আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
কোন এক বিকেলে মুছাপুর ঘুরতে যাওয়া। |
---|
বন্ধুরা টাইটেল দেখেই বুঝে গিয়েছেন আজকে কি বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আজকে ভ্রমন পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো,তবে আজকের ভ্রমন পোষ্টটি হচ্ছে মুছাপুর ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত নিয়ে। আশা করছি আজকের ব্লগটা আপনাদের ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা বেশি ভূমিকায় না গিয়ে সরাসরি মেইন পয়েন্টে ফিরে যাই চলুন শুরু করি।
আসলে মাঝে মাঝে ঘোরাঘুরি না করলে মন ভালো থাকে না। তাই যে কোন সময় একটু সুযোগ পেলেই ঘোরাঘুরি করতে বের হয়ে যাই।কখনো কখনো একা একা ঘুরে বেড়াই। আবার কখনো ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরে বেড়াই। তবে না ঘুরলে মনটা যেন উৎফুল্লতা হারিয়ে ফেলে। তাইতো যখনই মন চায় বের হয়ে যাই ঘোরাঘুরি করতে।
তো এবার ঘুরাঘুরির করার জন্য যখন এই মনে পড়ল তখনই মুছাপুরের কথা মাথায় আসলো। কারণ চারপাশে নদী এবং কিছু গাছপালার সমন্বয়ে জায়গাটি বেশ চমৎকার। তাই আর দেরি না করে বিকেল বেলায় সবাই মিলে রেডি হয়ে গেলাম মুছাপুর যাওয়ার জন্য।বাড়ি থেকে বাইকে করে রওনা হয়ে গেলাম আমি বৃষ্টি এবং আমার শালিকা।
আমরা যেখান থেকে মুছাপুর যাচ্ছিলাম সেখান থেকে মুছাপুরের দূরত্ব প্রায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার হবে। তবে আমরা মুসাপুর যাওয়ার আগে একটি ব্রিজ দেখার জন্য বাংলাবাজার এরিয়ার মধ্যে ঢুকে পড়লাম। বাংলাবাজার এরিয়া থেকে কিছুটা সামনে গেলেই একটি বড় ব্রিজ রয়েছে। সেখানে ব্রিজের নিচে খুব সুন্দর একটি জায়গা।আমরা কিছুক্ষণ সেখানে ঘোরাঘুরি করলাম। এরপরে সেখান থেকে আবার চলে গেলাম মুছাপুরের দিকে।
মুসাপুরের কয়েকটি অংশ রয়েছে। আমরা তিনটে অংশে গিয়ে ঘুরাঘুরি করলাম।সময় সল্পতার কারণে বাকি অংশগুলো ঘুরতে পারলাম না। তবে যে অংশে যাই না কেন প্রতিটা অংশেই আড্ডা দেওয়ার মতো খুব সুন্দর জায়গা। মুছাপুর এরিয়া এত বিশাল যে যেদিকে তাকাই সেদিকে মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।আবার অনেকগুলো বন জঙ্গলে রয়েছে। তবে ঝাউ গাছের বাগান গুলো বেশ সুন্দর। বাগানের মধ্যে চটপটি ফুচকা খাওয়ার মত অনেকগুলো দোকান দেওয়া হয়েছে।
সমুদ্রের পাড়ে এত সুন্দর ঝাউ গাছের ভিতরে এরকম আয়োজন থাকলে আর কি লাগে। সেখান থেকে বসে বসে সমুদ্র দেখা আর চটপটি বা ফুচকা খাওয়া অন্যরকম মজার।যাইহোক বেশ ভালই সময় কাটিয়েছিলাম সবাই মিলে এবং ফুচকা চটপটি যার যার পছন্দমত খেয়ে দেয়ে সেখান থেকে বিদায় নিলাম। তারপর আবার ফিরে আসার জন্য রওনা দিলাম। যথারীতি কোথাও না থেমে সরাসরি বাড়িতে এসে পৌঁছে গেলাম প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে। যাওয়ার সময় যদিও একটা জায়গাতে দাঁড়িয়েছি আসার সময় কোথাও দাঁড়ানো হয়নি। একবারে টান দিলাম একই টানে বাড়িতে এসে পৌছালাম। যদিও আসতে আসতে নিভৃত বাইকের মধ্যে ঘুমিয়ে গিয়েছিল।
তো বন্ধুরা এই ছিল মুছাপুর ঘোরাঘুরি করার অনুভূতি। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকে আর কথা বাড়াবো না ।আগামীতে ভিন্ন কোন ভ্রমন পোস্ট নিয়ে আবারও ফিরে আসবো সে পর্যন্ত সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন এই কামনায় বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![steempro....gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTE3978V85byJ3jjoLdrAFUo5xUhDe7Hp6bDUeqi9sW7p/20230619_2116256.gif)
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমন পোষ্ট। |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Hi @nevlu123,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মুছাপুর আসলেই খুব সুন্দর জায়গা। এর আগেও বেশ কয়েকটি পোস্টে মুছাপুরের কিছু ফটোগ্রাফি দেখেছিলাম। এখন তো বর্ষাকাল, আর বর্ষাকালে এমন জায়গার সৌন্দর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। ঝাউ গাছ গুলো কক্সবাজারের কাঁকড়া বিচে থাকা ঝাউ গাছ গুলোর মতোই লাগছে। সেখানে ঘুরাঘুরি করে নিঃসন্দেহে খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই, মুছাপুরের যে জায়গা গুলোতে আপনি ঘুরতে গেছিলেন সেগুলো দেখে তো বেশ দারুন লাগলো। মুছাপুরে ঘোরাঘুরি করার জন্য অনেকগুলো জায়গা থাকলেও, আপনারা যে তিনটি অংশে ঘুরতে গিয়েছিলেন, সেগুলো সম্পর্কে জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো আমার। ওভারল আপনাদের ঘোরাঘুরির এই অভিজ্ঞতাটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit