কিছু কিছু সময় আপন জনের মুখের হাসি দেখতেও কষ্ট লাগে।

in hive-129948 •  9 months ago 
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।

কিছু কিছু সময় আপন জনের মুখের হাসি দেখতেও কষ্ট লাগে।

Photo_1716744932229.png

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসি আজকে আবার নতুন করে আপনাদের মাঝে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি কোন না কোন বিষয় নিয়ে একটি করে জেনারেল রাইটিং শেয়ার করতে।আর সে ধারাবাহিকতায় আজকেও এ বিষয়টি নিয়ে কিছু কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।

আর আজকের বিষয়টা আশা করি টাইটেল দেখেই বুঝে গিয়েছেন। মূলত কিছু কিছু সময় কিছু কিছু লোকের মুখের হাসি দেখলে অনেক কষ্ট লাগে।যাইহোক ভূমিকায় না গিয়ে সরাসরি মেইন পয়েন্টে ফিরে যাই।আমাদের সমাজে এমন অহরহর ব্যক্তি রয়েছে যাদের মুখের হাসি অনেক সময় আমরা মেনে নিতে পারি না । হয়তো বলবেন কেন আমরা মেনে নিতে পারিনা। অন্যের হাসিমুখ থাকা তো ভালো।

কিন্তু না আমার মতে যারা ক্রিমিনালী করে, যারা কোন কৌশলে কাউকে ঠকিয়ে, সে জিতে গিয়ে, যে হাসিটা তার মুখ দিয়ে বের করে সে হাসি কেইবা মেনে নিবে।ধরুন আপনার এলাকার কোন বড় ভাই বা কোন এক নেতা আছে। সেই নেতা বা বড় ভাই কোনোভাবে আপনার সাথে ক্রিমিনালী করলো।যেটা আপনি পাওয়ার যোগ্য বা যেখানে আপনার প্রভাব থাকার কথা,অথবা জেতার কথা।

সে জায়গাতে ওই বড় ভাই বা নেতা, বিভিন্ন কৌশলে বিভিন্ন চালাকি বিদ্যা দ্বারা ক্রিমিনালী করে সেই জিনিসটি সে নিয়ে নিল। বা কোনভাবে সে জিতে গেল।পরবর্তীতে সে জেতার কারণে তার মুখে সুন্দর হাসি বের হবে। আসলে তার হাসির অন্তরালে কিন্তু ভয়ানক তথ্য বা ভয়ানক কোন ঘটনা রয়েছে সেটা আসলে অনেকে বুঝতে পারে না । মূলত এভাবেই অন্যায় ভাবে কাউকে হারিয়ে দিয়ে নিজে যেতে গিয়ে, সেই হাসির কোন মূল্য নেই।

এজন্যই দেখা যায় অনেক সময় অনেকে অনেক ভাবে জিতে যায়। আর সেটি হতে যদি হয় ক্রিমিনালী করে, অন্যের হক নষ্ট করে,তাহলে সেটা দেখতে সবারই কষ্ট লাগবে।একটা ফ্যামিলিতে অনেক সময় দেখা যায় কেউ একজন খুব চালাকি বিদ্যা দ্বারা কোন একটা স্বার্থ হাসিল করেছে। এদিক থেকে যে স্বার্থটি হাসিল করেছে সেটা একদমই অনৈতিক। কিন্তু সে হাসিল করতে পারায় মুচকি হাসছে।

আর মনে মনে ভাবছে যাক যেভাবেই হোক সিস্টেমটা করেই নিলাম। আর যে এ বিষয়টি লক্ষ্য করল তার কাছে কষ্ট অবশ্যই লাগার কথা।তবে সর্বোপরি এতোটুকুই বলবো অনেক সময় আমরা অনেক কিছুই বুঝি, কিন্তু কথা বলতে পারি না। অনেক সময় বলা অনুচিত মনে করি। কারণ যিনি এই রকম কর্মকাণ্ড করেছেন তার সম্মানে আঘাত লাগতে পারে ভেবে নিজেরা চুপ থাকি এবং ভিতরে ভিতরে কষ্ট পাই।

যাইহোক সব শেষে এতোটুকুই বলবো এই রকম লোকগুলো যাতে ভালো হয়ে যায়। অন্যথায় তাদের ভবিষ্যতে এই কুকর্মের ফল অন্যভাবে পেতেই হবে।তো বন্ধুরা আজকে আর বেশি কথা বাড়াবো না।আশা করছি ব্লগটা আপনাদের ভালো লাগেছে। আর যদি ভালো লেগে থাকে সেটা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। আজকে আর কথা না বাড়িয়ে এখানে বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভাল ও সুস্থ থাকবেন এই কামনায় বিদায় নিলাম আল্লাহ হাফেজ।

তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণজেনারেল রাইটিং।
ক্যামেরা.মডেলএম ৩২
ক্যাপচার@nevlu123
সম্পাদনারিসাইজ &সেচুরেশন।
অবস্থানবাংলাদেশ

images (2).png

𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123

images (2).png

IMG-20231214-WA0050.jpg

আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
images (2).png

সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।

gifeditor_20181225_230443.gif

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

যারা ক্রিমিনালি করে কোন কাজে সফলতা অর্জন করে তারা সেটিকে কখনোই খারাপ মনে করে না। এজন্যই তো সফল হওয়ার পর তাদের মুখে আনন্দের হাসি দেখা যায়। আসলে ঠিকই বলেছেন এসব লোকগুলো এর প্রতিদান একসময় না একসময় ঠিকই পায়। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না। যাই হোক বিষয়টি সুন্দর বর্ণনা করেছেন। ভালো লাগলো পড়ে।

যারা ক্রিমিনালী করে তাদের কুকর্মের ফল অন্য ভাবে পেয়েই থাকেন। তারা সব সময় নিজে ভালো থাকার জন্য ক্রিমিনালী পন্থা অনুসরণ করে। এই মানুষ গুলোর মুখের হাসি দেখতেও কষ্ট লাগে। আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন ভাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।

একদম আমার মনের কথা কিছু ব্যক্ত করেছেন আপনার আজকের এই পোস্টে। আসলে ভাইয়া সকল হাসি মানুষের চোখে গ্রহণযোগ্য নয় আবার কিছু কিছু হাসি রয়েছে লাখ টাকা দিয়ে কিনতে পারা যায় না। যাহোক আপনার সুন্দর এই সজাগ দৃষ্টিভঙ্গির পোস্ট আমাকে মুগ্ধ করলো।

যারা ভাই ক্রিমিনালী করে, অন্যকে ঠকিয়ে জিতে যায় এবং তখন যে হাসি দেয়, সেই হাসিটা আসলেই সহ্য করা যায় না। অন্যের হক নষ্ট করে জিতে যাওয়ার ভিতরে কোন ভালো লাগা থাকতে পারে না। তবে পরিবারের ভিতর যখন এই ব্যাপারটা ঘটে তখন অনেক সময় চুপ থেকে সহ্য করতে হয়। যাইহোক, আপনার মত আমিও এটাই বলতে চাই যে, এই সব মানুষ যেন ভালো হয়ে যায় এবং এ ধরনের অনৈতিক কাজ বা মানুষ ঠকানো কাজ কখনো না করে।

যারা অন্যায় ভাবে কোন কিছু জিতে নেয় তারা মনেই করে না এটা অন্যায়।তাইতো হাসতে পারে।তবে অন্যকে ঠকিয়ে এমন ভাবে জেতা অন্যায়।সাধারন মানুষ বোঝে এসব অন্যায় করে জেতার কথা।যদিও সে মুচকি হাসে।কিন্তু জনগন মনে মনে ধিক্কার ই জানায়।যদিও মুখে বলে না কোন কারনে।

কর্মফল বলে একটা কথা আমি খুব মানি ভাই। এভাবে যারা অন্যের হক মেরে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে, তারা সাময়িক ভাবে বিজয়ের হাসি হাসলেও, আখিরাতে তাদের সেই কু-কর্মের হিসেব অবশ্যই দিতে হবে! আসলেই চোখের সামনে এভাবে দুর্নীতি করে কারো মুখে জয়ের হাসি দেখলে সে হাসি সহ্য না হওয়ারই কথা। খুব ভালো লিখেছেন আপনি ।