চন্দননগরে কাটানো আমার জগদ্ধাত্রী পুজোর কিছু মুহূর্ত।//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in hive-129948 •  3 years ago 

নমস্কার বন্ধুরা,


আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেব চন্দননগরে কাটানো আমার জগদ্ধাত্রী পুজোর কিছু মুহূর্ত।

আপনারা সবাই জানেন আমি থাকি কলকাতায় এখানে দুর্গাপুজো কালীপুজো বিশাল ধুমধাম করে হয়। আর জগদ্ধাত্রী পুজো বেশ বড় করেই হয়। কিন্তু চন্দননগরে যতটা ধুমধাম করে হয়, আমাদের এখানে এতটা ধুমধাম করে হয় না।

আসলে চন্দননগরে আছে আমার একটা বন্ধুর বাড়ি। প্রতিবছরই সে আমায় যেতে বলে কিন্তু আর যাওয়া হয়ে ওঠে না। তাই এই বছর আগে দিয়ে ভেবে রাখেনি, কিন্তু হঠাৎই চন্দননগর যাওয়ার সুযোগ আস্তে নিজেকে আটকাতে পারলাম না। বেরিয়ে পড়লাম চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজা দেখার জন্য। কয়েকটা ভালো ভালো প্রতিমা দর্শন এবং কিছুটা ঘোরাঘুরি করে ফিরে এলাম। চন্দননগরের কয়েকটা প্রতিমা ও মন্ডপ এর ছবি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার না করে পারলাম না।


WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.29.36 PM (1).jpeg
চন্দননগর যাওয়ার পথে হাওড়া স্টেশনে আমার একটি চিত্র।



ঠিক সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ বন্ধুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরলাম ঠাকুর দর্শনে, তবে পায়ে হেঁটে নয় একটা টোটো ভাড়া করে।


চন্দননগরের বেশিরভাগ পুজো হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এবং প্রতিমা গুলোর আকৃতি যতটা বড় দেখতেও ততটাই সুন্দর। সেই কারণেই প্রত্যেকটা মন্ডপ ও প্রতিমার আলাদা করে কোনো বিবরণ দেওয়া সম্ভব না। বেশি কথা না বাড়িয়ে সরাসরি চিত্রগুলো শেয়ার করে নিলাম।

প্রথম মন্ডপ


এই মণ্ডপটি দিয়ে আমরা ঠাকুর দেখা শুরু করলাম। প্রথম মণ্ডপটি দেখেই আমাদের চোখ জুড়িয়ে গেল। মন্ডপটা যেরকম সুন্দর প্রতিমা টা তার থেকেও সুন্দর। আপনারা দেখলেই বুঝতে পারবেন।


WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.31.09 PM (2).jpeg

WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.31.10 PM (3).jpeg

WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.31.09 PM.jpeg

WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.31.10 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.31.10 PM (2).jpeg

WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.31.09 PM (1).jpeg

(ডিভাইস-ভিভো ভি ২১।)


দ্বিতীয় মন্ডপ


এই মণ্ডপটিতে গামছা দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইন করা হয়েছে। আর এই মন্ডপের মূল আকর্ষণ হলো অসাধারণ সুন্দর আলোকসজ্জা। আর চন্দননগরের প্রত্যেকটি প্রতিমাই যে খুবই সুন্দর সেটা আর আলাদা করে বললাম না।


WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.29.32 PM.jpeg

WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.29.33 PM (2).jpeg

WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.29.33 PM.jpeg

WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.29.34 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.29.34 PM.jpeg

(ডিভাইস-ভিভো ভি ২১।)



ঠাকুর দেখতে বেরোবে সময় ভাবি নি যে আজকে বৃষ্টি হতে পারে, এই ঠাকুরটা দেখার পরেই শুরু হয় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। তবে আমরাও থামবার লোক নয়। পায়ে হেঁটে ঘুরলে হয়তো আমাদেরকে কোথাও একটা দাঁড়িয়ে পড়তে হত। আমরা করছিলাম একটা টোটো ভাড়া নিয়ে। তাই খুব একটা অসুবিধা হয়নি। এর পরেও আমরা যে যে ঠাকুর গুলি দেখলাম সেগুলি হল।

তৃতীয় মন্ডপ


এই মণ্ডপটি গড়ে তোলা হয়েছে বাবা ভোলেনাথ কে কেন্দ্র করে। সুন্দরভাবে বাবা ভোলেনাথের বিভিন্ন অস্ত্র এবং সাজ-সরঞ্জাম কে ঘিরে মন্ডপের সাজসজ্জা। আর এই মন্ডপের প্রতিমাও অন্যদের থেকে আলাদা নয়।

WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.31.05 PM.jpeg

WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.31.05 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.31.06 PM.jpeg

WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.31.07 PM (1).jpeg

WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.31.07 PM (2).jpeg

WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.31.07 PM.jpeg

WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.31.08 PM.jpeg


কয়েকটি প্রতিমার চিত্র।



আমরা যেহেতু কোন প্ল্যান না করে দশমীর দিন চন্দননগর গিয়েছিলাম, তাই কয়েকটি প্রতিমা প্যান্ডেল থেকে বের করে বিসর্জন এর দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সমস্ত প্রতিমার চিত্র আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম।


WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.29.29 PM.jpeg

WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.29.31 PM (2).jpeg

WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.31.11 PM (2).jpeg

WhatsApp Image 2021-11-17 at 5.31.11 PM.jpeg
এটা হল তেমাথার প্রতিমা। এটা চন্দননগরের সবথেকে বড় প্রতিমা।

ঠাকুর গুলি দর্শন করতে করতে কখন যে রাত একটা বেজে গেল বুঝতে পারলাম না। তারপর তাড়াতাড়ি খাবার কিনে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। এই অবস্থাতেও যে ঠাকুর টা না দেখলেই নয় সেটা হল আদি মা। সেটা দেখে খাবার হাতে সোজা বাড়ি।

WhatsApp Image 2021-11-18 at 7.15.13 PM.jpeg


অবশেষে আমি এটাই বলব, এই মণ্ডপগুলো আপনারা সরাসরি দেখতে পেয়েছেন কিনা আমি জানিনা তবে আমার ছবির মাধ্যমে যতটা সম্ভব আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। আশা করি আমার তোলা চিত্রগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।


সমস্ত ফটোগ্রাফির ডিভাইসভিভো ভি ২১


ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাই আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে আপনার চন্দন করে কাটানো সময় গুলো খুবই সুন্দর ছিল। এছাড়াও আপনার পোষ্টের বিবরণ গলে পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে এবং ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

প্রথমেই বলি অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। আর হ্যাঁ ভাইয়া খুবই সুন্দর ভাবে সময়টা কাটিয়েছি, আর প্রতিমাগুলো দেখে মনটা ভরে গেছে।