আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।

সবাইকে স্বাগতম আমার নতুন পোষ্টে,আবার ও হাজির হলাম আপনাদের সামনে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে।

আজ আপনাদের সাথে দারুন রেসিপি নিয়ে চলে এলাম। আমাদের কমিউনিটিতে চলমান একটা কনটেস্ট হল শীতকালীন সবজি দিয়ে ভর্তা তৈরি করা। একে তো শীতকাল তার মাঝে শীতকালীন সবজি এবং ভর্তা সব মিলিয়ে যেন জমে ক্ষীর, না না এটা তো ক্ষীর হবে না এটা ঝাল হবে,হাহাহা। যাই হোক এই শীতের সময়ে ঝাল ঝাল ভর্তা কিন্তু অসাধারণ লাগে। আর আমার কাছে ঝাল ভর্তা খুবই ভালো লাগে। তবে ইউনিকভাবে করলে তো আরো বেশি ভালো লাগে। আজ আমি আপনাদের মাঝে দুটি রেসিপি নিয়েই হাজির হয়েছি। একটি হলো টাকি মাছ দিয়ে শিমের বিচির ভর্তা। শিমের বিচি শীতকাল ছাড়া অন্যান্য সময়ে খুব বেশি একটা ভালো লাগে না। কারণ শীতকালীন সময়ই হল এর সিজন। আর খেতেও সুস্বাদু হয়।

আর দ্বিতীয়ত হল নোনা ইলিশ দিয়ে বাদাম ও পেঁয়াজ কলির ভর্তা এর মাঝে আমি আবার বাদাম যোগ করেছি। এক কথায় এটিও স্বাদের দিক দিয়ে দুর্দান্ত ছিল। যদি কেউ তৈরি করেন তাহলে অবশ্যই এইভাবে তৈরি করে দেখবেন আশা করি আপনাদের কাছেও খুব ভালো লাগবে। ঝাল ঝাল এই দুটো ভর্তাই কিন্তু অনেক বেশি মজা হয়েছিল। যাইহোক কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক এই দুটো রেসিপি।

টাকি মাছ দিয়ে শিমের বিচি ভর্তা।

রেসিপিটি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ

উপকরণ	পরিমাণ
শিমের বিচি	১ কাপ
টাকিমাছ	৩টি
পেঁয়াজকুচি	১টি
রসুনের কোয়া	৭টি
লবণ	পরিমাণ মত
শুকনা মরিচ	৪টি
কাঁচামরিচ	৪টি
সরিষার তেল	আধা কাপ
ধনেপাতা	পরিমাণ মত
পানি	পরিমাণ মত

পেঁয়াজকলি,বাদাম আর নোনা ইলিশ ভর্তা।

রেসিপিটি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ

উপকরণ	পরিমাণ
পেঁয়াজকলি	৭টি
নোনা ইলিশ	১ পিস
বাদাম	আধা কাপ
পেঁয়াজকুচি	১টি
রসুনের কোয়া	৬টি
লবণ	পরিমাণ মত
শুকনা মরিচ	১০টি
ধনেপাতা	পরিমাণ মত
সরিষার তেল	আধা কাপ

প্রথম ধাপ

প্রথমে বাদামগুলোকে ফ্রাইপ্যানের মধ্যে দিয়ে দিলাম।শুকনোভাবে এগুলো ভেজে ৪-৫ মিনিট পর উঠিয়ে নিলাম।

দ্বিতীয় ধাপ

নোনা ইলিশকে গরম পানি দিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে পরিষ্কার করে নিয়েছি।তারপর তেল গরম হলেই এটি দিয়ে দিলাম।পেঁয়াজকলি কেটে তেলের মধ্যে দিয়ে দিলাম ভাজা হওয়ার জন্য।হালকা ভাজা হলেই তুলে নিলাম।

তৃতীয় ধাপ

এই ধাপে পেঁয়াজ, রসুন এবং শুকনা মরিচগুলো এক এক করে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ভেজে নিতে থাকলাম। তারপর ভাজা হয়ে গেলে তুলে নিলাম।

চতুর্থ ধাপ

বাদামের খোসা ছাড়িয়ে নিলাম এবং নোনা ইলিশের কাঁটা এক এক করে বেছে নিলাম ।

পঞ্চম ধাপ

এইধাপে এখন নোনা ইলিশ এবং বাদাম ব্লেন্ডারে দিয়ে কিছুক্ষণ ব্লেন্ড করার পর ঝুরঝুরে হয়ে এলেই তুলে নিলাম।

ষষ্ঠ ধাপ

এই ধাপে ভাজা পেঁয়াজকলি, পেঁয়াজ, রসুন, শুকনো মরিচ সবকিছু একসাথে দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিলাম।তারপরে ধনেপাতা এবং পূর্বে ব্লেন্ড করে রাখা নোনা ইলিশ এবং বাদামের মিশ্রণ দিয়ে আবার ব্লেন্ড করলাম। এক্ষেত্রে ভুলেও লবণ দেয়া যাবে না,কারণ নোনা ইলিশে প্রচুর লবণ থাকে। এভাবেই রেডি হয়ে গেল পেঁয়াজকলি,বাদাম আর নোনা ইলিশ ভর্তা।