কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে টার্কি মুরগি কেনার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
যাই হোক সারাদিনের গরমে একদম সেদ্ধ হয়ে গেছিলাম। তো বিকালের দিকে বসে বসে কাজ করছিলাম। তো কিছুক্ষন পর দাদা এসে বলল নিলয় আজ কি খাওয়া যায়? যাই হোক আমার বলার আগেই দাদা বলল আজ টার্কি মুরগীর মাংস খেলে কেমন হয়। অবশ্য এই মুরগির মাংস আর কেউ খায় না। তাই আমাদের দুজনকেই খেতে হবে।
যাই হোক দাদার কথামতো আমি মুরগির দোকানদারকে কল করলাম। আর মুরগির দোকানদারের নাম্বারটা আমার কাছে আগে থেকেই ছিল। কারণ এই মুরগির দোকানে ভালো ভালো দেশী জাতের মুরগি আমরা প্রায়ই কিনি।
দোকানদারকে কল করলে প্রথমবার তারা কোন রেসপন্স করলো না। কিছুক্ষণ পর আবার কল করায় কল ধরে প্রথমে আমাকে চিনতে পারল না। যাই হোক পরিচয় দেওয়ায় লোকটি আমাকে চিনতে পারল। তারপর তার কাছে টার্কি মুরগি আছে কিনা তা জিজ্ঞাসা করলাম। অবশ্য তারা বলল তাদের দোকানে টার্কি মুরগি নেই কিন্তু তারা ম্যানেজ করে দিতে পারবে যদি আমাদের প্রয়োজন হয়।
যাই হোক আমি বিষয়টা দাদাকে খুলে বললাম এবং দাদা সাথে সাথে বলল ঠিক আছে তুমি ওদের আনতে বল। তখন আমি পুনরায় ওদের কল করে আমাদের অর্ডারটা কনফার্ম করলাম এবং দামও জিজ্ঞাসা করলাম সাথে। দামটা আসলে একটু বেশি ছিল। যাইহোক আজ টার্কি মুরগি খেতে হবে এই জন্য আমরা দেরি না করে অর্ডারটা কনফার্ম করে দিলাম।
বিকালের দিকে গাড়িতে করে আমরা টার্কি মুরগি কিনতে রওনা দিলাম। অবশ্য রওনা হওয়ার আগে মুরগির দোকানদার আমাদের কল করলেন যে টার্কি মুরগি তারা নিয়ে এসেছেন আমাদের জন্য। তখন আমি তাদের বললাম আমরাই সবে গাড়িতে উঠছি তোমাদের দোকানে যাওয়ার জন্য।
গিয়ে দোকানদারকে প্রথমে জিজ্ঞাসা করলাম যে আমাদের মুরগিটা কোথায়? উনি দেখিয়ে বললেন আমরা বাইরে ছেড়ে রেখেছি। যাইহোক আমাদের কথা মতো উনি মুরগিটি বাইরে থেকে ধরে আনলেন এবং মুরগিটিকে প্রথমে ওজন করলেন।
মুরগির ওজন ৭ কেজি হয়েছিল। অবশ্য আমরা চাচ্ছিলাম একটু ছোট হলে ভালো হতো। যাইহোক মুরগিটি ওজন শেষে দোকানদার আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন মুরগিটির পশম ফেলতে হবে কিনা। আমি বললাম আপনারা গরম জল দিয়ে মুরগিটি পশম পরিষ্কার করে দেন।
তারপর তারা মুরগিটিকে ভালো করে গরম জলে পশম ছাড়িয়ে পরিস্কার করতে শুরু করলেন। আমি অবশ্য তার আগেই তাদের টাকা পয়সা তাদের একাউন্টে দিয়ে দিয়েছিলাম। দাদা বললো যে, আমি টাকাটা দিতে পারতাম। যাইহোক আমি দাদাকে বললাম তুমি একটু দূরে ছিলে এই জন্য আমি আগেই টাকাটা দিয়ে দিলাম এবং পরবর্তী দাদা আমার একাউন্টে পুরো দামটি ফেরত দিয়ে দিলেন।
একজন ভদ্রমহিলা মুরগিটির পশম পরিষ্কার করার কাজ করছিলেন দোকানের পিছনে। আমি ওনার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে লাগলাম। এত বড় একটা মুরগি একার পক্ষে পরিষ্কার করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই দোকানদারও ওই মহিলার সাথে হাতে হাত রেখে পরিষ্কার করতে লাগলেন।
এরপর মুরগিটিতে হলুদ মাখিয়ে উনারা আগুন দিয়ে একটু ছেঁকে নিলেন এবং পরবর্তীতে মুরগিটা অন্য একজনের কাছে দিয়ে দিলেন। দাদারা অবশ্য আমাকে রেখে একটু বাইরে ঘুরতে গেলেন। আমাকেও যেতে বলেছিলেন কিন্তু আমি জোর করে যাইনি।
মাংসটি যে কাটছিল সে প্রথমেই আমাকে জিজ্ঞাসা করল, মাংসের সাইজটা কেমন হবে? আমি ওনাকে মিডিয়াম সাইজের কাটতে বললাম। উনি খুব সুদক্ষভাবে মুরগি টিকে কাটতে শুরু করলেন। কারণ মুরগি কাটতে কাটতে উনাদের মুরগি কাটার দক্ষতা বেড়েই গেছে।
তো কিছুক্ষণ পর আমাদের মুরগি কাটা শেষ হয়ে যাবার আগে দাদারা পুনরায় চলে আসলেন। দাদারা ঘুরতে গিয়ে খাসির মাংসও কিনে নিয়ে আসলেন। যাইহোক মুরগি কাটার পর আমরা পুনরায় ওজন করে দেখলাম যে কতটুকু ওজন কমে গেছে। ওজন করে দেখি মুরগিটির ওজন ছয় কেজি হয়েছে অর্থাৎ এক কেজি ওজন কম আছে।
যাইহোক পরবর্তীতে আমরা বাড়ি চলে আসলাম। বাড়িতে আসার আগে আমরা একটু চুইঝাল কিনে নিয়ে আসলাম। কারন চুইঝাল দিয়ে মাংস রান্না করলে মাংসের টেস্ট দ্বিগুণ বেড়ে যায়। তো বাড়িতে এসে বৌদির সাথে সাথে হাতে হাত লাগিয়ে আমি মাংসটি পরিষ্কার করে নিলাম। এরপর রান্না শেষে মাংসটি টেস্ট করে দেখলাম। এক কথায় মাংস অসাধারন ছিল।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।