বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ০৯

in hive-129948 •  2 years ago 

কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলাদেশ ভ্রমণের নবম পর্ব শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।


IMG_20221228_132242.jpg

হঠাৎ করে আমাদের ভ্যানের সামনের চাকার নাট ভেঙ্গে গেল। আমি তড়িঘড়ি করে ভ্যানের উপর থেকে এক লাফে নিচে নেমে গেলাম। ভাইপো সামনে হুরমুড়িয়ে পড়ল। আমি ওকে তুললাম রাস্তা থেকে। উঠে আমরা তাড়াতাড়ি করে চালের বস্তা গুলো নিচে নামিয়ে ফেললাম।



IMG_20221228_132357.jpg



রাস্তার যে অবস্থা এতে আমি অনেক আগেই একটা বিপদ টের পাচ্ছিলাম। ভারী মুশকিলে পড়া গেল। এদিকে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হবার অতিক্রম। তখন আমি ভাইপোকে বললাম এখন কি করা যায়। এই গ্রামের আশেপাশে কোন ভ্যান স্টান্ড ছিল না।



IMG_20221228_132823.jpg



তখন আমি ওকে দ্রুত কিছু টাকা দিয়ে বললাম তুই কারো একটা সাইকেল নিয়ে নাট কিনে নিয়ে আয়। আমি ওকে সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি চলে যেতে বললাম। আর এদিকে মশার উৎপাতও খুব বেড়ে চলেছে। একা একা বসে রইলাম ভ্যানের এক পাশে।

IMG_20221228_133147.jpg


IMG_20221228_133153.jpg

রাস্তা দিয়ে যতগুলো লোক যাচ্ছে ততগুলো লোক আমাকে জিজ্ঞাসা করছে কি হয়েছে। এক পর্যায়ে উত্তর দিতে দিতে আমি প্রায় ক্লান্ত হয়ে গেলাম। ঘন্টাখানেক পর ভাইপো ওই নাটটি কিনে নিয়ে এলো।



IMG_20221228_144423.jpg


IMG_20221228_144428.jpg



এবার সমস্যা হল নাট লাগানোর জন্য রেঞ্জ কোথায় পাই। ওই গ্রামের বিভিন্ন লোকের বাড়ি গিয়ে আমরা রেঞ্জ খুঁজতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর ভাইপো কোথা থেকে একটা রেঞ্জ নিয়ে আসলো। কিন্তু ও নাটটি লাগাতে পারছিল না। আমি তখন বললাম তুই সরে দাঁড়া আমি দেখ নাটটি লাগাচ্ছি।



IMG_20221228_144614.jpg



কিছুক্ষণের ভিতর আমি ভ্যানটি ঠিক করে ফেললাম। তারপর ও পুনরায় রেঞ্জটি ফেরত দিয়ে আসলো। এরপর আমরা আবার বস্তাগুলো ভ্যানে তুলে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।



IMG_20221228_142643.jpg



আমার আর মনে সাহস হচ্ছিল না ভ্যানের উপরে ওঠার। আমি পিছন দিয়ে হাঁটতে লাগলাম আর ভাইপো ভ্যান নিয়ে সামনে এগোতে লাগলো।



IMG_20221228_143235.jpg

আসলে আজকে সারাদিন আমার খুব কষ্ট হয়েছিল। এমনিতে খালি পেটে ছিলাম। তো বাড়িতে গিয়ে সব ঘটনা খুলে বললাম। সেদিন আর বেশি এনার্জি ছিল না।

স্নান করে কিছু খেয়ে আর বাইরে বের হলাম না এবং রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম সেদিনের মত।


আসলে সেদিন আমার খুব একটা বড় বিপদ ঘটে যেতে পারত। কারণ রাস্তার পাশে একটা সরু খাল ছিল। খালের ভিতর যদি পড়তাম তাহলে খুব বিপদ ঘটতো। যাইহোক সেদিনের মতো রক্ষা পেলাম।


আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।


দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে। ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।


11-20-04-359_512.gif

ধন্যবাদ সবাইকে।

2XmsB3ZF6jJG7218A8ghgBmbB3W4Hm94fHM8vdisDLD4EuDS1mKCnUwr2WPdiRhWod2Rf2CCtBiK8N3pspzqnCWafFzVigrzmtsxCskMPdzGxv6X2qA4C6XCzVtoT7DrPdhaLQmVXDtTsoDBnDnkqY1H7mbiRmNAo6VRbcH65Ky8sUcB6iD2CGuEkfhUpCrHvemi76oe4F.gif


IMG_20210107_075142 (2).jpg

আমার নাম নিলয় মজুমদার। আমি একজন কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্র। আমার মাতৃভাষা হলো বাংলা। কিন্তু আমার রাষ্ট্রীয় ভাষা হলো হিন্দী। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি। আমি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। নতুন নতুন জিনিস তৈরী করতে আমি খুব ভালোবাসি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

বাংলাদেশ ভ্রমনে এসে অনেক অভিজ্ঞতার ঝুরি নিয়ে ফিরে যাবেন কলকাতায় দেখছি। বেশ বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেলেন। অনেক ঝক্কিঝামেলার পর বাড়ি ফিরতে পারলেন তাই স্বস্থির বিষয়। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

হ্যাঁ দাদা বাংলাদেশে অভিজ্ঞতার শেষ নেই।

ভাইয়া আপনার বাংলাদেশ ভ্রমণ নবম পর্বটি অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে। বস্তা নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে ভ্যানের চাকার নাট ভেঙ্গে যাওয়া। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নাট রেঞ্জ এনে ভ্যান গাড়ি ঠিক করে তারপরে বাড়ির পথে রওয়ানা দিতে দিতে আপনাদের দিনটাই শেষ হয়ে গিয়েছিল। আপনার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।

খুব বড় বাঁচা বেঁচে গেছি। খুব বড় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত সেদিন।