ভালোলাগার অপর নাম কক্সবাজার (দ্বিতীয় দিন)।

কক্সবাজার দ্বিতীয় দিন পানিতে ডিগবাজি খাওয়ার জন্য,সকালে ঘুম থেকে উঠার পর নাস্তা করে রেডি হয়ে চলে গেলাম সমুদ্রের পাড়ে। সেখানে গিয়ে বেশিক্ষণ উপরে আর থাকতে পারলাম না। সমুদ্রের ঢেউ যেন আমাকে পানিতে টানতে ছিল। তাই সবার আগে আমি নেমে গেলাম পানিতে। যদিও বৃষ্টি ও আমার বন্ধুর ওয়াইফ এরা নামেনি। শুধু আমি,আমার বন্ধু,আর নিভৃত, আমরা তিনজন নেমেছিলাম পানিতে।

তবে তাদের দুজনের আগে আমি নেমে গিয়ে কিছুক্ষণ পানিতে মজা নিলাম।তারপর আমার বন্ধু জুয়েল সেও কিছুক্ষণ পানিতে নামলো।যাইহোক এই বার নিভৃতের পালা। তাকে যখন পানির দিকে নিতে যাচ্ছিলাম,সে দৌড়ে চলে যাচ্ছিল। গত বছরও যখন পানিতে নামিয়ে ছিলাম তখন সে অনেক মজা করেছে এবং পানি থেকে উঠতে চায়নি। এবারও সমুদ্রের কাছে এসে সে দৌড়াতে লাগলো সমুদ্রের দিকে।

ওকে নিয়ে তো আমার অবস্থা খারাপ। কারণ নিভৃত যখন পানিতে দৌড় দিল তখন খুশিতে তার কি চিৎকার, সাথে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাচ্ছিল। আমি কোনভাবে তাকে ধরে রাখি।আর যখন বড় ঢেউ আসে তখন তাকে উপরের দিকে তুলে ধরি। মাঝে মাঝে ছোট ঢেউ এ বসিয়ে দিতাম তাকে আর সে অনেক লাফালাফি করতো।সত্যি বলতে অনেক মজা করেছে সে পানিতে।।তার মজা দেখে আমারও খুব ভালো লেগেছিল। কারণ এরকম উন্মুক্ত পরিবেশে,পানিতে সে আর কখনো গোসল করেনি।

যাই হোক যখন নিভৃত অনেকক্ষণ পানিতে থাকলো তখন তাকে নিয়ে উপরে যেতে চাইলাম, এইতো শুরু করে কান্না।তাকে কি আর রাখা যায়, সে কোল থেকে নেমে ঢলে পড়ে যাচ্ছে। তার কথা হচ্ছে সে সমুদ্র সৈকত থেকে উপরে যাবে না, পানিতেই থাকবে। যাই হোক তারপরে জোর করে নিয়ে তারা মায়ের কাছে দিয়ে আসলাম। ও হ্যা তাদেরকে তো এ পর্যন্ত সিট ভাড়া করে সেখানে বসতে দিয়ে এসেছিলাম। নাহলে কোথায় বসবে তারা।

তারপর নিভৃতকে সেখানে দিয়ে আমরা আশেপাশে থেকে ঝাল মুড়ি অর্ডার করলাম। ঝাল মুড়ির পর কলা বাদাম এবং পানি খেলাম। আরো কিছুক্ষণ থাকার পর ডিম আসলো, ডিম অর্ডার করে খেয়ে নিলাম। এরপর নিভৃতকে তারা মায়ের কাছে রেখে আমি ও আমার বন্ধু দুজন আবার পানিতে নেমে গেলাম। যদিও বড় ঢেউ তেমন একটা ছিল না, তবে যতটুকুই ছিল এর মধ্যেই ডিগবাজি খেতে হয়েছে।অসংখ্য মানুষ পানিতে লাফাচ্ছে পানিতে ডিগবাজি খাচ্ছে এই দৃশ্য আসলে মন কেড়ে নেওয়ার মতো।

আমরা প্রায় দুই ঘণ্টার মতো পানিতে ছিলাম।এর পরে সবাই মিলে উঠে ধীরে ধীরে সেখান থেকে আমাদের হোটেলের দিকে রওনা হয়ে গেলাম। তারপর হোটেলে ঢুকার আগে পা পরিষ্কার করে নিলাম একটি টিউবয়েলের সামনে গিয়ে। তারপর আমরা সবাই মিলে হোটেলে ঢুকে গেলাম এবং হোটেলে ঢুকার পরে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে রেস্ট নিলাম। তো বন্ধুরা এই ছিল দ্বিতীয় দিন পানিতে ডিগবাজি খাওয়ার কিছু মুহূর্ত,আপনাদের মধ্যে যেটি তুলে ধরলাম।

আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে।এর পরের দিন আমরা মহেশখালী গিয়েছিলাম সে বিষয়ে অবশ্য শেয়ার করবো, তবে আজকে এ পর্যন্ত।যাইহোক কথা আর না বাড়িয়ে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আগামীতে আবারো হাজির হবো অন্য কোন না কোন বিষয় নিয়ে। আজকে এখানেই বিদায় নিলাম আল্লাহ হাফেজ।

তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরা	স্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণ	ভ্রমণ।
ক্যামেরা.মডেল	এম ৩২
ক্যাপচার	@nevlu123
সম্পাদনা	রিসাইজ &সেচুরেশন।
লোকেশন	- বাংলাদেশ।

𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123

আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।

সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।