আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
ছোট বেলার ঈদ, আর এখনকার ঈদ, অনেক পার্থক্যে পরিণত হয়েছে। |
---|
সবাইকে ঈদ মোবারক জানিয়ে শুরু করছি আজকের ব্লগ।আশা করছি সবাই খুব সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করেছেন এবং চারিদিকে ঘুরাঘুরি ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে ভ্রমণ করেছেন।যদিও আমার তেমন একটা ঘোরাঘুরি হয়নি। তবে সময় করে আমি নিজেও ঘুরাঘুরি করে নিবো।যাই হোক কথা না বাড়িয়ে সরাসরি মেইন পয়েন্টে ফিরে যাই।
বছরে দুটো ঈদ, আর ঈদ মানে হচ্ছে আনন্দ খুশির সমাহার।তবে বছরে দুটো ঈদ ঠিকই আছে কিন্তু মজাগুলো বা আনন্দগুলো একই রকম নেই। ছোট বেলায় ঈদ আসলে অনেক বেশি মজা করতাম,আর বড় হয়ে ঈদের মজাটাই পাইনা।ছোট বেলায় দুই ঈদ এর যেকোনো ঈদেই আনন্দ খুশি ও অনেক বেশি মজা হত।যেমন ঈদের দিন সকাল সকাল উঠে গোসল করে সবাইকে সালাম করে সালামি নিতাম।
তারপর ঈদে যেতাম ঈদে গিয়ে সেখান থেকে হরেক রকম জিনিসপত্র কিনতাম। অনেক দিক থেকে মানুষজন আসতো তাদের সাথে দেখা হতো ঈদ উপলক্ষে। স্কুলের বন্ধুবান্ধবরা ও সেই ঈদের সমবেত হতো এবং তাদের সাথেও মোলাকাত হতো। নতুন জামা পরে ঈদে যেতে যেতে অন্যরকম আনন্দ লাগতো।সালামি যদিও অল্প পেতাম তবে এতেই সন্তুষ্ট ছিলাম। আর ওই অল্প সালামি দিয়েই অনেক কিছু কিনতে পারতাম।
সর্বোপরি বাড়িতে আসলে কত ভালো ভালো খাবারের আয়োজন থাকতো।কোন চিন্তা থাকতো না, খাওয়া দাওয়া করতাম, ঘুরতাম ফিরতাম, খেলতাম এবং এসে ঘুমাতাম।ঈদ যে আনন্দ বয়ে আনে সেটার এক ঝলক প্রমাণ ছিল সেই ছোটবেলায়। বড় হয়ে দেখা গেল কোন রকম ঈদ কাটানো। ছোটবেলা নিজেরা সালামি পেতাম বড় হয়ে সালামি দিতে হয়। সকাল সকাল ঈদ জামাতে অ্যাটেন্ড করতে হয়। তারপরে সবার সাথে মোলাকাত করে বাড়ি ফিরে হালকা-পাতলা কিছু খেয়েদেয়ে আবার বের হই।
আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে গেলে সেখানেও নিজেকে সালামি বিতরণ করতে হয়। কিন্তু ছোটবেলায় আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে গেলে সেখানে উল্টো সালামি পেতাম। মোটকথা ছোটবেলায় ঈদের মজা বড় হয়ে একদমই পাইনা।আবার দেখা যেত ছোটবেলায় ঈদে অনেক দোকান বসতো অনেক ধরনের খেলনা এবং অনেক ধরনের খাবারের স্টল থাকতো।
এখন দেখা যায় দু থেকে তিনটে দোকান। কারণ এখন মানুষ ঈদে দোকানও করে না। যার কারণে সে দিক থেকেও অনেকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত। আবার একটা সময় দেখা যেত ঈদে বিভিন্ন রকম নতুন নতুন জিনিস পাওয়া যেত, কিন্তু এখন সবগুলো দোকানেই পাওয়া যায় তাই আর মানুষ ঈদের দোকান থেকে কেনাকাটায় সন্তুষ্ট হতে পারেনা।
সর্বোপরি আগের মত আসলে কিছুই নেই। নেই মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক,নেই আন্তরিকতা। তবে দেখানোর বিষয়টা বরাবরই আছে। ছোটবেলা হিংসে বিদ্বেষ কি জিনিস সেটা কারো মনেই থাকত না। কিন্তু এখন হিংসে বিদ্বেষ সবার মনে মনে আছে। যাই হোক সবশেষে একটা কথাই বলবো সবাই সবার হৃদয় আত্মার উন্নতি করে, হিংসে বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে একাকার হয়ে চলাই ভালো। কারণ দুদিনের পৃথিবীতে জটিলতায় ডুবে থেকে কি লাভ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের আয়োজন। আশা করছি পুরো ব্লগ পড়েছেন।আর যারা পড়েছেন সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আজকে আর কথা না বাড়িয়ে এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | জেনারেল রাংটিং । |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
অনেক সুন্দর একটি কথা বলেছেন ভাইয়া ছোটবেলার ঈদ আর এখনকার ঈদ সত্যি অনেক পার্থক্য। ছোটবেলায় আমরা হাতে মেহেদি দিয়ে নতুন জামা কাপড় পড়ে আত্মীয়দের বাসায় যেতাম সালামী নিয়ে আসতাম। আর এখন আমরা ছোটদের হাতে মেহেদি দিয়ে দিই তাদেরকে ঈদের জন্য সাজিয়ে গুছিয়ে দিয়ে তাদেরকে আবার সালামি দি। তবে আপনি আরেকটা বিষয় ঠিক বলেছেন বর্তমান সময়ে সব সময় মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের জিনিস পাওয়া যায় । আর এতে সবাই তাদের পোশাক নিয়ে অসন্তুষ্ট। কেননা সবাই ঈদে নতুন নতুন কোন ড্রেস পড়তে পারি না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Hi @nevlu123,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই ভাই ছোটবেলার ঈদ এবং এখনকার ঈদের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। কারণ ছোটবেলায় তো আমাদের কাঁধের উপর দায়িত্ব ছিলো না। তাই মন খুলে আনন্দ করতে পারতাম। ঈদের শপিং করতে এবং সালামি নিতে যে কি ভালো লাগতো, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। কিন্তু এখন তো বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব আমাদের কাঁধের উপর রয়েছে। তাই বেশিরভাগ সময় ঈদের দিন তেমন কোনো আনন্দ ই করা হয় না। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোটবেলায় ঈদের আনন্দটা ছিল সবথেকে বেশি সুন্দর। আর সেই আনন্দটা আমরা এখন চাইলে আর উপভোগ করতে পারবো না। আসলে ছোটবেলায় সবার আগে উঠে, নতুন জামা কাপড় পড়ে বড়দের কে আগে সালাম করতাম আমার সালাম নিয়ে নিতাম। আর এখন অন্যরা আমাদেরকে আগে সালাম করে সালামি নিয়ে যায়। আগে কোথাও গেলে সালামি পেতাম। আর এখন কোথাও গেলে সালামি দেওয়া লাগে। অল্প হোক বা বেশি টাকা হোক, সালাম পেলেই সেগুলো দিয়ে বিভিন্ন রকম জিনিস কিনে ফেলতাম। আর বড় হওয়ার পাশাপাশি এইসব কিছু চলে গিয়েছে। অনেক সুন্দর করে লিখেছেন পুরো পোস্টটি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোটবেলার ঈদের সাথে আমাদের বর্তমান ঈদের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ছোটবেলার ঈদটা ছিল অনেক বেশি আনন্দময়। কিন্তু বড় হওয়ার পাশাপাশি ঈদের সেই আনন্দটা আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে গিয়েছে। ছোটবেলায় সব থেকে বেশি আনন্দের ছিল সবার কাছ থেকে সালামি নেওয়াটা। সবাইকে সালাম করে সালামি যতই পেতাম না কেন, তাতেই সন্তুষ্ট এবং খুশি থাকতাম। ছোটবেলার সেই মুহূর্তগুলোর কথা মনে পড়ে গিয়েছে আপনার লেখা পোস্ট পড়ে। অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে সম্পূর্ণটা পড়তে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোটবেলার সেই ঈদের আনন্দ এখন নেই। ছোটবেলায় ঈদের সময় এলে অনেক আনন্দ করতাম। আত্মীয়স্বজনের বাসায় যেতাম। এখন সবকিছুই বদলে গেছে ভাইয়া। এখন আর সেই আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায় না। আপনার লেখাগুলো পড়ে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছিল ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি ভাইয়া আগে অল্প কয়েকটি মার্কেট ছিল আর ঈদ বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নতুন নতুন ড্রেস আসতো যেগুলো মানুষ কিনতো।কিন্তু এখন হাজার হাজার মার্কেট ওঠে বিভিন্ন ধরনের জামা সবসময় পাওয়া যায় ।যে কারণে আমরা আমাদের মনের মত ড্রেসই খুঁজে পায় না। তাছাড়া ঈদের আনন্দটা যেমন হয় বড় হলে আর তেমন থাকে না। বড় হওয়ার সাথে সাথে আমাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ব্যস্ততা চলে আসে যার কারণে ঈদের আনন্দটা তেমন দেখা যায় না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই পোষ্টে সাইফক্স এর বদলে অন্য কমিউনিটিতে বেনিফিশিয়ারী দেয়া হয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া এই ভুলটা প্রথম বারের মত হলো।আর যখন ডিলেট করতে গেলাম দেখি ১ সেন্ট এর ভোট এসে গেছে তাই আর ডিলেট করতে পারিনাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুবই সুন্দর লিখেছেন ভাই। আসলেই ঈদ বলেন, পুজো বলেন উৎসব এর আসল মজা যেন ছোটবেলাতেই! যখন কাঁধে কোন দ্বায়িত্ব থাকে না! এখন ঈদ সালামী দিয়ে বাসার ছোটদের ঈদকে আনন্দের খোরাক দিচ্ছেন ভাই! তবে এটা ঠিক যে আগে আমাদের ওত বেশি চাওয়া ছিল না, অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকতাম, যেটা এখন ওমন নেই!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ঠিক ছোটবেলায় অনেক বেশি আনন্দ হতো ঈদে। তবে এখন শুধু দায়িত্ব পালন করা হয়। ছোটবেলায় নিজেদের খুশি ভাগাভাগি করে নিতাম সবার সাথে। আর এখন সংসার আর দায়িত্ব পালনের মধ্যেই কেটে যায় সময়। ধন্যবাদ সুন্দর একটি বিষয় শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit