জীবন ক্ষণস্থায়ী, তাই উপার্জনের পাশাপাশি তা ভোগ করাও উচিত।

বন্ধুরা টাইটেল দেখেই বুঝে গিয়েছেন আজকে কি বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। মূলত মাঝে মাঝে মনের মধ্যে কিছু কথা ঘুরপাক খায়,আর সেগুলো চিন্তা করতে থাকি। হঠাৎ করে মনে হলো সেরকম চিন্তার কোন একটি বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আর সেই চিন্তায় আজকের এই ব্লগটি প্রস্তুত করা। আশা করছি পুরো ব্লগটি পড়লে আপনাদের ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা ভুমিকায় না গিয়ে সরাসরি মেইন পয়েন্টে ফিরে যাই।

আসলে জীবনটা অনেক ছোট ও ক্ষণস্থায়ী, তাই উপার্জনের পাশাপাশি আমাদের ভোগও করে যাওয়া উচিত।অন্যথায় শুধু শুধু উপার্জন করবে,কিন্তু ভোগ না করতে পারলে এই উপার্জনের কোন মূল্য নেই।নিজের শ্রম ঘাম মেধা সময় এগুলো স্বমন্বয়ে যে উপার্জন করবেন, সেটা যদি আপনি নিজেই ভোগ না করেন, তাহলে আনন্দটা পাবেন না। কারণ নিজের উপার্জন নিজে ভোগের আনন্দটা, পৃথিবীতে অনেকগুলো আনন্দময় মুহূর্তের একটি।

অনেকে রয়েছে ভবিষ্যতের জন্য উপার্জন করে যায়, কিন্তু সে নিজে ভোগ করতে চায় না বা করে না। যেটাকে আমরা সহজ বাংলায় বলতে পারি কিপটে।সে হয়তো সঞ্চয় করছে কিন্তু তার উপার্জনের কিছুটা হলেও সে যদি ভোগ না করে আসলে সে আনন্দ উপভোগ করতে পারবে না। আর এরকম কিপটে লোকগুলোর শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক থাকে না অনেক সময়। তারা একটা সময় রোগা আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাহলে এই উপার্জনের মানেটা কি রইল?

গত দু-তিন দিন আগে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ করে রাস্তার পাশে একজন লোক বসে রয়েছে, আর দুজন কাজ করছে। তাদের মাঝে যিনি বসে রয়েছে তিনি বলছিলেন যে উপাস থেকে থেকে এক সময় অনেক টাকা ইনকাম করেছি,তবে সবই অযথা। তাই এখন আর উপাস থেকে পরিশ্রম করিনা, উপার্জন করিনা। আগে খাওয়া দাওয়া করি তারপরে আমি পরিশ্রম করি। প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারেনি তার কথাটা।

পরবর্তীতে সেখানে দেখি লোকজন কাজ করছে এবং তখন দুপুর ২ টা বাজে। তখন আস্তে আস্তে চিন্তা করলাম বিষয়টা এরকম না তো, যে বাকি যে দুই লোক পরিশ্রম করছে তারা উপাস পরিশ্রম করছে। তারা এখনো খাওয়া-দাওয়া করেনি, কিন্তু ইনকামের জন্য তারা খাওয়া-দাওয়াকে বর্জন করে পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

সেই লোকটির কথাটা হঠাৎ মাথায় চিন্তা ঢুকিয়ে দিল। কারন আমাদের সমাজে অনেক লোক রয়েছে যারা নিজে না খেয়ে নিজের শরীরকে কষ্ট দিয়ে হলেও, উপার্জন করতে পিছুপা হয়না ফ্যামিলির জন্য। এতে করে ফ্যামিলি যদি ভালো থাকে তবে নিজে বা নিজের আত্মাকে কষ্ট দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে এই ইনকামের কোন সার্থকতা পায় না। তার উচিত তার উপার্জনের অর্থ সে নিজেও ঠিকঠাক ভাবে ভোগ করা এবং তার ফ্যামিলি ও আপনজনদের পিছেও ব্যয় করা।

কিন্তু কিছু কিছু লোক আছে যেগুলো আবার নিজের ফ্যামিলির ক্ষেত্রে তেমন একটা ব্যয় করতে চায় না।নিজে যেমন কিপটামি করে চলে, ফ্যামিলিকেও ওই রকমই শেখায়,ওই রকমই চালায়। আর টাকাগুলা রেখে দেয় ব্যাংকে, অথবা কোন কর্ম ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের আত্মতৃপ্তির জায়গায় ফলাফল শূন্য পাওয়া যায়।তাই আমি মনে করি উপার্জনের পাশাপাশি নিজেরা ভোগ করা উচিত।

আর নিজেকে কষ্ট দিয়ে নিজে উপোস থেকে উপার্জন করার কোন মানেই হয় না। উপার্জনের পাশাপাশি ভোগ বিলাসিতা দরকার। এতে করে সর্বদিক থেকে আনন্দ পাওয়া যায়।যাইহোক বন্ধুরা হঠাৎ করে এই বিষয়টি মাথায় আসলো, তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করছি আপনারা হয়তো এরকম ভাবতে পারেন, তবে কারো যদি ভিন্ন রকম চিন্তাভাবনা থাকে সেটা অবশ্যই মন্তব্যে জানাতে পারবেন। ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।

তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরা	স্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণ	জেনারেল রাইটিং ।
ক্যামেরা.মডেল	এম ৩২
ক্যাপচার	@nevlu123
সম্পাদনা	রিসাইজ &সেচুরেশন।
অবস্থান	বাংলাদেশ

𝒩ℰ𝒱ℒ𝒰123

আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে রয়েছি, আর সেই প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।

সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং এই পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।

_{Posted using SteemPro Mobile}