একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না।

শুভ রাত্রি 🌃
আজ ২২ ই ফেব্রুয়ারী,
রোজ শনিবার ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ।

আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ ,বাংলাদেশ থেকে।

---

---

_{^{"ছবিটি pixabay থেকে নেওয়া।"}}

হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম জেনারেল রাইটিং পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।

আমি গতকাল রাতে অফিস থেকে বাসায় এসে রাতের খাবার খাওয়ার পর অনলাইনে কাজ করছিলাম। বাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়লেও আমার ঘুমাতে অনেক দেরি হয়। ঘড়ি কাটাতে ঠিক বারোটা বাজে হঠাৎ করে একটি আওয়াজ শুনতে পাই। প্রথম দিকে আমি হালকা ভয় পেয়েছিলাম। এত রাতে আবার কে কান্না করছে। আর কিছুক্ষণ পরেই অনেকগুলো মানুষের আওয়াজ শুনতে পাই। তখন বুঝতে আর আমার বাকি রইলো না,ঘর হতে দ্রুত বেরিয়ে পরলাম৷ গিয়ে দেখি পাশের বাসার চাচি কান্না করছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারলাম চাচির একমাত্র ছেলে রোড এক্সিডেন্টে মা গিয়েছে। শুনে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। কিছুদিন আগেও চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে আমার দেখা। আজ দুনিয়া ছেড়ে পর পড়পাড়ে চলে গিয়েছে। এ হলো মানুষের জীবন।

ঘটনায় আমি শুনতে পাই মোটরসাইকেল চালানোর সময় এক্সিডেন্ট করে ঘটনাস্থলে মারা গিয়েছেন। সারা পৃথিবীতে এই ধরনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। নিয়ন্ত্রণহীন মোটরসাইকেল চালানো এবং অসাবধানতা কারণে ঝরে যায় একটি মানুষের প্রাণ। কান্নার ডল পড়ে যায় পরিবারে। এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা প্রায় সময় বিভিন্ন পত্রিকায় এবং খবরে শোনা যায়। তবে পাশে বাসার চাচির কান্না দেখে নিজের চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে পড়ছিল। একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। মানুষের হায়াত সীমিত, রিজিক নির্ধারিত, তারপরেও হিংসা, বিদ্বেষ, লোভ সামলাতে পারি না। অন্যের কষ্ট দেখে নিজের কাছে খুব খারাপ লাগে। চাচির একটি মাত্র ছেলে ছিল সেও দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে গিয়েছে। এখন পরিবারের কি হবে, চাচির ছেলে হারানোর ব্যথায় অঝোরে কাঁদছে।

একটি ঘটনা একটি পরিবারেরকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। প্রিয় মানুষের হারানোর ব্যথা ভুলতে অনেক সময় লাগে। তারপরেও সারা জীবনের কান্নার ছাপ চোখে থেকে যায়। চাচির ছেলেটিকে অনেক আদর যত্নে বড় করেছে। তার কাঁধে ছিল পরিবারের হাল। বাবা মার মুখে হাসি ফোটানোর আগেই তিনি এভাবে চলে গেলেন। এই ঘটনা পরিবার কোনোভাবেই মানতে পারছে না। তাই আমাদের সর্বদা সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে। কেমন ঘরের মানুষগুলো পরিবার ছেড়ে চলে গেলে কতটা কষ্ট পরিবারকে করতে হয় আমরা মোটামুটি সবাই জানি।

চাচি বারবার মোটরসাইকেলের কথা বলছিল, এবং অঝোরে কাজ ছিল। চাচি বলছিল কেন কিনে দিয়েছিলাম মোটরসাইকেল এটাই তার এক্সিডেন্ট এর মূল কারণ। ঘটনা ঘটার পর মোটরসাইকেলের দোহাই দিয়ে লাভ নেই। আগে থেকেই সচেতন হওয়ার দরকার ছিল। যাইহোক একটি দুর্ঘটনায় ঘটার পর পরিবার অনেক দুর্বল হয়ে যায়। ছেলে হারানোর ব্যথা ভুলে যেতে হয়তো চাচির অনেক সময় লাগবে। যাইহোক চাচির ছেলের জন্য মন থেকে দোয়া রইল। যারা মোটরসাইকেল চালায় তাদের সাবধান হওয়া উচিত। কেননা একটু দুর্ঘটনা পরিবারে জন্য সারা জীবনের কান্না। যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। ভুলত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ। 💞

বিভাগ	জেনারেল রাইটিং।
ডিভাইস	শাওমি রেডমি ৯।
বিষয়	একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না।
লোকেশন	ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
রাইটার	@nazmul01।