটে উপায় নেই, রিজিকের দাগিদে সবাই সকালে ঘুম থেকে ২ ঘন্টা আগে সবাই সবার গন্তব্যে বেরিয়ে পড়ে। এখন অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যাটারি চালিত সকল অটো রিক্সা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রাস্তায় কিছু কিছু সিএনজি এবং মহেন্দ্র চলাচল করছে। কিন্তু সে সুযোগে তারা ভাড়া বৃদ্ধি করে দিয়েছে।

সত্যি বলতে আমরা এখনো মানুষ হতে পারেনি। একটু সুযোগ পেলেই ভাড়া বৃদ্ধি। বর্তমান দেশের দিকে লক্ষ্য করলে আমি মনে করি সকল জায়গায় এ ধরনের সমস্যা রয়েছে। একটু দুর্বলতা পেলে সে আপনার সুযোগ বুঝে ক্ষতি করার চেষ্টা করে। তবে এর মাঝেও কিছু ভালো দিক রয়েছে। পরীক্ষা চলমান শিক্ষার্থীদের বাইকে বিভিন্ন ভার্সিটির ভাইয়েরা ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছে। তাদেরকে সঠিক সময়ে পরীক্ষা হলে পৌঁছে দিচ্ছেন বিনামূল্য। তবে দেশের এই অবস্থা কখন সমাধান হবে এটা বলা মুশকিল। যাইহোক সৃষ্টিকর্তার কাছে এ সকল অসাদু মানুষের হেদায়েতের জন্য দোয়া করছি। এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। ভুলত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ। 💞

বিভাগ	জেনারেল রাইটিং।
ডিভাইস	শাওমি রেডমি ৯।
বিষয়	অটোর জন্য যাতায়াতে বিভ্রান্তি।
লোকেশন	ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
রাইটার	@nazmul01।