কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ ভ্রমণের অষ্টম পর্ব শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
এরপর আমি কাকাকে বললাম যে আমিও উপরে উঠে ধান মেশিনে ঢালবো। তখন কাকা বললেন ঠিক আছে কিন্তু সাবধানে ঢালবি। আমি প্রথম থেকেই ওই ভাইপোর ধান ঢালার কৌশলটি দেখে নিয়েছি তাই তার মতো করে আমি মেশিনের উপরে ধান ঢালতে লাগলাম।
প্রথমবার আমার একটু অসুবিধা হচ্ছিল কারণ এত বড় একটা বস্তা উপরে তুলে আবার মেশিনের উপর ঢালতে অনেক শক্তি প্রয়োজন হয়। পরবর্তীতে আমার কাছেও ব্যাপারটি অনেক সহজ মনে হয়ে গেল। মেশিনের পিছন থেকে যেটাকে গ্রামের ভাষায় তুষ বলে ওইটা বের হচ্ছিল। ভাইপো ওই তুষ সরিয়ে দূরে রাখছিল।
এরপর আমি নিচে নেমে এলাম কারণ আমার কষ্ট হয়ে গেছিল খুব। কাকা তখন আমায় ব্যঙ্গ ভাবে বলল, শহরে মানুষ গ্রামের মানুষের সাথে কখনোই পারবে না। বললাম তুমি একবার ইন্ডিয়ায় আসো তোমাকেও শহরের মানুষ করে দেব।
আসলে এই কাকা ছোটবেলায় ইন্ডিয়া আমাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। আগের কথা তো তাই কাকার মুখটা মনে করতে পারছিলাম না। কাকা এখন বলল আমিও ইন্ডিয়া মাঝে মাঝে যাই ডাক্তার দেখানোর জন্য। আর কাকা এক্ষণ ইন্ডিয়া এসে উনার মেয়ের বাড়িতে থাকেন।
তখন আমি বললাম কাকা তুমি ইন্ডিয়া গেলে আমাদের বাড়িতে এসো। কাকা বলল, ঠিক আছে এবার গেলে আমি তোদের বাড়িতেই যাবো। কারণ উনি প্রতিবছর ইন্ডিয়া ডাক্তারের চেকআপ করাতে আসেন।
কাকা পাশের আরেকটি মেশিন আমাকে দেখিয়ে বললেন, এই মেশিন দিয়ে আমি গম, চাল ভেঙে আটা এবং চালের গুঁড়ো তৈরি করি। তো কিছুক্ষণ পর আমাদের ধান ভাঙ্গা শেষ হয়ে গেল।
ধান ভাঙ্গা শেষে কাকা আমার হাত ধরে জোর করে উনার ঘরে নিয়ে গেলেন দুপুরে খাওয়ার জন্য। তা আমার পেট খালি না থাকায় দুটো মুড়ি খেয়ে চলে আসলাম। এসে দেখি কাকা আর ভাইপো মিলে সব চাল এবং তুষের বস্তা ভ্যানে বোঝাই করে রেখেছেন। আমি তখন কাকাকে বললাম তুমি কেন এসব করতে গেলে। তখন কাকা আমাকে বললেন আমাদের এসব অভ্যাস আছে কিন্তু তোর অভ্যাস নেই।
যাইহোক কাকাকে বিদায় জানিয়ে আমি ভ্যানের উপর উঠে বসলাম এবং মাঝে মাঝে দুই একটা সেলফি নিতে লাগলাম। আসলে রাস্তা খুব খারাপ থাকায় সেলফি নিতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। কারণ বেশিরভাগ সেলফি নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল।
একটু দূর যেতে যেতেই একটা খালে তিনটে বাচ্চাকে একটা নারকেলের বড় অংশ নিয়ে নড়াচড়া করতে দেখতে পেলাম। তখন আমি ভাইপোকে বললাম, ওরাই জলের ভিতর ওই গাছের অংশ দিয়ে কি করবে? ভাইপো বলল, এই গাছের ভিতরে মাছ এসে জমা হয় এবং ওরা প্রায় প্রতি সপ্তাহে এই গাছের দুই মুখ বন্ধ করে পারে তুলে মাছ বের করে।
তখন আমি ভাইপোকে বললাম একটু দাঁড়াও তো দেখি কটা মাছ পায়। আসলে ও ঐদিন ওই তিন বালকের কপাল খুব খারাপ ছিল। তাদের ভাগ্যে একটা মাছও জোটেনি। যাই হোক আমরা রাস্তা দিয়ে চলতে লাগলাম। আমাদের রাস্তা ক্রমশ খারাপ হতে লাগলো। আমি ভয়ে চুপচাপ করে বসে রইলাম ভ্যানের উপর। কিছুক্ষণ পর একটা বিপদ ঘটে গেল।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 25/12/2022
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। বাকি অংশ পরবর্তী পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
আপনারা সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
কাজ শিখে যাচ্ছেন তাহলে হাহা।😍
আসলে এগুলা কাজ আমাদের কাছে কোনো বিষয়ই না।আসলে ছোট থেকে এগুলার মধ্য দিয়ে বড়ো হয়েছি তো। তবে আপনার উৎসাহ দেখে খুব ভালো লেগেছে আমার। ভীষন ভালো মনের একজন মানুষ আপনি।🙏
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit