আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
স্কুল জীবন একটা সময় শেষ হয়ে যায়। কিন্তু তার স্মৃতি সারাজীবন রয়ে যায়। |
---|
বন্ধুরা টাইটেল দেখেই বুঝতে পারছেন আজকে কি বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব। আর প্রতি সপ্তাহে আমি চেষ্টা করি ভিন্ন ভিন্ন কিছু টপিক নিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে। তো সে ধারাবাহিকতায় আজকে এই টপিকটি মাথায় আসলো। তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। তো বন্ধুরা বেশি ভূমিকায় না গিয়ে সরাসরি মূল বিষয়ে ফিরে যাই।
আমাদের জীবন অনেক ছোট,তবুও এই ছোট জীবনে ঘটে যায় কত কাঙ্খিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। কিছু ঘটনা স্মৃতি হয়ে থাকে, কিছু ঘটনা দুঃস্বপ্নর মত হয়ে থাকে। আর এর সমন্বয়ে কিন্তু জীবন। যদিও ৬০ থেকে ৭০ বছর বেঁচে থাকার নামও জীবন হতে পারে। তবে এটি খুবই সীমিত একটি সময়।একটা বিষয় কি এই সীমিত সময়ও যদি আমরা প্রত্যেকটি সেকেন্ড উপলব্ধি করে বেঁচে থাকি, তাহলে মনে হবে যে আসলে জীবনটা অনেক বড়। কিন্তু আসলে আখিরাতের তুলনায় এ জীবন খুবই সংকীর্ণ খুবই ছোট।
আমরা ছোটবেলা থেকেই স্কুলে যাওয়া আসা শুরু করি। তখন থেকেই আমাদের জীবনের স্মৃতি শুরু হতে থাকে। আবার তখন থেকেই আমাদের কিছু বন্ধু-বান্ধব সৃষ্টি হয়। ছেলে বন্ধু মেয়ে বন্ধু সব ধরনের বন্ধু পাওয়া যায় স্কুল জীবনে। তখন অনেক কিছুই ঘটে যেগুলো আসলে খেলার ছলে অথবা দুষ্টামির ছলে। সেসব ঘটনাগুলো আসলে এখন স্মৃতি হয়েই রয়েছে। কত দুষ্টামি কত মারামারি কতজনের জামার মধ্যে পেন্সিল বা কলম দিয়ে আঁকা আঁকি। এখন এগুলো চাইলেও করা সম্ভব হবে না।
যখন স্কুলে ছিলাম তখন এ ধরনের দুষ্টামি গুলো করতাম। তবে এখন সেগুলো শুধু স্মৃতিতে পরিণত হয়ে আছে।প্রাইমারি স্কুল থেকে যখন হাইস্কুলে যাই, তখনকার অনুভূতি ভিন্ন রকম। তখন আবারো বিভিন্ন রকম বন্ধুর সাথে পরিচয়। বিভিন্ন বন্ধু-বান্ধব হওয়া এবং তাদের সাথে ভিন্ন আচরণ, ভিন্নভাবে চলাফেরা হয়। তখনো বিভিন্ন রকমের ঘটনা কাঙ্খিত অথবা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটতেই থাকে। কত রকম দুষ্টামি কত রকম ফাঁকিবাজি, সব মিলিয়ে মধুর সময় কটতো। স্যারকে ফাঁকি দিয়ে স্কুল পালানো।
আবার বাড়ি থেকে স্কুলের নাম করে পালিয়ে যাওয়া,স্কুল শেষ হবার পর সময় মত বাড়িতে ফেরা এগুলো ছিল।আবার বন্ধুবান্ধবরা মিলে কোথাও টুর দিতাম। সেখানে আরো বিভিন্ন রকম মজা হতো। এ মজা গুলো আসলে এখন আর পাওয়া যায় না। এত এত মজার সেই শৈশব গুলো চলে গেল।আর সেই শৈশবের স্কুল জীবনও ঠিকই শেষ হয়ে গেল। কিন্তু স্মৃতিগুলো আজও রয়ে গেল। এখন চাইলেও সেই দিনগুলোকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।
কিছুটা বোকামি, কিছুটা দুষ্টামি, কিছুটা ফাঁকিবাজি, এইসব এর সমন্বয়ে বেশ ভালোই ছিল অগোছালো সেই স্কুল জীবনটা।আর এখন যেন মহাকালে এসে পৌঁছে গেছি। এখন নিজেকে একাকীত্ব মনে হয়। আবার মনে হয় নির্দিষ্ট একটা গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ হয়ে আছি।সামনের দিকে পা বাড়াতে অনেক চিন্তাভাবনা করে পা দিতে হয়। সবসময় মনে ভয় কাজ করে যে,এই কদমটা যেন ভুল কদম না পড়ে। কারণ ভুল করার সময়ও তো এখন আর নেই। ছোটবেলায় ভুল করলেই শোধরানোর অনেক সময় পেতাম।
এখন তো আর তেমন নয়। এখনকার ভুল মানেই পুরো জীবনে নিজের উপরে নিজেই বোঝা হয়ে থাকা।যাইহোক আজকে এ বিষয়টি মাথায় আসলো এবং নিজের মত করে অগোছালোভাবে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম আশা করছি আপনাদেরও ভালো লাগতে পারে আর যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাতে পারবেন তো আজকে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে এখানে বিদায় নিলাম আল্লাহ হাফেজ
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | জেনারেল রাইটিং। |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে রয়েছি, আর সেই প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
স্কুল জীবনের স্মৃতি নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া।ভালো হয়েছে পোস্টটি। আসলেই স্কুল জীবনের স্মৃতি কখনোই ভুলে থাকা যায়না। চলার পথে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে কত বন্ধু বান্ধব আসবে যাবে।তারা সেভাবে নাড়া দেয়না। কিন্তু স্কুল জীবনের বন্ধুরা,সব সময় অনুভূতিতে নাড়া দেয়। এছাড়া পড়ালেখা,দুষ্টুমি,খেলাধুলা, ফাকিবাজি এগুলো কখনো ভুলার নয়। ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক আপু স্কুল জীবনের বন্ধুরা,সব সময় অনুভূতিতে নাড়া দেয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন ভাইয়া। আসলে স্কুল জীবনের এমন কোন স্মৃতি নেই যা কারো জীবনে নেই। প্রত্যেক মানুষের স্কুল জীবনটি হচ্ছে একটি অপূর্ব ফেলে আসা স্মৃতি। যা কিনা কখনো ভোলার নয়। স্কুল জীবনের ফেলে আসা সেই স্মৃতিগুলো খেলাধুলা, দুষ্টুমি,কত অনাকাঙ্খিত মজার মজার ঘটনা আর তার সাথে স্কুল জীবনের ফেলে আসা বন্ধুদের এ সকল অনুভূতিগুলো আজও যেন মনকে নাড়া দিয়েওঠে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে অনেক। আজ আপনার স্কুল জীবনের শেষ হওয়ার লেখাটি পড়ে আমিও যেন কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে গেলাম স্কুল জীবনে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক আপু প্রত্যেক মানুষের স্কুল জীবনটি হচ্ছে একটি অপূর্ব ফেলে আসা স্মৃতি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/Nevlu123/status/1753751347466489892?s=20
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি যা পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে স্কুল জীবনের সময়টা পার হয়ে যায় কিন্তু এই স্কুল জীবনের স্মৃতি গুলো কখনোই ভোলার নয়। আমারও স্কুল জীবনে অনেক স্মৃতি মনে পড়ে এগুলা মনে হয় কোনদিনও ভুলতে পারবো না। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ঠিক আপু আসলে স্কুল জীবনের সময়টা পার হয়ে যায় কিন্তু এই স্কুল জীবনের স্মৃতি গুলো কখনোই ভোলার নয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে স্কুল জীবনের স্মৃতি গুলো কখনো ভুলে যাওয়ার মতো নয়। আপনি আজকে আপনার স্কুল জীবনের স্মৃতিময় গল্প গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে আমি অনেক কিছু শিখতে এবং জানতে পারলাম। আসলে এখানো আমার ইচ্ছা করে স্কুল জীবনের স্মৃতিময় দিন গুলোতে ফিরে যেতে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ভাই স্কুল জীবন একটা সময় শেষ হয়ে যায়। কিন্তু তার স্মৃতি সারাজীবন রয়ে যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব সুন্দর কিছু কথা তুলে ধরেছেন ভাইয়া এই পোস্টে।আসলে এইসব শৈশব কাটিয়ে এসেছেন যারা তাদের মনের কথা।আসলে প্রাইমারিতে একরকম হাইস্কুলে আর এক রকম কতো দুষ্টমি।কতো ভুল এখন সব কিছুই শুধুই স্মৃতি। ঠিক বলেছেন ভাইয়া স্কুল জিবনের অগোছালো জিবনটা ভালো ছিলো।এখন প্রতি পদে পদে ভেবে চিন্তে পা বাড়াতে হয়।ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর কথা গুলো তুলে ধরে পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু আসলেই স্কুল জিবনের অগোছালো জিবনটা ভালো ছিলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit