ভালোলাগার অপর নাম কক্সবাজার।

বন্ধুরা টাইটেল দেখেই বুঝে গিয়েছেন আজকে কি বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি।আসলে গতকালকে আমরা কক্সবাজার ঘুরতে এসেছি তাই ভাবলাম নিজের ভালো লাগার কিছুই বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। তাইতো আপনাদের মাঝে চলে এলাম। যাই হোক চলুন শুরু করি।

ভালোলাগার উন্নতম একটি জায়গা কক্সবাজার। কক্সবাজার এলে মন-মানসিকতা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। প্রথমবার যখন কক্সবাজার এলাম তখন থেকেই অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। আর সেই থেকেই কক্সবাজারের উপরে কেমন যেন একটি মায়া কাজ করে।অনেক সময় নিজের এলাকায় থেকেও চোখ বন্ধ করে যখন অনুভব করি, আমি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে আছি।

তখন অন্য রকম ভালোলাগা অনুভূত হতো।আর সেজন্যই মূলত সময় পেলেই কক্সবাজার চলে আসি ঘুরতে।গত বছর ফেব্রুয়ারির দিকে ফ্যামিলি সহ এসেছিলাম ঘোরার জন্য। তবে এই বছর আর দেরি না করে সিজনের প্রথমেই চলে এলাম কক্সবাজার ঘুরতে। এবার আমার অনেক প্রিয় একটি বন্ধু (জুয়েল)যে দুবাই থেকে এসেছে কিছু দিন আগে। তাকে নিয়ে এবং তার ওয়াইফকে নিয়ে সাথে আমি বৃষ্টি নিভৃত সবাই মিলে ট্যুরে বের হয়ে গেলাম।

আমার বন্ধুটি যদিও এর আগে আমার সাথে আরো একবার এসেছিল। তবে বন্ধুর ওয়াইফ এই প্রথমবারের মতো এল কক্সবাজার। তবে বৃষ্টির এইবার সহ কক্সবাজার তিন বার হলো।আমার কতবার হয়েছে ঠিক গুনে বলা যাবে না। আর সুযোগ পেলে হয়তো আবার সিজনের শেষের দিকেও আসতে পারি। তাই কতবার এসেছি সেটা নাই বললাম। তবে এবারে এসে অন্যরকম ভালো লাগছে কারণ নিজের প্রিয় বন্ধুটি নিজের সাথে আছে।

আর আমরা দুজনেই দুজনের ফ্যামিলি নিয়ে এসেছি। এটা আসলে আমার অনেক দিনের শখ ছিলো যেটা এইবার পূরণ হলো। বিশেষ করে আমি যখন আসি তখন বন্ধুটি বাইরে থাকে। যার কারণে তার সাথে ঘুরা হয় না।এবার আমার প্রিয় বন্ধু জুয়েল বিদেশ থেকে আসার কারণে সুযোগ হয়েছে একই সাথে ঘুরাঘুরি করার। যদিও ঘোরাঘুরি করতে চাইলে অনেক জায়গাতেই যেতে পারতাম। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কক্সবাজার আসবো।

ওইযে বললাম কেন এক মায়া টান আমায় সব সময় টানে। তাইতো এখানে চলে এলাম। গতকালকে দুপুরে পৌঁছালাম কক্সবাজার।তারপর হোটেলে উঠলাম যদিও হোটেলের রুমগুলো আমাদের আগে থেকেই বুকিং থাকে। কারণ কক্সবাজারে নিজেদের ঘনিষ্ঠ লোক থাকাতে খুব সহজে রুম পেয়ে যাই।তারপর রুমে কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম। এরপর দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করলাম।

খাওয়া-দাওয়া শেষে আবার অনেকক্ষণ রেস্ট নিলাম।তারপর চারটার দিকে আবার বের হয়ে গেলাম লাবনী পয়েন্ট এর দিকে সেখানে গিয়ে অনেকক্ষণ মজা করলাম। যদিও এটি প্রথম দিন এবং বিকেলবেলা হওয়াতে পানিতে নামতে পারিনি। তবে আজকে ঠিকই নামবো। গতকালকে শুধু ঘোরাঘুরি করলাম কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে খাওয়া দাওয়া করে ফটোগ্রাফি করে সেখান থেকে চলে এলাম আবার রুমে।

যদিও এরই মাঝে স্পেসিফিক কিছু খাওয়া-দাওয়া হয়েছে সেটা আপনাদের সাথে অন্য কোন সময়ে একটি ব্লগ আকারে শেয়ার করবো।যাই হোক পরবর্তীতে রুমে এসে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে গেলাম। আর সকালে আজকের পোস্টে আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আর আজকে বীচে যাওয়ার কথা এবং পানিতে ডিগবাজি খাওয়ার সময় তাই আর বেশি কথা না বাড়িয়ে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।

ডিগবাজি খেয়ে এসে আবারো আপনাদের মাঝে শেয়ার করব কেমন খেলাম ডিগবাজি হাহাহা। কারণ সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে ডিগবাজি খেতে ভালই লাগে। আর এটাই আমার সবচাইতে বেশি প্রিয়।যাইহোক কথা আর না বাড়িয়ে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আগামীতে আবারো হাজির হবো অন্য কোন না কোন বিষয় নিয়ে। আজকে এখানেই বিদায় নিলাম আল্লাহ হাফেজ।

তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরা	স্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণ	ভ্রমণ।
ক্যামেরা.মডেল	এম ৩২
ক্যাপচার	@nevlu123
সম্পাদনা	রিসাইজ &সেচুরেশন।
লোকেশন	- বাংলাদেশ।

𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123

আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।

সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।